৫ বছর পর শেরপুরের চাঞ্চল্যকর ফকির আলী হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন, গ্রেপ্তার ১
- আপডেট সময় : ০৯:৫৩:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ মার্চ ২০২৪ ২৪৩ বার পড়া হয়েছে
দীর্ঘ ৫ বছর পর উদঘাটন হলো ফকির আলী হত্যা রহস্য। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্তে নেমে হত্যার রহস্য উদঘাটনের পাশাপাশি ইমতিয়াজ আলী (২৯) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
হত্যা কাণ্ডের সঙ্গে জামাতা মাসুদ শ্বশুর ফকির আলীকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। ১৫ মার্চ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক দেয় গ্রেপ্তার ইমতিয়াজ আলী। হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার কথাও সে আদালতে স্বীকার করে।
পিবিআই, র্যাব ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে ১৩ মার্চ রাতে ইমতিয়াজ আলীকে ঢাকার তুরাগ থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত ইমতিয়াজ আলী শেরপুর সদর উপজেলার ৭ নং চর গ্রামের আক্কাছ আলীর ছেলে।
পিবিআই জানায়, শেরপুর সদর উপজেলার ৭ নং চর গ্রামের আমের আলী ওরফে ফকির আলীর মেয়েকে প্রেম করে বিয়ে করে একই এলাকার মাসুদ। কিন্তু ফকির আলী এ বিয়ে মেনে নেয়নি। এ জন্য মাসুদ তার নিজ আত্মীয় স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে গোপন বৈঠক করে ফকির আলীকে মেরে ফেলার ষড়যন্ত্র করে।
২০১৯ সালের ১৭ আগষ্ট জামালপুরের পাতালিয়ায় কাজে যায় ফকির আলী ও আসামীরা। পরবর্তীতে আসামীরা তাদের বাড়ীতে চলে আসলেও ফকির আলী আর বাড়ি ফিরে আসেনি। দুইদিন পর পাশ্ববর্তী ৬ নং চর গ্রামের রিপন খানের ধৈঞ্চা ক্ষেতে তার গলায় গামছা পেচানো অর্ধগলিত মরদেহ পাওয়া যায়।
শেরপুর সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন ফকির আলীর স্ত্রী কল্পনা বেগম। কিন্তু দীর্ঘ এক বছরেও মামলার রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ হওয়ায় বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে পুলিশ হেডকোয়ার্টার পিবিআইকে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেয়।
এ ব্যাপারে তদন্ত কর্মকর্তা এসআই জহুরুল ইসলাম জানান, আমরা দীর্ঘ তদন্ত শেষে মামলার রহস্য উদঘাটনে সক্ষম হয়েছি। ইতিমধ্যে আসামী ইমতিয়াজ আলীকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং সে আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী দিয়েছে।