অংকনের পর অবন্তিকার মৃত্যু, অভিযুক্তরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে
- আপডেট সময় : ০৩:২২:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ মার্চ ২০২৪ ২৩৫ বার পড়া হয়েছে
অংকনের পর অবন্তিকার মৃত্যু, আম্মান-দীন ইসলামরা বহাল তবিয়তে|শিক্ষার্থীদের অভিযোগের আঙ্গুল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের দিকে। অভিযোগ করে প্রক্টর অফিসে মানসিক নির্যা নের ক্কার হতে হয় অবন্তিকা ও তার বাবা-মাকে।
অবন্তিকার বিষয়টি ২০২২ সালেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানলেও কোনো সুরাহা হয়নি। বরং প্রক্টর অফিসে এ নিয়ে মানসিক নির্যাতন করা হয় অবন্তিকা ও তার বাবা-মাকে।
এমন অভিযোগ উপস্থাপন করে জগন্নাথের শিক্ষার্থীরা দাবি, দুই বছর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপর শিক্ষার্থী অংকন বিশ্বাসের রহস্যজনক মৃত্যু নিয়েও তদন্ত কমিটি করা হয়েছিল। কিন্তু সেই প্রতিবেদন আলোর মুখ দেখেনি। সেই ধারাবাহিকতায় এবারে অবন্তিকার আত্মহননের পালা।
শিক্ষার্থীদের দাবি, প্রশাসনের গাফিলতির কারণেই একটার পর একটা ঘটনা ঘটছে। তাতে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বদনাম ছড়াচ্ছে। এসব ঘটনায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা লজ্জিত।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, অবন্তিকার মৃত্যুর ঘটনায় ছাড় দেয়া হবে না কাউকে।
২০২২ সালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা-অপবাদমূলক তথ্য ছড়ানো নিয়ে অবন্তিকা ও আম্মান সিদ্দিকীর মধ্যে মনোমালিন্য দেখা দিলেও সমস্যার কোনো সুরাহা দিতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এরপর আরেক দফায় ২০২৩ সালেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয় প্রক্টর অফিসে, এমনটাই দাবি সহপাঠীদের।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী আইসিটি আইনে গ্রেফতার খাদিজার মুক্তির দাবিতেও সরব ছিলেন অবন্তিকা। এনিয়ে কোনো এক সহপাঠী তাকে হুমকি দেন। এমন কিছু স্ক্রিনশট এখন ঘুরছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। যেখানে দেখা যায়, তাকে উত্ত্যক্তকারীর বিরুদ্ধে প্রক্টর অফিসে অভিযোগ দিয়ে আটবার সেখানে গেলেও কোনো সমাধান পাননি অবন্তিকা।
২০২২ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অংকন বিশ্বাস নামের আরেক শিক্ষার্থী রহস্যজনক মৃত্যু হয়। পরবর্তীতে জানা যায়, শাকিল আহমেদ নামের একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থীর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল তার। সে সময়ও তার মৃত্যু নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সে পর্যন্তই। তদন্ত রিপোর্ট আজও আলোর মুখ দেখেনি।
এসব তথ্য বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দেখা যায়।