ঢাকা ০৫:৪৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo `জুলাই চেতনায় ঐক্যবদ্ধ সাংবাদিক সমাজের অঙ্গীকার’ Logo ডামুড্যায় গরীব ও অসহায়দের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ Logo বিশ্বনাথে আলোকিত সুর সাংস্কৃতিক ফোরাম অভিষেক ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা Logo বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের এমডিসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে ঝিনাইদহে মামলা Logo সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্ম শিক্ষক নিয়োগের দাবীতে ঝিনাইদহে মানববন্ধন Logo ঝিনাইদহে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বিএনপির মতবিনিময় সভা Logo ভালো সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে অরবিন্দ শিশু হাসপাতাল ভূমিকা রাখছে Logo বন্ধু একাদশ হাকিমপুরকে হারিয়ে মুন্সিপাড়া ওয়ারিয়ার্স দিনাজপুর চ্যাম্পিয়ান Logo জয়পুরহাটে স্ত্রীকে হত্যার পর আত্মহত্যার চেষ্টা স্বামীর Logo ব্যস্ত সময় পার করছে প্রতিমা শিল্পীরা

অর্থনীতিতে গতি বাড়ানোর চেষ্টা করা হবে : অর্থ উপদেষ্টা

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ৩৭১ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

সব মানুষের জীবন এবং জীবিকার জন্য আমরা যথাসম্ভব চেষ্টা করবো। এমনি আশা প্রকাশ করেন অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমি মনে করি অর্থনীতির গতি মন্থর হয়ে গেছে। এই গতি আমরা বাড়াবো। আমরা চাচ্ছি সমতাভিত্তিক, ন্যায্যতা নিশ্চিত করতে। মানুষের আয়ের সংস্থান বাড়ুক, বাজারে মূল্যস্ফীতি কমুক।

শনিবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, কিছু কিছু লোক সিলেক্টেড, তারাই খালি তোষামোদ করে। আপনারা একটু প্রো-অ্যাকটিভ হবেন। আমাদের সাজেশন দেবেন। আমি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ছিলাম, যখনই কিছু বলতাম বলত স্যার আমরা সব করে ফেলব। এরকম রিঅ্যাকটিভ হলে তো কাজ হবে না। এ অভিজ্ঞতা আমার হয়েছে।

ব্যাংকিং কমিশন সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি সংস্কারের আগে ব্যাংকের ওপর আস্থার বিষয়গুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের সব কার্যক্রম চালু হোক তারপর। এখন ইমিডিয়েট এটি করতে গেলে তো অন্য সব কাজ বন্ধ হয়ে যাবে।

মূল্যস্ফীতি নিয়ে তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতির ক্ষেত্রে আমাদের ক্ষুদ্র অর্থনীতি ছাড়াও এতোদিন কিছু ভুল ছিল। উন্নয়ন কৌশল নীতির সুফল কিন্তু মানুষ পায়নি। আমরা চাচ্ছি সমতাভিত্তিক, ন্যায্যতা নিশ্চিত করতে। মানুষের আয়ের সংস্থান বাড়ুক, বাজারে মূল্যস্ফীতি কমুক। সব মানুষের জীবন এবং জীবিকার জন্য আমরা যথাসম্ভব চেষ্টা করব।

টাকা পাচার প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, সেটা আমরা জানি। ওটার একটা প্রক্রিয়া আছে। তথ্য লাগবে। যাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে করতে হয় এটি আমরা করব।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করলে তিনি জবাবদিহিতার আওতা থেকে বের হয়ে যাবেন কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে সাবেক এই গভর্নর বলেন, সেখানে একটি প্রক্রিয়ার ব্যাপার আছে। পদত্যাগপত্র তিনি দিয়েছেন। সেটা আমি একা সিদ্ধান্ত নেবো না। কাল বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবো।

এটা একটা সেনসিটিভ বিষয়। বাংলাদেশ ব্যাংক বা বাংলাদেশের যথেষ্ট আইন কানুন আছে, কিন্তু সেটা মানা হয়নি। যারা মানাবে তারা মানেনি, যারা মানবে তারাও মানেনি। যারা মানেনি নিশ্চয়ই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

অর্থনীতিতে গতি বাড়ানোর চেষ্টা করা হবে : অর্থ উপদেষ্টা

আপডেট সময় :

 

সব মানুষের জীবন এবং জীবিকার জন্য আমরা যথাসম্ভব চেষ্টা করবো। এমনি আশা প্রকাশ করেন অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমি মনে করি অর্থনীতির গতি মন্থর হয়ে গেছে। এই গতি আমরা বাড়াবো। আমরা চাচ্ছি সমতাভিত্তিক, ন্যায্যতা নিশ্চিত করতে। মানুষের আয়ের সংস্থান বাড়ুক, বাজারে মূল্যস্ফীতি কমুক।

শনিবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, কিছু কিছু লোক সিলেক্টেড, তারাই খালি তোষামোদ করে। আপনারা একটু প্রো-অ্যাকটিভ হবেন। আমাদের সাজেশন দেবেন। আমি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ছিলাম, যখনই কিছু বলতাম বলত স্যার আমরা সব করে ফেলব। এরকম রিঅ্যাকটিভ হলে তো কাজ হবে না। এ অভিজ্ঞতা আমার হয়েছে।

ব্যাংকিং কমিশন সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি সংস্কারের আগে ব্যাংকের ওপর আস্থার বিষয়গুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের সব কার্যক্রম চালু হোক তারপর। এখন ইমিডিয়েট এটি করতে গেলে তো অন্য সব কাজ বন্ধ হয়ে যাবে।

মূল্যস্ফীতি নিয়ে তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতির ক্ষেত্রে আমাদের ক্ষুদ্র অর্থনীতি ছাড়াও এতোদিন কিছু ভুল ছিল। উন্নয়ন কৌশল নীতির সুফল কিন্তু মানুষ পায়নি। আমরা চাচ্ছি সমতাভিত্তিক, ন্যায্যতা নিশ্চিত করতে। মানুষের আয়ের সংস্থান বাড়ুক, বাজারে মূল্যস্ফীতি কমুক। সব মানুষের জীবন এবং জীবিকার জন্য আমরা যথাসম্ভব চেষ্টা করব।

টাকা পাচার প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, সেটা আমরা জানি। ওটার একটা প্রক্রিয়া আছে। তথ্য লাগবে। যাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে করতে হয় এটি আমরা করব।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করলে তিনি জবাবদিহিতার আওতা থেকে বের হয়ে যাবেন কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে সাবেক এই গভর্নর বলেন, সেখানে একটি প্রক্রিয়ার ব্যাপার আছে। পদত্যাগপত্র তিনি দিয়েছেন। সেটা আমি একা সিদ্ধান্ত নেবো না। কাল বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবো।

এটা একটা সেনসিটিভ বিষয়। বাংলাদেশ ব্যাংক বা বাংলাদেশের যথেষ্ট আইন কানুন আছে, কিন্তু সেটা মানা হয়নি। যারা মানাবে তারা মানেনি, যারা মানবে তারাও মানেনি। যারা মানেনি নিশ্চয়ই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো।