ঢাকা ০৭:১০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫

আবারো ইসরায়েলি জাহাজ আটকে দেয়ার ঘোষণা হুতিদের

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:২৫:০০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫ ৩ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি নিপীড়নের বিরুদ্ধে আবারো ইয়েমেনের বিদ্রোহী হুতি গোষ্ঠীর প্রতিরোধ শুরু হয়েছে। তারা লোহিত সাগর, আরব সাগর, বাব আলমান্দাব প্রণালি ও এডেন উপসাগরে ইসরায়েলি জাহাজ আটকানোর ঘোষণা দিয়েছে।

গাজায় সীমান্ত পারাপার পুনরায় চালু করার পাশাপাশি অবরুদ্ধ অঞ্চলে মানবিক সহায়তা প্রবেশে দখলদার ইসরায়েলের ওপর চাপ সৃষ্টি করার জন্যই ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠীটির এই নৌ অবরোধ। মধ্যস্থতাকারীদের জন্য আব্দুল-মালিক আল-হুতির বেঁধে দেওয়া চার দিনের সময়সীমা শেষ হওয়ার পরপরই অবরোধের এ ঘোষণা এলো। গত মঙ্গলবার জারি করা এক বিবৃতিতে হুতি বাহিনী অবিলম্বে নৌ অবরোধ কার্যকর করার ঘোষণা দিয়েছে। এর সঙ্গে তারা সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, যেকোনো ইসরায়েলি জাহাজ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করতে চাইলে, নির্ধারিত অপারেশনাল জোনে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হবে। তারা জোর দিয়ে বলেছে, যতক্ষণ না দখলবাজ ইসরায়েল গাজায় সীমান্ত পারাপার আবার চালু করে, এবং উপত্যকাটিতে প্রয়োজনীয় খাদ্য ও চিকিৎসা রসদের প্রবেশ সহজ করছে, ততক্ষণ অবরোধ চলবে। বিবৃতিতে ফিলিস্তিনি জনগণের সঙ্গে ইয়েমেনের সংহতির কথাও বলা হয়েছে।
এদিকে হামাসের মুখপাত্র হাজেম কাসেম ১১ মার্চ সতর্ক করে বলেন, টানা দশম দিনের মতো খাদ্য সরবরাহে ইসরায়েলের বাধার কারণে গাজা সত্যিকারের দুর্ভিক্ষের প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ইসরায়েলি আগ্রাসনের শুরু থেকেই গাজায় মানবিক পরিস্থিতি ভয়াবহ পর্যায়ে চলে যায়। এক বিবৃতিতে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় তীব্র খাদ্য সংকটের কথা তুলে ধরে হাজেম বলেন, অবরোধের ফলে প্রয়োজনীয় রসদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। তিনি উল্লেখ করেন, সীমান্ত পারাপার বন্ধ করে দেওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তির স্পষ্ট লঙ্ঘন, যা মানবিক সাহায্যের অবাধ প্রবেশে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে। হামাস ইসরায়েলি দখলদারত্বের এমন পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছে। গোষ্ঠীটি ওই অবরোধকে আন্তর্জাতিক মানবিক আইন এবং জেনেভা কনভেনশনের স্পষ্ট লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছে। তারা এটিকে স্পষ্ট যুদ্ধাপরাধ এবং বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে সামষ্টিক শাস্তি হিসেবে বর্ণনা করেছে। তারা সতর্ক করে দিয়েছে, ইসরায়েলি অবরোধের ফলে খাদ্যের দাম বেড়েছে। মানবিক বিপর্যয় বাড়তে থাকায় চিকিৎসা উপকরণের তীব্র ঘাটতি দেখা দিয়েছে।

ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীটি আরও বলেছে, সীমান্ত পারাপার বন্ধ করে দেওয়ায় গাজার পুনরুদ্ধার এবং পুনর্গঠন প্রচেষ্টা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ভারী যন্ত্রপাতি প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার ফলে ত্রাণ বিতরণকারী দলগুলো তাদের দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করতে পারছে না।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

