ঢাকা ০৫:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo কারাগারে ঈদের ৩ জামাত বন্দিদের বিশেষ আয়োজন Logo রাজধানীতে আসছে উত্তরাঞ্চলের মৌসুমি কসাই Logo জমে উঠছে রাজধানীর পশুরহাট ব্যাপারীরা ক্রেতার অপেক্ষায় Logo ভোগান্তিহীন স্বস্তির ঈদযাত্রা ঢাকার ভেতরেই যত বিড়ম্বনা Logo কালীগঞ্জে ৩ হাজার ২শত কৃষককে দেওয়া হল বিনামূল্যে সার ও বীজ Logo খাতের সফল খামারি উদ্যোক্তাদের মাঝে সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান Logo কাজী মামুনুর রশীদ কচি সদস্য হওয়াতে জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা Logo মৌলভীবাজার অনলাইন প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দের সাথে জাতীয় ভোক্তা অধিকারের মতবিনিময় সভা Logo ইসলামপুর ইউনিয়নে ঈদের চাল নিয়ে পরিষদ সদস্যকে মারপিটের অভিযোগ Logo মর্গ্যান স্কুলের দুর্নীতির তদন্তে যাওয়া ম্যাজিস্ট্রেটকে মারধর, ৬ শিক্ষকের নামে মামলা

অবহেলার কারণে সুন্দরবনের মধুর জিআই নিয়ে গেছে ভারত : সিপিডি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:২৯:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪ ৩৭৮ বার পড়া হয়েছে

অবহেলার কারণে সুন্দরবনের মধুর জিআই নিয়ে গেছে ভারত : সিপিডি

দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

সুন্দরবনের মধুর দুই-তৃতীয়াংশ বাংলাদেশের অংশ থেকে সংগৃহিত হয়

সংশ্লিষ্টদের অবহেলায় সুন্দরবনের মধুর জিআই নিয়ে গেছে ভারত: সিপিডি

সুন্দরবনের মধুর দুই-তৃতীয়াংশ সংগৃহিত হয় বাংলাদেশের অংশ থেকে। আর ভারতের অংশে থেকে তুলনামূলক কম মধু সংগ্রহ করা হয়ে থাকে। সেই হিসেবে বাংলাদেশ সুন্দরবনের মধু ভৌগলিক পণ্যের দাবিদার। কিন্তু বাংলাদেশে প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অবহেলার কারণে মধুর ভৌগলিক পণ্যের মালিকানা ভারত নিয়ে গেছে।

প্রশাসন ও দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের অবহেলার কারণে সুন্দরবনের মধুর ভৌগলিক নির্দেশক পণ্যের (জিআই) মর্যাদা হারিয়েছে বলে মন্তব্য করেছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।

বুধবার (২৬ জুন) ধানমন্ডিতে সিপিডির কার্যালয়ে সুন্দরবনের মধু এখন ভারতের ভৌগলিক নির্দেশক পণ্য (জিআই) শীর্ষক সংলাপে সংস্থাটির ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য এ কথা বলেন।

দেবপ্রিয় বলেন, ভৌগলিক পণ্যের তালিকাভুক্ত করতে ২০১৭ সালের ৭ আগস্ট বাঘেরহাটের জেলা প্রশাসক সুন্দরবনের মধুকে ভৌগলিক পণ্য হিসেবে বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মাধ্যমে আবেদন করেন। এরপর ৭ বছর চলে যায়।

কিন্তু এই আবেদনকে কোনো গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। অন্যদিকে ভারত ২০২১ সালের ১২ জুলাই সুন্দরবনের মধুকে ভৌগলিক পণ্য হিসেবে তালিকাভুক্তির জন্য ভারতের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করে ২০২৪ সালের ১০ জানুয়ারিতে জিআই পণ্য হিসেবে সনদ পায়।

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, মধু বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পণ্য ও এই মধুকে বাংলাদেশের জিআই পণ্য হিসেবে তালিকাভুক্ত করার উদ্যোগও নেওয়া হয়। কিন্তু সরকারের সংশ্লিষ্টদের অবহেলা ও গুরুত্ব না দেওয়ার কারণে আগে আবেদনের পরও ভারত তা নিয়ে গেছে।

সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুনের সঞ্চালনায় সংলাপে উপস্থিত ছিলেন, বিশেষ ফেলো ড. মুস্তাফিজুর রহমান ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে গবেষণা কর্মকর্তা নাইমা হক।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

অবহেলার কারণে সুন্দরবনের মধুর জিআই নিয়ে গেছে ভারত : সিপিডি

আপডেট সময় : ০৩:২৯:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪

 

সুন্দরবনের মধুর দুই-তৃতীয়াংশ বাংলাদেশের অংশ থেকে সংগৃহিত হয়

সংশ্লিষ্টদের অবহেলায় সুন্দরবনের মধুর জিআই নিয়ে গেছে ভারত: সিপিডি

সুন্দরবনের মধুর দুই-তৃতীয়াংশ সংগৃহিত হয় বাংলাদেশের অংশ থেকে। আর ভারতের অংশে থেকে তুলনামূলক কম মধু সংগ্রহ করা হয়ে থাকে। সেই হিসেবে বাংলাদেশ সুন্দরবনের মধু ভৌগলিক পণ্যের দাবিদার। কিন্তু বাংলাদেশে প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অবহেলার কারণে মধুর ভৌগলিক পণ্যের মালিকানা ভারত নিয়ে গেছে।

প্রশাসন ও দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের অবহেলার কারণে সুন্দরবনের মধুর ভৌগলিক নির্দেশক পণ্যের (জিআই) মর্যাদা হারিয়েছে বলে মন্তব্য করেছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।

বুধবার (২৬ জুন) ধানমন্ডিতে সিপিডির কার্যালয়ে সুন্দরবনের মধু এখন ভারতের ভৌগলিক নির্দেশক পণ্য (জিআই) শীর্ষক সংলাপে সংস্থাটির ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য এ কথা বলেন।

দেবপ্রিয় বলেন, ভৌগলিক পণ্যের তালিকাভুক্ত করতে ২০১৭ সালের ৭ আগস্ট বাঘেরহাটের জেলা প্রশাসক সুন্দরবনের মধুকে ভৌগলিক পণ্য হিসেবে বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মাধ্যমে আবেদন করেন। এরপর ৭ বছর চলে যায়।

কিন্তু এই আবেদনকে কোনো গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। অন্যদিকে ভারত ২০২১ সালের ১২ জুলাই সুন্দরবনের মধুকে ভৌগলিক পণ্য হিসেবে তালিকাভুক্তির জন্য ভারতের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করে ২০২৪ সালের ১০ জানুয়ারিতে জিআই পণ্য হিসেবে সনদ পায়।

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, মধু বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পণ্য ও এই মধুকে বাংলাদেশের জিআই পণ্য হিসেবে তালিকাভুক্ত করার উদ্যোগও নেওয়া হয়। কিন্তু সরকারের সংশ্লিষ্টদের অবহেলা ও গুরুত্ব না দেওয়ার কারণে আগে আবেদনের পরও ভারত তা নিয়ে গেছে।

সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুনের সঞ্চালনায় সংলাপে উপস্থিত ছিলেন, বিশেষ ফেলো ড. মুস্তাফিজুর রহমান ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে গবেষণা কর্মকর্তা নাইমা হক।