হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে যৌথবাহিনীর অভিযান, ৯ দালালকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড।
 
																
								
							
                                - আপডেট সময় : ২১ বার পড়া হয়েছে
হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে দালালদের উপদ্রবে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছিলেন রোগী ও তাদের স্বজনরা। বিষয়টি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশের পর র্যাব-৯, সিপিসি-৩ (শায়েস্তাগঞ্জ) এর একটি বিশেষ দল দালাল চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে।
গত মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর ২০২৫ ইং) সকাল ১১টার দিকে কোম্পানি কমান্ডার শাহ আলমের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়। র্যাব সদস্যরা হাসপাতাল এলাকায় সাড়াশি অভিযান চালিয়ে ৯ জন দালালকে আটক করে।
আটককৃতরা হলেন, বানিয়াচং উপজেলার কান্দিপাড়া গ্রামের প্রশন্ন দাসের পুত্র অশিত দাস (৪০), সদর উপজেলার পৈল গ্রামের আরজ আলীর পুত্র রমিজ আলী রনি (২৭), হবিগঞ্জ শহরের অনন্তপুর গ্রামের আইদর শাহের পুত্র মোঃ কামাল শাহ (২৫), সদর উপজেলার আনন্দপুর গ্রামের আকল আলীর পুত্র আসাদুজ্জামান রিপন (৪৩), সুনামগঞ্জ জেলার হাতিয়া গ্রামের হরুফ মিয়ার পুত্র কাউছার মিয়া (৩০), বানিয়াচং উপজেলার শতমুখা গ্রামের মজর আলীর পুত্র বিলু মিয়া (৪২), চুনারুঘাট উপজেলার ফুলগাঁও গ্রামের বেলাল মিয়ার পুত্র আব্দুল খালেক মিয়া (২৭)। (অন্য দুইজনের নাম তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি।)
র্যাবের কোম্পানি কমান্ডার শাহ আলম জানান, দীর্ঘদিন ধরে সদর হাসপাতাল এলাকায় দালাল চক্র সক্রিয় ছিল। এদের খপ্পরে পড়ে অনেক রোগী ও তাদের স্বজন আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিলেন। বিষয়টি নজরে আসার পর র্যাব অভিযান চালায়।
তিনি আরও বলেন, হাসপাতালের কিছু অসাধু ব্যক্তি ও তাদের আত্মীয়দের সহযোগিতায় বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিক ও ফার্মেসি দালালদের মাধ্যমে রোগী ভাগাভাগি করে নিচ্ছিল। এসব দালাল প্রতিদিন রোগীদের ক্লিনিকে পরীক্ষা ও চিকিৎসার নামে নিয়ে গিয়ে অতিরিক্ত অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছিল। এমনকি ওষুধ কেনার ক্ষেত্রেও তারা নির্দিষ্ট ফার্মেসিতে পাঠিয়ে কমিশন পেত।
র্যাব কর্মকর্তা শাহ আলম বলেন, “দালালচক্র যত প্রভাবশালীই হোক, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযান চলমান থাকবে।”
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (শিক্ষা ও কল্যাণ) মোঃ মহসীন মিয়া আটক ৯ দালালকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড প্রদান করেন।
হবিগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একে এম শাহাবুদ্দিন শাহীন জানান, র্যাব আটককৃতদের থানায় সোপর্দ করলে তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
 
																			


