আবারো ইসরায়েলি জাহাজ আটকে দেয়ার ঘোষণা হুতিদের

আপডেট সময় : ০২:২৫:০০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫

ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি নিপীড়নের বিরুদ্ধে আবারো ইয়েমেনের বিদ্রোহী হুতি গোষ্ঠীর প্রতিরোধ শুরু হয়েছে। তারা লোহিত সাগর, আরব সাগর, বাব আলমান্দাব প্রণালি ও এডেন উপসাগরে ইসরায়েলি জাহাজ আটকানোর ঘোষণা দিয়েছে।

গাজায় সীমান্ত পারাপার পুনরায় চালু করার পাশাপাশি অবরুদ্ধ অঞ্চলে মানবিক সহায়তা প্রবেশে দখলদার ইসরায়েলের ওপর চাপ সৃষ্টি করার জন্যই ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠীটির এই নৌ অবরোধ। মধ্যস্থতাকারীদের জন্য আব্দুল-মালিক আল-হুতির বেঁধে দেওয়া চার দিনের সময়সীমা শেষ হওয়ার পরপরই অবরোধের এ ঘোষণা এলো। গত মঙ্গলবার জারি করা এক বিবৃতিতে হুতি বাহিনী অবিলম্বে নৌ অবরোধ কার্যকর করার ঘোষণা দিয়েছে। এর সঙ্গে তারা সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, যেকোনো ইসরায়েলি জাহাজ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করতে চাইলে, নির্ধারিত অপারেশনাল জোনে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হবে। তারা জোর দিয়ে বলেছে, যতক্ষণ না দখলবাজ ইসরায়েল গাজায় সীমান্ত পারাপার আবার চালু করে, এবং উপত্যকাটিতে প্রয়োজনীয় খাদ্য ও চিকিৎসা রসদের প্রবেশ সহজ করছে, ততক্ষণ অবরোধ চলবে। বিবৃতিতে ফিলিস্তিনি জনগণের সঙ্গে ইয়েমেনের সংহতির কথাও বলা হয়েছে।
এদিকে হামাসের মুখপাত্র হাজেম কাসেম ১১ মার্চ সতর্ক করে বলেন, টানা দশম দিনের মতো খাদ্য সরবরাহে ইসরায়েলের বাধার কারণে গাজা সত্যিকারের দুর্ভিক্ষের প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ইসরায়েলি আগ্রাসনের শুরু থেকেই গাজায় মানবিক পরিস্থিতি ভয়াবহ পর্যায়ে চলে যায়। এক বিবৃতিতে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় তীব্র খাদ্য সংকটের কথা তুলে ধরে হাজেম বলেন, অবরোধের ফলে প্রয়োজনীয় রসদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। তিনি উল্লেখ করেন, সীমান্ত পারাপার বন্ধ করে দেওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তির স্পষ্ট লঙ্ঘন, যা মানবিক সাহায্যের অবাধ প্রবেশে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে। হামাস ইসরায়েলি দখলদারত্বের এমন পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছে। গোষ্ঠীটি ওই অবরোধকে আন্তর্জাতিক মানবিক আইন এবং জেনেভা কনভেনশনের স্পষ্ট লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছে। তারা এটিকে স্পষ্ট যুদ্ধাপরাধ এবং বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে সামষ্টিক শাস্তি হিসেবে বর্ণনা করেছে। তারা সতর্ক করে দিয়েছে, ইসরায়েলি অবরোধের ফলে খাদ্যের দাম বেড়েছে। মানবিক বিপর্যয় বাড়তে থাকায় চিকিৎসা উপকরণের তীব্র ঘাটতি দেখা দিয়েছে।

ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীটি আরও বলেছে, সীমান্ত পারাপার বন্ধ করে দেওয়ায় গাজার পুনরুদ্ধার এবং পুনর্গঠন প্রচেষ্টা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ভারী যন্ত্রপাতি প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার ফলে ত্রাণ বিতরণকারী দলগুলো তাদের দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করতে পারছে না।