ঢাকা ০৪:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ধামরাইয়ে উপজেলা পরিষদের নবনির্মিত ভবনের ৪র্থ তলার টয়লেট থেকে লাশ উদ্ধার  Logo অর্থ বরাদ্দের দুই মাসেও সরকারি ঢেউটিন আসেনি উপজেলায় Logo মুরাদনগরে বিনামূল্যে আউশের বীজ ও সার বিতরণ Logo ডিমলায় দুই গ্রামের মানুষের ভরসা একমাত্র ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো  Logo শিবচরে সন্ত্রাসী হামলায় সাংবাদিক আহত Logo শেরপুরে সদরে চালককে হত্যা করে অটো ছিনতাই  Logo কুড়িগ্রামে নাশকতা বিরোধী বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার-৩১ Logo গাইবান্ধায় পদোন্নতিপ্রাপ্ত তিন পুলিশ সদস্যের  র‍্যাংক ব্যাজ পরিধান Logo বৃহত্তর আমরা খুলনাবাসীর দাবি গল্লামারী ব্রিজ দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে Logo জেসমিন প্রকল্পের উদ্যোগে নারী-পুরুষের সমতা সম্পর্ক বিষয়ক প্রচারণা

আইন অমান্যের সংস্কৃতি কতটা চূড়ান্ত হতে পারে, প্রমাণ দিল চট্টগ্রাম নগরী

বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১১:৫০:২৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ মার্চ ২০২৪ ৩০০ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগ্রহ

দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

একটা সাক্ষাত অগ্নিকুন্ডে বসবাস করছে বাণিজ্যিক নগরী চট্টগ্রামের বাসিন্দারা। নগরীর ৯৭ শতাংশ বহুতল ভবনই ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঝুঁকিতে রয়েছে। চিহ্নিত ভবনের কোনো ছাড়পত্রই নেই! এসব ভবনের ৯৩ শতাংশেরই অগ্নি নিরাপত্তা সংক্রান্ত অনাপত্তিপত্র নেই।

অনুমোদিত বা অনুমোদনহীন এবং ঝুঁকিপূর্ণ কোনো রেস্টুরেন্টেরই তালিকা নেই সংশ্লিষ্ট সংস্থার কাছে। এমন পরিস্থিতিতে অগ্নিঝুঁকি থেকে রক্ষায় দ্রুত ফায়ার সেফটি মাস্টারপ্ল্যান তৈরির পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।

সম্প্রতি বেসরকারি এক জরিপে গা শিউরে ওঠা এসব তথ্য ওঠে এসেছে। জরিপে উল্লেখ করা হয়, চট্টগ্রামে প্রায় ৭০ লাখ মানুষের বসবাস। প্রতিনিয়ত মানুষের পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বহুতল ভবনের সংখ্যাও।

জরিপ দলের প্রধান চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. শাহ জালাল মিশুক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, যেসব ওয়ার্ডে সর্বোচ্চ সংখ্যক অগ্নিকান্ড ঘটেছে, সেটাকে জরিপের আওতায় আনা হচ্ছে।

তবে ভবনগুলোতে অগ্নি নিরাপত্তা তদারকির দায়িত্বে থাকা সংস্থাগুলোর ভূমিকা ও নকশা অনুযায়ী ভবন নির্মাণ হচ্ছে কিনা তার তদারকি নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। যে কোনো ট্র্যাজেডির পরে নড়েচড়ে বসে এই সমস্ত সংস্থাগুলো।

বেশির ভাগ বহুতল আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবনে পর্যাপ্ত অগ্নি নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেই। ভবনের কাজ শুরুর আগে ফায়ার সার্ভিস থেকে অনাপত্তিপত্র নেয়ার বিধান থাকলেও ৯৩ শতাংশ ভবনের অনাপত্তিপত্র নেই।

এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস সংবাদমাধ্যমকে জানান, যে সমস্ত বহুতল ভবনে নিয়ম বহির্ভূত কাজ করা হবে, সেখানে ব্যবস্থা নেয়া হবে। যারা অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি, সে বিষয়টি ফায়ার সার্ভিসকে জানানো হবে।

