৬ আগস্ট বিমানবন্দরে আটক হাছান মাহমুদ পালিয়ে যাবার গুজব!
- আপডেট সময় : ০৭:১৪:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১১৩ বার পড়া হয়েছে
৬ আগস্ট বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার সময় সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদকে বিমানবন্দরে আটক করা হয়। সেদিন বিকেলে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম সংবাদ প্রকাশ করে।
৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অবিস্মরণীয় অভ্যুত্থানের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দুপুরে দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। এ অবস্থায় হাসিনা সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা দিশেহারা হয়ে পড়ে। নিজেকে রক্ষায় অনেকেই দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়।
অবশ্য ৫ আগস্ট বিকেলে কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিরাজমান পরিস্থিতি নিয়ে ঢাকায় অবস্থানরত বিদেশি মিশন, জাতিসংঘসহ বিভিন্ন সংস্থাপ্রধানদের ব্রিফ করার কথা ছিল হাছান মাহমুদের। কিন্তু সেদিন সকাল থেকেই কার্ফু ভেঙ্গে নারী-পুরুষসহ সর্বস্তরের
হাজারো মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। বন্ধ হয়ে যায় যানবাহন চলাচল। ফলে সিদ্ধান্ত বাতিল করে গা ঢাকা দেনহাছান মাহমুদ।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ড. হাছান মাহমুদকে আটকের তথ্য জানায়। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের দেয়া তথ্যমতে সংবাদমাধ্যমগুলো বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার সময় শেখ হাসিনার সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আটক করা হয়েছে বরেল সংবাদ প্রকাশ করে।
শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ছাড়ার পর থেকেই আড়ালে ছিলেন হাছান মাহমুদ। অনেকে সুযোগ বুঝে আগেভাগেই দেশ ছাড়তে পারলেও এখন অনেক এমপি-মন্ত্রীসহ আওয়ামী লীগের নেতারা প্রাণভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
একদিনে ক্ষমতাচ্যুত সরকারের আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আটক করা হয়। তিনি ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহার করে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন বলে জানা গেছে। কিন্তু হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ তাকে আটকে দেন।
বিমানবন্দর সূত্র জানায়, মঙ্গলবার বিকেল তিনটার দিকে পলক তার ব্যক্তিগত দুজন কর্মকর্তাকে নিয়ে বিমানবন্দরে যান। তবে তাকে বিমানে উঠতে না দিয়ে ইমিগ্রেশন হেফাজতে রাখা হয়। পলক ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহার করে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন পলক।