ঢাকা ০৬:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

অবশেষে ২ বছর বাড়লো সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা

গিণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৪:১১:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪ ৭৪ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

অবশেষে ২ বছর বাড়লো সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা। সরকারী চাকরিতে প্রবেশের সময়সীমা পুরুষদের ৩৫ এবং নারীদের বেলায় ৩৭ বছর করার দাবিতে আন্দোলন করে আসছিলো চাকরি প্রত্যাশিরা।

অবশ্য বিগত আওয়ামী লীগ সরকার আমল থেকেই চাকরি প্রত্যাশিরা বয়স বাড়ানোর দাবি জানিয়ে আসছিলেন।

বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩২ বছর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

তবে চাকরি থেকে অবসরে যাওয়ার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। অর্থাৎ অবসরের বয়স এখন যা আছে, তা-ই থাকবে। চাকুরি প্রত্যাশিদের দাবির প্রেক্ষিতে গত ৩০ সেপ্টেম্বর সাবেক সচিব আবদুল মুয়ীদ চৌধুরীকে প্রধান করে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের পর্যালোচনায় কমিটি গঠন করে সরকার। বর্তমানে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সাধারণ বয়স ৩০ বছর।

তবে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটায় আবেদনের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩২ বছর। চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছিলেন একদল চাকরিপ্রত্যাশী। উপদেষ্টা পরিষদ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) সব ক্যাডারের চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩২ বছর নির্ধারিত হবে।

বিসিএসের আওতাবহির্ভূত সব সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রেও একই বয়স নির্ধারিত হবে। আর স্বায়ত্তশাসিত, আধা স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার ক্ষেত্রে নিজ নিজ নিয়োগ বিধিমালা প্রয়োজনীয় সংযোজন সাপেক্ষে এ বয়সের বিষয়টি প্রযোজ্য হবে।

তবে প্রতিরক্ষা কর্ম বিভাগগুলো এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ক্ষেত্রে স্ব স্ব নিয়োগ বিধিমালা বহাল থাকবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

অবশেষে ২ বছর বাড়লো সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা

আপডেট সময় : ০৪:১১:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪

 

অবশেষে ২ বছর বাড়লো সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা। সরকারী চাকরিতে প্রবেশের সময়সীমা পুরুষদের ৩৫ এবং নারীদের বেলায় ৩৭ বছর করার দাবিতে আন্দোলন করে আসছিলো চাকরি প্রত্যাশিরা।

অবশ্য বিগত আওয়ামী লীগ সরকার আমল থেকেই চাকরি প্রত্যাশিরা বয়স বাড়ানোর দাবি জানিয়ে আসছিলেন।

বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩২ বছর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

তবে চাকরি থেকে অবসরে যাওয়ার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। অর্থাৎ অবসরের বয়স এখন যা আছে, তা-ই থাকবে। চাকুরি প্রত্যাশিদের দাবির প্রেক্ষিতে গত ৩০ সেপ্টেম্বর সাবেক সচিব আবদুল মুয়ীদ চৌধুরীকে প্রধান করে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের পর্যালোচনায় কমিটি গঠন করে সরকার। বর্তমানে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সাধারণ বয়স ৩০ বছর।

তবে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটায় আবেদনের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩২ বছর। চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছিলেন একদল চাকরিপ্রত্যাশী। উপদেষ্টা পরিষদ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) সব ক্যাডারের চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩২ বছর নির্ধারিত হবে।

বিসিএসের আওতাবহির্ভূত সব সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রেও একই বয়স নির্ধারিত হবে। আর স্বায়ত্তশাসিত, আধা স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার ক্ষেত্রে নিজ নিজ নিয়োগ বিধিমালা প্রয়োজনীয় সংযোজন সাপেক্ষে এ বয়সের বিষয়টি প্রযোজ্য হবে।

তবে প্রতিরক্ষা কর্ম বিভাগগুলো এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ক্ষেত্রে স্ব স্ব নিয়োগ বিধিমালা বহাল থাকবে।