ঢাকা ০৯:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

৩০ এপ্রিল দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া আসছেন জোবাইদা শার্মিলা ও নাতনিরা

হালিম মোহাম্মদ
  • আপডেট সময় : ১২:০০:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ ১৮৫ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া লন্ডনে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরছেন। চলতি মাসের শেষ দিনে অর্থ্যাৎ ৩০ এপ্রিল মাতৃভুমি বাংলাদেশে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন । সব ঠিক থাকলে আগামী ৩০ এপ্রিল দেশে ফিরবেন তিনি। তার সঙ্গে বাংলাদেশে ফিরছেন তার দুই পুত্রবধূ তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান, আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি এবং তিন নাতনী। নাতনীরা হলেন, অ্যাডভোকেট জাইমা রহমান, জাহিয়া রহমান ও জামিয়া রহমান। যদি কোনো কারণে শারিরীক অসুস্থতা বেড়ে গেলে তার ফিরতে দেরি হতে পারে। বিএনপির মিডিয়া সেল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তথ্যমতে, দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান এবং আরাফাত রহমান কোকোর (খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে) স্ত্রী সৈয়দা শার্মিলা রহমান ও নাতনিরা বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেশে ফিরছেন। বর্তমানে লন্ডনে বড় ছেলে তারেক রহমান-এর বাসায় চিকিৎসাধীন বেগম খালেদা জিয়ার পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্য পরীক্ষা চলছে। চিকিৎসক সূত্রে জানা গেছে, খালেদা জিয়ার ফাইনাল চেক আপ শেষ হয়েছে। তিনি এখন মোটামুটি সুস্থ।
মিডিয়া সেল সূত্র জানায়, কাতারের বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে বেগম খালেদা জিয়াকে দেশে ফেরানোর প্রস্তুতি চলছে। সব ঠিক থাকলে তিনি আগামী ৩০ এপ্রিল দেশে ফিরবেন। কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, বেগম খালেদা জিয়াকে লন্ডন থেকে দেশে ফেরাতে কাতারের বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের আয়োজন করতে সাম্প্রতিক বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনকে চিঠি লিখেছেন। ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য বর্তমানে লন্ডনে রয়েছেন। তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল, তবে ‘আশঙ্কামুক্ত’ নয়। তিনি দেশে ফিরতে চেয়েছেন। ওনার শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় চিকিৎসক বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে দেশে ফেরাতে পরামর্শ দিয়েছেন।
অপর সূত্র জানায়, বিএনপির মহাসচিবের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার লন্ডন ও দোহার বাংলাদেশ হাইকমিশনের মাধ্যমে সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে দেশে ফেরাতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের এক আদেশে বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি পান। এরপর দুর্নীতির যে দুটি মামলায় তিনি কারাবন্দি ছিলেন, সেগুলোর রায় বাতিল করেন আদালত। গত ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য বেগম বেগম খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হয়। টানা ১৭ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর লন্ডন ক্লিনিক থেকে গত ২৫ জানুয়ারি বেগম খালেদা জিয়াকে তারেক রহমানের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। অর্ধযুগের বেশি সময় পর এবার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ উদ্‌যাপন করেছেন বেগম খালেদা জিয়া।
বেগম খালেদা জিয়া ২০১৮ সালে একটি মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন। কভিড-১৯ মহামারির সময় বিগত সরকার তাকে বিশেষ বিবেচনায় কারামুক্তি দেয়। তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কারাবন্দি অবস্থায় চারটি ঈদ কেটেছে কারাগারে ও বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে। বর্তমানে তারেক রহমানের বাসায় চিকিৎসাধীন বেগম খালেদা জিয়ার পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্য পরীক্ষা চলছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসসহ শারীরিক নানা অসুস্থতায় ভুগছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

৩০ এপ্রিল দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া আসছেন জোবাইদা শার্মিলা ও নাতনিরা

আপডেট সময় : ১২:০০:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া লন্ডনে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরছেন। চলতি মাসের শেষ দিনে অর্থ্যাৎ ৩০ এপ্রিল মাতৃভুমি বাংলাদেশে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন । সব ঠিক থাকলে আগামী ৩০ এপ্রিল দেশে ফিরবেন তিনি। তার সঙ্গে বাংলাদেশে ফিরছেন তার দুই পুত্রবধূ তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান, আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি এবং তিন নাতনী। নাতনীরা হলেন, অ্যাডভোকেট জাইমা রহমান, জাহিয়া রহমান ও জামিয়া রহমান। যদি কোনো কারণে শারিরীক অসুস্থতা বেড়ে গেলে তার ফিরতে দেরি হতে পারে। বিএনপির মিডিয়া সেল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তথ্যমতে, দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান এবং আরাফাত রহমান কোকোর (খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে) স্ত্রী সৈয়দা শার্মিলা রহমান ও নাতনিরা বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেশে ফিরছেন। বর্তমানে লন্ডনে বড় ছেলে তারেক রহমান-এর বাসায় চিকিৎসাধীন বেগম খালেদা জিয়ার পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্য পরীক্ষা চলছে। চিকিৎসক সূত্রে জানা গেছে, খালেদা জিয়ার ফাইনাল চেক আপ শেষ হয়েছে। তিনি এখন মোটামুটি সুস্থ।
মিডিয়া সেল সূত্র জানায়, কাতারের বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে বেগম খালেদা জিয়াকে দেশে ফেরানোর প্রস্তুতি চলছে। সব ঠিক থাকলে তিনি আগামী ৩০ এপ্রিল দেশে ফিরবেন। কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, বেগম খালেদা জিয়াকে লন্ডন থেকে দেশে ফেরাতে কাতারের বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের আয়োজন করতে সাম্প্রতিক বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনকে চিঠি লিখেছেন। ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য বর্তমানে লন্ডনে রয়েছেন। তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল, তবে ‘আশঙ্কামুক্ত’ নয়। তিনি দেশে ফিরতে চেয়েছেন। ওনার শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় চিকিৎসক বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে দেশে ফেরাতে পরামর্শ দিয়েছেন।
অপর সূত্র জানায়, বিএনপির মহাসচিবের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার লন্ডন ও দোহার বাংলাদেশ হাইকমিশনের মাধ্যমে সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে দেশে ফেরাতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের এক আদেশে বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি পান। এরপর দুর্নীতির যে দুটি মামলায় তিনি কারাবন্দি ছিলেন, সেগুলোর রায় বাতিল করেন আদালত। গত ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য বেগম বেগম খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হয়। টানা ১৭ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর লন্ডন ক্লিনিক থেকে গত ২৫ জানুয়ারি বেগম খালেদা জিয়াকে তারেক রহমানের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। অর্ধযুগের বেশি সময় পর এবার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ উদ্‌যাপন করেছেন বেগম খালেদা জিয়া।
বেগম খালেদা জিয়া ২০১৮ সালে একটি মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন। কভিড-১৯ মহামারির সময় বিগত সরকার তাকে বিশেষ বিবেচনায় কারামুক্তি দেয়। তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কারাবন্দি অবস্থায় চারটি ঈদ কেটেছে কারাগারে ও বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে। বর্তমানে তারেক রহমানের বাসায় চিকিৎসাধীন বেগম খালেদা জিয়ার পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্য পরীক্ষা চলছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসসহ শারীরিক নানা অসুস্থতায় ভুগছেন।