ঢাকা ০২:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo আজীবন সম্মাননা পেলেন বিশ্বনন্দিত যাদুশিল্পী জুয়েল আইচ এবং কিংবদন্তী অভিনেত্রী আনোয়ারা শ্রেষ্ঠ নায়ক সজল শ্রেষ্ঠ নায়িকা পরীমণি Logo শীর্ষ সন্ত্রাসীদের যুদ্ধক্ষেত্রে রূপ নিচ্ছে ঢাকা! Logo গুজব ও শঙ্কায় সারাদেশ Logo গোলাম মাওলা সেতু দ্রুত নির্মাণের দাবি: জাতীয় প্রেসক্লাবে মানববন্ধন Logo শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে প্রসাশনের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত Logo ‘আগামী দশ বছরের মধ্যে দেশের নেতৃত্ব দেবে রাজপথে থাকা তরুণেরা’ Logo ময়মনসিংহে ট্রেনের ইঞ্জিনে আগুন, দুই ঘন্টা চলাচল বন্ধ Logo সুনামগঞ্জ-৪ আসনে ট্রাকের চাবি পেলেন তিমন চৌধুরী Logo ইসলামপুরে জাংক ফুড বিরোধী ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত Logo গোলাপগঞ্জে অপরাধ দমনে সক্রিয় পুলিশ, এক মাসে ১৫ মামলা নিস্পত্তি

অস্থির ডিমের বাজার, পেঁয়াজের সেঞ্চুরি, ডাবল সেঞ্চুরিতে পেঁয়াজ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ৪০৪ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে। কাঁচামরিচ থেকে শুরু করে ডিম, পেঁয়াজ, চাল, তেল, লবন সবখানেই সিন্ডিকেট। এই অদৃশ্য সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি সাধারণ মানুষ।

নিত্যপণ্যেও উচ্চমূল্যে পিষ্ট হচ্ছে সাধারণ মানুষ। তাদের দেখার যেন কেউ নেই। আর বাজার নিয়ন্ত্রণ? এতো কথাবার্তা মাত্র। সাধারণ ক্রেতা এখন শাখের করাতের নিচে।

বাজারে ডিমের ডজন ১৫০ ঘরে অনেক দিন থেকেই। ভোক্তার হাজারো
হা-হুতাস কোন কাজে আসেনি। এখন বাজারে পেঁয়াজের কেজি ১০০ টাকা। ২০০ টাকা কেজি কাঁচা মরিচ। ৬০ টাকার নিচে কোন কাঁচা তরকারি মিলছে না।

সাপ্তাহিক ছুটির দিন বলে কথা নেই। নিত্যবাজারও কাঁপিয়ে যাচ্ছে পণ্যমূল্য। সাধারণ মানুষ মূল্যস্ফিতি বোঝে না, তারা বোঝে সারাদিন কাজ শেষে যখন তারা বাজাওে যান, তখন তাদেও মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ে।

মজুরী যা মেলে, তার সঙ্গে আয়ের ব্যবধান বেড়ে চলেছে। ফলে প্রয়োজনের তুলনায় কম পণ্য কিনে সংসার সামলাতে হচ্ছে। এমন মানুষের সংখ্যা বৃহৎ।

পাইকারিতে ডিমের প্রতিটি বিক্রি হচ্ছে ১১ টাকা ৫০ পয়সা। খুচরা পর্যায়ে ডিমের ডজন ১৫০ টাকা। পাড়া-মহল্লায় আবার ১৬৫ টাকা ডজন। সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লারের কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৮০-২০০ টাকা।

সরবরাহ কম হওয়ার অজুহাতে সাতদিনের ব্যবধানে প্রায় সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে কেজিতে অন্তত ১৫ টাকা।

কাঁচামরিচের কেজি ঠেকেছে ১৬০-২০০ টাকায়। পেঁপের কেজি ৭০-৮০, বেগুনের কেজি ৮০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। পটল, ঢ্যাঁড়সের কেজি ৬০ টাকা। তবে কচুর লতি, বরবটি, কাঁকরোল বিক্রি হচ্ছে আরও ২০ টাকা বেশি দরে, অর্থাৎ ৮০ টাকার আশপাশে প্রতি কেজি।

