২১ দিনে ১৯১ কোটি রেমিট্যান্স

- আপডেট সময় : ০৮:২২:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ জুন ২০২৪ ২৭৬ বার পড়া হয়েছে
২১ দিনে ১৯১ কোটি ডলার রেমিট্যান্স। চলতি মাসের প্রথম ২১ দিনে ১৯১ কোটি ৪৩ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।
রোববার (২৩ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এতথ্য জানানো হয়েছে।
গত মে, এপ্রিল, মার্চ, ফেব্রুয়ারি ও জানুয়ারির প্রথম ২১ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল যথাক্রমে ১৫৬ কোটি ৬৬ লাখ, ১৩৫ কোটি ৮৭ লাখ, ১৩৫ কোটি ৩ লাখ, ১৫০ কোটি ৩৬ লাখ ও ১৪২ কোটি ৫৯ লাখ মার্কিন ডলার। সে হিসাবে চলতি মাসে অনেক বেড়েছে রেমিট্যান্স প্রবাহ।
সংশ্লিষ্টদের মতে, ঈদুল আযাহা উপলক্ষ্যে অভিবাসী কর্মীরা সাধারণত বেশি অর্থ পাঠিয়ে থাকেন। চলতি মাসের শুরু থেকেই কোরবানি ঈদকে কেন্দ্র করে দেশে আত্মীয়-স্বজনদের কাছে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাঠান তারা। একারণে ফলে বেড়েছে রেমিট্যান্স প্রবাহ। এমন ধারাবহিকতা অব্যাহত থাকলে চলতি মাসে রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স আসতে পারে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক সংবাদমধ্যমকে জানিয়েছেন, ঈদকে কেন্দ্র করে প্রবাসীরা বিপুল পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। পাশপাশি বাড়তি প্রণোদনা পাওয়ায় বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানোর বাড়ছে।
তা ছাড়া ডলারের রেটও প্রভাব ফেলছে প্রবাসী আয়ে।
গত বছরের ২২ অক্টোবর থেকে বৈধ চ্যানেলে ব্যাংকের মাধ্যমে প্রবাসী আয় দেশে পাঠালে প্রতি ১০০ টাকায় প্রণোদনার সঙ্গে প্রবাসীদের বাড়তি আরও আড়াই শতাংশ অর্থ বেশি অর্থ প্রদান কার্যকরের ফলে রেমিট্যান্স আয় বাড়ছে।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সরকারের দেয়া আড়াই শতাংশ প্রণোদনার পাশাপাশি অতিরিক্ত আরও আড়াই শতাংশ অর্থ বেশি দিয়ে রেমিট্যান্স কিনতে পারবে ব্যাংকগুলো।
চলতি মসের ২১ দিনে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৪৪ কোটি ১৭ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার আসে। অন্যান্য ব্যাংকের মাধ্যমে ৫ কোটি ২৪ লাখ ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ১৪১ কোটি ৫৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার ও বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪৮ লাখ ৭০ ডলার রেমিট্যান্স আসে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, জুনের ১৫ থেকে ২১ তারিখ পর্যন্ত দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২৬ কোটি ৭৬ লাখ ৩০ হাজার ডলার। গত ৮ থেকে ১৪ জুন আসে ৯২ কোটি ৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স। আর জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছিলেন ৭২ কোটি ৬২ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।
আর গত মে মাসে দেশে এসেছে চলতি অর্থবছরের সর্বোচ্চ ২২৫ কোটি ৩৮ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। আর এপ্রিল, মার্চ, ফেব্রুয়ারি ও জানুয়ারিতে দেশে যথাক্রমে রেমিট্যান্স এসেছিল ২০৪ কোটি ৩০ লাখ ৬০ হাজার, ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ ৫০ হাজার, ২১৬ কোটি ৬০ লাখ ও ২১০ কোটি ৯ লাখ ৫০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স।