অতি বৃষ্টি ফলে উজানের পানিতে যশোরের কেশবপুর উপজেলার প্রায় ৫০টি গ্রাম প্লাবিত
- আপডেট সময় : ৯০ বার পড়া হয়েছে
অতি বৃষ্টি ও উজানের পানিতে যশোরের কেশবপুর পৌর শহরসহ উপজেলার প্রায় ৫০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানির চাপে আরো প্রায় ৩০টি গ্রাম বন্যার আশংকা দেখা দিয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানান, আজ মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত কত গুলি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে তার তথ্য তার কাছে নেই। তবে তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে। গত কয়েক দিনের থেমে থেমে বৃষ্টি এবং সোমবার (১৪ জুলাই) রাতে ও দিনে টানা বৃষ্টিতে কেশবপুর পৌরসভাসহ উপজেলার ১৪৩টি গ্রামের মধ্যে ইতিমধ্যে ৫০টি গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে। পানি বন্দি হয়েছে পড়েছে প্রায় ৭০ হাজার মানুষ। বন্যার ঝুঁকিতে রয়েছে আরো প্রায় ৩০টি গ্রাম। বুধবার রাতের মধ্যে এসব গ্রামে পানি প্রবেশ করবে বলে আশংকা করছেন ওই গ্রামের মানুষ। এরই মধ্যে তলিয়ে গেছে পৌর সভার মধ্যকুল, হাবাসপোল, ভবানীপুর, কেশবপুরের আংশিক, আলতাপোলের আংশিক, বালিয়াডাঙ্গার আংশিক, ব্রহ্মকাটির গ্রামের আংশিক এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পাশাপাশি তলিয়ে গেছে এসব এলাকার রাস্তাঘাট ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এছাড়া উপজেলার ভেরচী, ভরতভায়না আগরহাটি দশকাউনিয়া, কালিচরনপুর, কপালিয়া, শানতলা, কাটাখালি, বড়েঙ্গা, বুড়লী, পাঁজিয়া, নারানপুর, বিষ্ণুপর, মহাদেবপুর, আড়য়া, বেতীখোলা ও গৌরিঘোনাসহ প্রায় ৫০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বুধবার সকালে পৌর শহরের মধ্যকুল হাবাসপোল, আলতাপোল ও বালিয়াডাঙ্গাসহ বেশ কয়েকটি এলাকার মানুষ সরকারি সড়কসহ বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নেয়ার জন্য তাদেও বাড়ি থেকে মালামাল সরিয়ে নিচ্ছেন। মধ্যকুল গ্রামের হালিমা বেগম বলেন, তারা ঘরবাড়ি ছেলে যশোর-সাতক্ষীরা সড়কে আশ্রয় নিবেন। এছাড়া গোখাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। অপরিকল্পিত ভাবে নদী খননসহ মৎস্য ঘের করার ফলে উপজেলা ১৪৩ গ্রামের মধ্যে ৫০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। মাবন সৃষ্ট এ বন্যায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন এলাকাবাসী। সূত্র জানায়, পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সীমাহীন দুর্নীতি এবং সঠিক পরিকল্পনার অভাবে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে বন্যার ফলে কালিচ্যানপুর। কলাগাছি, মধ্যকুল, পাঁজিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় ২০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সংশ্লিষ্ট এলাকার রাস্তাঘাট প্লাবিত হওয়ায় ক্লাস বন্ধ ঘোষনা করেন।পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সীমাহীন দুর্নীতি এবং সঠিক পরিকল্পনার অভাবে এঅবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে বন্যার ফলে কালিচরনপুর, কলাগাছি, মধ্যকুল, পাঁজিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় ২০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সংশ্লিষ্ট এলাকার রাস্তাঘাট প্লাবিত হওয়ায় ক্লাস বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে। পৌর শহরের ভবানীপুর গ্রামের মিন্টু খান বলেন, কয়েক বছর ধরে বন্যায় তারা বছরে প্রায় ৬মাস পানিতে তলিয়ে থাকে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ রেকসোনা খাতুন বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ গ্রাম ও পরিবারের সংখ্যা নিরুপনের কাজ চলছে। এরই মধ্যে উজানের পানি ঠেকাতে হরিহর ও খোজাখালি খালসহ বিভিন্ন স্থানে বাঁধ দেয়া হয়েছে। পানি নিষ্কাশনে হরিহর নদীতে কচুরিপনা পরিষ্কারের কাজ চলমান রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে জরুরী ভিত্তিতে খাদ্য সহয়তা দিতে তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে।




