গত সপ্তাহে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৯০ টাকায়। যা এক সপ্তাহ ব্যবধানে ৫-১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৯৫-১০০ টাকা কেজি। স্বস্তি নেই আদা-রসুনের দামেও। আলুর কেজি ৬০-৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আদার কেজি ১৬০-১৮০ টাকা।

পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা জানান, দেশি পেঁয়াজের মৌসুম যত শেষের দিকে যাচ্ছে, দাম তত বাড়ছে। আগামীতে এ দাম কোথায় গিয়ে ঠেকবে সেটা বলা যাচ্ছে না।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

অস্থির ডিমের বাজার, পেঁয়াজের সেঞ্চুরি, ডাবল সেঞ্চুরিতে পেঁয়াজ

আপডেট সময় :

 

বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে। কাঁচামরিচ থেকে শুরু করে ডিম, পেঁয়াজ, চাল, তেল, লবন সবখানেই সিন্ডিকেট। এই অদৃশ্য সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি সাধারণ মানুষ।

নিত্যপণ্যেও উচ্চমূল্যে পিষ্ট হচ্ছে সাধারণ মানুষ। তাদের দেখার যেন কেউ নেই। আর বাজার নিয়ন্ত্রণ? এতো কথাবার্তা মাত্র। সাধারণ ক্রেতা এখন শাখের করাতের নিচে।

বাজারে ডিমের ডজন ১৫০ ঘরে অনেক দিন থেকেই। ভোক্তার হাজারো
হা-হুতাস কোন কাজে আসেনি। এখন বাজারে পেঁয়াজের কেজি ১০০ টাকা। ২০০ টাকা কেজি কাঁচা মরিচ। ৬০ টাকার নিচে কোন কাঁচা তরকারি মিলছে না।

সাপ্তাহিক ছুটির দিন বলে কথা নেই। নিত্যবাজারও কাঁপিয়ে যাচ্ছে পণ্যমূল্য। সাধারণ মানুষ মূল্যস্ফিতি বোঝে না, তারা বোঝে সারাদিন কাজ শেষে যখন তারা বাজাওে যান, তখন তাদেও মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ে।

মজুরী যা মেলে, তার সঙ্গে আয়ের ব্যবধান বেড়ে চলেছে। ফলে প্রয়োজনের তুলনায় কম পণ্য কিনে সংসার সামলাতে হচ্ছে। এমন মানুষের সংখ্যা বৃহৎ।

পাইকারিতে ডিমের প্রতিটি বিক্রি হচ্ছে ১১ টাকা ৫০ পয়সা। খুচরা পর্যায়ে ডিমের ডজন ১৫০ টাকা। পাড়া-মহল্লায় আবার ১৬৫ টাকা ডজন। সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লারের কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৮০-২০০ টাকা।

সরবরাহ কম হওয়ার অজুহাতে সাতদিনের ব্যবধানে প্রায় সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে কেজিতে অন্তত ১৫ টাকা।

কাঁচামরিচের কেজি ঠেকেছে ১৬০-২০০ টাকায়। পেঁপের কেজি ৭০-৮০, বেগুনের কেজি ৮০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। পটল, ঢ্যাঁড়সের কেজি ৬০ টাকা। তবে কচুর লতি, বরবটি, কাঁকরোল বিক্রি হচ্ছে আরও ২০ টাকা বেশি দরে, অর্থাৎ ৮০ টাকার আশপাশে প্রতি কেজি।

গত সপ্তাহে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৯০ টাকায়। যা এক সপ্তাহ ব্যবধানে ৫-১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৯৫-১০০ টাকা কেজি। স্বস্তি নেই আদা-রসুনের দামেও। আলুর কেজি ৬০-৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আদার কেজি ১৬০-১৮০ টাকা।

পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা জানান, দেশি পেঁয়াজের মৌসুম যত শেষের দিকে যাচ্ছে, দাম তত বাড়ছে। আগামীতে এ দাম কোথায় গিয়ে ঠেকবে সেটা বলা যাচ্ছে না।