৬ হাজার কোটি টাকার ওষুধ রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ
- আপডেট সময় : ০৮:৪৭:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ৩৩৮ বার পড়া হয়েছে
বর্হিবিশ্বে বাংলাদেশের ওষুধের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। অথচ ৫০ বছর আগে ওষুধ প্রাপ্তির জন্য অন্যের মুখাপেক্ষী হতে হয়েছে। বর্তমানে দেশের চাহিদা মিটিয়ে ইউরোপ ও আমেরিকাসহ সারাবিশ্বের ১৫৭টি দেশে ওষুধ রপ্তানি করছে বাংলাদেশ।
এরই ধারাবাহিকতায় চলতি অর্থ বছরের ৬ মাসে প্রায় ৫ হাজার ৯০০ কোটি ৫৪ লাখ ৫৬ হাজার ৯০৩ টাকার ওষুধ রপ্তানি করা হয়েছে। ওষুধ রপ্তানি উৎসাহিত করতে সরকারিভাবে প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে এবং চলতি বছরও ১০ শতাংশ হারে প্রণোদনা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন খানের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে তিনি সংসদকে এ তথ্য জানান। এসময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, বর্তমানে ইউরোপ ও আমেরিকাসহ সারা বিশ্বের ১৫৭টি দেশে বাংলাদেশে উৎপাদিত প্রায় সব ধরনের ওষুধ রপ্তানি করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশের ওষুধ শিল্পে উত্তরোত্তর উন্নতি হচ্ছে। দেশের মোট চাহিদার ৯৮ শতাংশ ওষুধ দেশেই উৎপাদিত হয়। বর্তমানে ইউরোপ ও আমেরিকাসহ সারা বিশ্বের ১৫৭টিরও বেশি দেশে ওষুধ রপ্তানি করা হচ্ছে।
দেশে উৎপাদিত ওষুধ বিদেশে রপ্তানিতে উৎসাহিত করার জন্য উৎপাদনকারীদের সরকারিভাবে প্রণোদনা দেওয়া হয়। ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাস হতে দেশে উৎপাদিত ওষুধের অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যালস ইনগ্রিডিয়েন্ট রপ্তানির জন্য ১০ শতাংশ হারে এবং ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য (মেডিকেল/সার্জিক্যাল) রপ্তানির জন্য ৮ শতাংশ হারে সরকারিভাবে প্রণোদনা প্রদান করা হবে বলে ফিনান্সিয়াল সার্কুলার জারি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বিগত বছরে দেশে উৎপাদিত ঔষধের অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যালস ইনগ্রিডিয়েন্ট রপ্তানীর জন্য ২০ শতাংশ হারে এবং ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য (মেডিকেল/সার্জিক্যাল সহ) রপ্তানির জন্য ১০ শতাংশ হারে সরকারিভাবে প্রণোদনা প্রদান করা হয়েছে।