ঢাকা ০৮:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

৩১ দিন পর খোলা আকাশের নিচে মুক্তির নিঃশ্বাস

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৮:০০:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৪ ২৫০ বার পড়া হয়েছে

৩১টা দিন পর জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্ত বাংলাদেশি ২৩ নাবিক : ছবি সংগ্রহ

দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

৩১টা দিনের প্রতিটি মুহূর্ত কতোটা আশঙ্কার মধ্যে কেটেছে, সেই অনুভূতি কতোটা নির্মম তা জিম্মি দশা থেকে মুক্ত নাবিকরাই বলতে পারবেন।

সোমালিয়ান জলদস্যুদের দাবি করা মুক্তিপণের ডলার মিটিয়ে দেবার পর বাংলাদেশ সময় শনিবার (১৩ এপ্রিল) দিবাগত রাত সোয়া তিনটা নাগাদ জিম্মি জাহাজ ও নাবিকদের অক্ষত অবস্থায় মুক্তি দেয় জলদস্যুরা।

দস্যু মুক্ত হবার পর কয়লা বোঝাই জাহাজটি সংক্তযুক্ত আরব আমিরাতের পথে যাত্রা করে। মুক্ত নাবিকেরা মুক্তির আনন্দে একে অপরকে জড়িয়ে কেউ কেউ কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। ৩১টি দিন সাক্ষাত জমদূতের সঙ্কে কাটিয়েছেন তারা।

দস্যুদের হাতে ভারি অস্ত্র। কখন যে কি হয়ে যায়, সেই দুশ্চিন্তায় গা হিম হয়ে জিম্মি নাবিকদের। মুখে খাবার দিয়েও তারা চিবুতে পারেন না। তারা কি এই অবস্থা থেকে মুক্তি হতে পারবেন না? এমন চিন্তাও মাথায় ঘুরপাক খায়।

৩১টা দিন পর জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্ত বাংলাদেশি ২৩ নাবিক : ছবি সংগ্রহ

অবশেষে জলদস্যুদের মুক্তিপণের ডলার মিটিয়ে দেন বাংলাদেশি জাহাজ মালিক। তাতেই নাবিক ও জাহাজ দস্যুৗমুক্ত হয়। মুক্ত হয়ে নাবিকরা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ফোন করে কথা বলেন। এরপর বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা হাতে হাসিমুখে ছবি তোলার দৃশ্য পোস্ট করেন।

যেভাবে মুক্তিপণের ডলার দেওয়া হয়

জানা গিয়েছে, জলদস্যুদের দাবিকৃত মুক্তিপণ নিয়ে একটি বিমান বাংলাদেশ সময় শনিবার বিকেলে জিম্মি জাহাজের ওপর কয়েক দয়া চক্কর দেয়। তখন জাহাজের ওপরে ২৩ নাবিক অক্ষত অবস্থায় দেখতে পেয়ে বিমান থেকে ডলারভর্তি তিনটি ব্যাগ সাগরে ফেলা দেয়া হয়।

জলদস্যুরা স্পিডবোট দিয়ে ব্যাগ তিনটি কুড়িয়ে নেয়। জাহাজে উঠে দাবি অনুয়ায়ী মুক্তিপণ গুনে নেয় জলদস্যুরা। যদিও মুক্তিপণ কত এবং কীভাবে দেয়া হয়েছে সেটি নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি জাহাজ কোম্পানি।

বাংলাদেশের নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, জলদস্যুরদের মুক্তিপণ দিয়ে নাবিকদের উদ্ধারের তথ্য সরকারের কাছে নেই।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

৩১ দিন পর খোলা আকাশের নিচে মুক্তির নিঃশ্বাস

আপডেট সময় : ০৮:০০:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৪

 

৩১টা দিনের প্রতিটি মুহূর্ত কতোটা আশঙ্কার মধ্যে কেটেছে, সেই অনুভূতি কতোটা নির্মম তা জিম্মি দশা থেকে মুক্ত নাবিকরাই বলতে পারবেন।

সোমালিয়ান জলদস্যুদের দাবি করা মুক্তিপণের ডলার মিটিয়ে দেবার পর বাংলাদেশ সময় শনিবার (১৩ এপ্রিল) দিবাগত রাত সোয়া তিনটা নাগাদ জিম্মি জাহাজ ও নাবিকদের অক্ষত অবস্থায় মুক্তি দেয় জলদস্যুরা।

দস্যু মুক্ত হবার পর কয়লা বোঝাই জাহাজটি সংক্তযুক্ত আরব আমিরাতের পথে যাত্রা করে। মুক্ত নাবিকেরা মুক্তির আনন্দে একে অপরকে জড়িয়ে কেউ কেউ কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। ৩১টি দিন সাক্ষাত জমদূতের সঙ্কে কাটিয়েছেন তারা।

দস্যুদের হাতে ভারি অস্ত্র। কখন যে কি হয়ে যায়, সেই দুশ্চিন্তায় গা হিম হয়ে জিম্মি নাবিকদের। মুখে খাবার দিয়েও তারা চিবুতে পারেন না। তারা কি এই অবস্থা থেকে মুক্তি হতে পারবেন না? এমন চিন্তাও মাথায় ঘুরপাক খায়।

৩১টা দিন পর জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্ত বাংলাদেশি ২৩ নাবিক : ছবি সংগ্রহ

অবশেষে জলদস্যুদের মুক্তিপণের ডলার মিটিয়ে দেন বাংলাদেশি জাহাজ মালিক। তাতেই নাবিক ও জাহাজ দস্যুৗমুক্ত হয়। মুক্ত হয়ে নাবিকরা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ফোন করে কথা বলেন। এরপর বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা হাতে হাসিমুখে ছবি তোলার দৃশ্য পোস্ট করেন।

যেভাবে মুক্তিপণের ডলার দেওয়া হয়

জানা গিয়েছে, জলদস্যুদের দাবিকৃত মুক্তিপণ নিয়ে একটি বিমান বাংলাদেশ সময় শনিবার বিকেলে জিম্মি জাহাজের ওপর কয়েক দয়া চক্কর দেয়। তখন জাহাজের ওপরে ২৩ নাবিক অক্ষত অবস্থায় দেখতে পেয়ে বিমান থেকে ডলারভর্তি তিনটি ব্যাগ সাগরে ফেলা দেয়া হয়।

জলদস্যুরা স্পিডবোট দিয়ে ব্যাগ তিনটি কুড়িয়ে নেয়। জাহাজে উঠে দাবি অনুয়ায়ী মুক্তিপণ গুনে নেয় জলদস্যুরা। যদিও মুক্তিপণ কত এবং কীভাবে দেয়া হয়েছে সেটি নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি জাহাজ কোম্পানি।

বাংলাদেশের নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, জলদস্যুরদের মুক্তিপণ দিয়ে নাবিকদের উদ্ধারের তথ্য সরকারের কাছে নেই।