গত বছর ঢাকার বঙ্গবাজারে আগুনের পর চট্টগ্রামের বিপণিবিতানগুলো নিয়ে জরিপ কার্যক্রম শুরু করেছিল ফায়ার সার্ভিস। সেখানে হর্কাস মার্কেট, টেরিবাজারসহ দুই শতাধিক মার্কেটকে উচ্চ ঝুঁকি হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। ফায়ার সার্ভিসের কাছে রেস্টুরেন্টের কোনো তালিকা নেই বলে জানান, চট্টগ্রাম অঞ্চল ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মো. আবদুল মালেক।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

আইন অমান্যের সংস্কৃতি কতটা চূড়ান্ত হতে পারে, প্রমাণ দিল চট্টগ্রাম নগরী

আপডেট সময় : ১১:৫০:২৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ মার্চ ২০২৪

 

একটা সাক্ষাত অগ্নিকুন্ডে বসবাস করছে বাণিজ্যিক নগরী চট্টগ্রামের বাসিন্দারা। নগরীর ৯৭ শতাংশ বহুতল ভবনই ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঝুঁকিতে রয়েছে। চিহ্নিত ভবনের কোনো ছাড়পত্রই নেই! এসব ভবনের ৯৩ শতাংশেরই অগ্নি নিরাপত্তা সংক্রান্ত অনাপত্তিপত্র নেই।

অনুমোদিত বা অনুমোদনহীন এবং ঝুঁকিপূর্ণ কোনো রেস্টুরেন্টেরই তালিকা নেই সংশ্লিষ্ট সংস্থার কাছে। এমন পরিস্থিতিতে অগ্নিঝুঁকি থেকে রক্ষায় দ্রুত ফায়ার সেফটি মাস্টারপ্ল্যান তৈরির পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।

সম্প্রতি বেসরকারি এক জরিপে গা শিউরে ওঠা এসব তথ্য ওঠে এসেছে। জরিপে উল্লেখ করা হয়, চট্টগ্রামে প্রায় ৭০ লাখ মানুষের বসবাস। প্রতিনিয়ত মানুষের পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বহুতল ভবনের সংখ্যাও।

জরিপ দলের প্রধান চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. শাহ জালাল মিশুক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, যেসব ওয়ার্ডে সর্বোচ্চ সংখ্যক অগ্নিকান্ড ঘটেছে, সেটাকে জরিপের আওতায় আনা হচ্ছে।

তবে ভবনগুলোতে অগ্নি নিরাপত্তা তদারকির দায়িত্বে থাকা সংস্থাগুলোর ভূমিকা ও নকশা অনুযায়ী ভবন নির্মাণ হচ্ছে কিনা তার তদারকি নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। যে কোনো ট্র্যাজেডির পরে নড়েচড়ে বসে এই সমস্ত সংস্থাগুলো।

বেশির ভাগ বহুতল আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবনে পর্যাপ্ত অগ্নি নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেই। ভবনের কাজ শুরুর আগে ফায়ার সার্ভিস থেকে অনাপত্তিপত্র নেয়ার বিধান থাকলেও ৯৩ শতাংশ ভবনের অনাপত্তিপত্র নেই।

এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস সংবাদমাধ্যমকে জানান, যে সমস্ত বহুতল ভবনে নিয়ম বহির্ভূত কাজ করা হবে, সেখানে ব্যবস্থা নেয়া হবে। যারা অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি, সে বিষয়টি ফায়ার সার্ভিসকে জানানো হবে।

গত বছর ঢাকার বঙ্গবাজারে আগুনের পর চট্টগ্রামের বিপণিবিতানগুলো নিয়ে জরিপ কার্যক্রম শুরু করেছিল ফায়ার সার্ভিস। সেখানে হর্কাস মার্কেট, টেরিবাজারসহ দুই শতাধিক মার্কেটকে উচ্চ ঝুঁকি হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। ফায়ার সার্ভিসের কাছে রেস্টুরেন্টের কোনো তালিকা নেই বলে জানান, চট্টগ্রাম অঞ্চল ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মো. আবদুল মালেক।