ঢাকা ১০:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪

৮ জেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ২৯ লাখ মানুষ, দুই জনের মৃত্যু, রেল-সড়ক যোগাযোগ বন্ধ

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৩:৩৬:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অগাস্ট ২০২৪ ২০৫ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

বন্যায় ৮ জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত ২৯ লাখ মানুষ। মারা গেছেন দুজন। চলমান বন্যায় দেশের ৮ জেলার ৩৫৭টি ইউনিয়ন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে ৪ লাখ ৪০ হাজার ৮৪০টি পরিবার। মোট ক্ষতিগ্রস্ত লোকের সংখ্যা ২৯ লাখ ৪ হাজার ৯৬৪। এখন পর্যন্ত মারা গেছেন দুজন। ফেনীতে ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুইজনের মৃত্যু সংবাদ পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী রেজা।

আলী রেজা জানান, এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৫৩৪টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে ৭৫ হাজারের বেশি মানুষ।


এদিকে ত্রিপুরার তিনটি জেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, আগরতলা শহরেও পানি। গোমতী, ধলাই ও উনকোটি জেলা বন্যা কবলিত।

ত্রিপুরার ধলাইয়ের জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি গেই খুলে দিলে সেই পানি গোমতী নদী দিয়ে এসে কুমিল্লার বন্যা পরিস্থিতি অবণতি ঘটায়। অপর দিকে মনু, ফেণী ও এবং মুহুরী নদী দিয়ে আসা পানি ফেণী, লক্ষীপুর ও নোয়াখালীর বন্যা পরিস্তিতির অবণতি ঘটে। ধলাইয়ের বাঁধ খুলে দিলে হু হু করে পানি ঢুকে বাংলাদেশে।

বন্যার কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। ফেনী ও কুমিল্লার বিভিন্ন স্থানে রেললাইন পানিতে ডুবে গিয়ে রেল সেতুর ওপর দিয়েও পানি প্রবাহিত হচ্ছে। তাতে ঢাকা-চট্টগ্রামের সঙ্গে রেল ও সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। অপর দিকে মৌলভীবাজার জেলার বন্যা পরিস্থিতিও ভায়াবহ।

ভারতীয় পাহাড়ি ঢলের প্রবল চাপ ও অবিরাম ভারী বর্ষণে বন্যাদুর্গতদের উদ্ধারে সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর পাশাপাশি কোস্টগার্ড, বিজিবি, ফায়ারসার্ভিস ও স্বেচ্ছাসেবীরা যোগ দিয়েছেন। দুর্গত এলাকা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় ও পানির প্রবল স্রোত থাকায় ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধার কার্যক্রম।

অনেকে ত্রাণ নিয়ে তাদের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। তবে আগে উদ্ধার জরুরি বলে আকুতি জানাচ্ছেন লোকজন। তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে আটকে পড়া লোকদের উদ্ধারের দাবি জানাচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সকালে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে দুটি ট্রেন ছেড়ে গেলেও গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেনি। দুপুরের পর থেকে চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চলাচলরত আন্তঃনগরসহ সব ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।

চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা, জামালপুর, সিলেট ও চাঁদপুরে প্রতিদিন ১১টি আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করে। এ ছাড়া কক্সবাজার, নাজিরহাট, চাঁদপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহে লোকাল ও কমিউটার ট্রেন চলাচল করে নিয়মিত।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

৮ জেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ২৯ লাখ মানুষ, দুই জনের মৃত্যু, রেল-সড়ক যোগাযোগ বন্ধ

আপডেট সময় : ০৩:৩৬:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অগাস্ট ২০২৪

 

বন্যায় ৮ জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত ২৯ লাখ মানুষ। মারা গেছেন দুজন। চলমান বন্যায় দেশের ৮ জেলার ৩৫৭টি ইউনিয়ন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে ৪ লাখ ৪০ হাজার ৮৪০টি পরিবার। মোট ক্ষতিগ্রস্ত লোকের সংখ্যা ২৯ লাখ ৪ হাজার ৯৬৪। এখন পর্যন্ত মারা গেছেন দুজন। ফেনীতে ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুইজনের মৃত্যু সংবাদ পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী রেজা।

আলী রেজা জানান, এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৫৩৪টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে ৭৫ হাজারের বেশি মানুষ।


এদিকে ত্রিপুরার তিনটি জেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, আগরতলা শহরেও পানি। গোমতী, ধলাই ও উনকোটি জেলা বন্যা কবলিত।

ত্রিপুরার ধলাইয়ের জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি গেই খুলে দিলে সেই পানি গোমতী নদী দিয়ে এসে কুমিল্লার বন্যা পরিস্থিতি অবণতি ঘটায়। অপর দিকে মনু, ফেণী ও এবং মুহুরী নদী দিয়ে আসা পানি ফেণী, লক্ষীপুর ও নোয়াখালীর বন্যা পরিস্তিতির অবণতি ঘটে। ধলাইয়ের বাঁধ খুলে দিলে হু হু করে পানি ঢুকে বাংলাদেশে।

বন্যার কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। ফেনী ও কুমিল্লার বিভিন্ন স্থানে রেললাইন পানিতে ডুবে গিয়ে রেল সেতুর ওপর দিয়েও পানি প্রবাহিত হচ্ছে। তাতে ঢাকা-চট্টগ্রামের সঙ্গে রেল ও সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। অপর দিকে মৌলভীবাজার জেলার বন্যা পরিস্থিতিও ভায়াবহ।

ভারতীয় পাহাড়ি ঢলের প্রবল চাপ ও অবিরাম ভারী বর্ষণে বন্যাদুর্গতদের উদ্ধারে সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর পাশাপাশি কোস্টগার্ড, বিজিবি, ফায়ারসার্ভিস ও স্বেচ্ছাসেবীরা যোগ দিয়েছেন। দুর্গত এলাকা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় ও পানির প্রবল স্রোত থাকায় ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধার কার্যক্রম।

অনেকে ত্রাণ নিয়ে তাদের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। তবে আগে উদ্ধার জরুরি বলে আকুতি জানাচ্ছেন লোকজন। তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে আটকে পড়া লোকদের উদ্ধারের দাবি জানাচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সকালে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে দুটি ট্রেন ছেড়ে গেলেও গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেনি। দুপুরের পর থেকে চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চলাচলরত আন্তঃনগরসহ সব ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।

চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা, জামালপুর, সিলেট ও চাঁদপুরে প্রতিদিন ১১টি আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করে। এ ছাড়া কক্সবাজার, নাজিরহাট, চাঁদপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহে লোকাল ও কমিউটার ট্রেন চলাচল করে নিয়মিত।