ঢাকা ০৩:০৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo হাজারো মানুষের নদী পারাপারের একমাত্র মাধ্যম ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো Logo সাংবাদিক আলতাফ হোসেনের মৃত্যুবার্ষিকীতে দোয়া মাহফিল Logo চত্রা নদীতে গোসল করতে নেমে প্রবীণ ব্যক্তির মৃত্যু Logo গোলাপগঞ্জে ঢাকাদক্ষিণ সরকারী কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মঞ্জু গ্রেপ্তার Logo শতভাগ পদোন্নতি যোগ্য পদে প্রেষণে কর্মকর্তা নিয়োগের প্রতিবাদে দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডে কর্মচারীদের বিক্ষোভ Logo রামগতিতে বেড়েছে চুরি-ডাকাতি, আইনশৃঙ্খলার অবনতি Logo মানিকছড়িতে মাছের মিশ্রচাষ বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত Logo ময়মনসিংহে সড়ক দুর্ঘটনায় ট্রাকের চালক ও হেলাপার নিহত Logo শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়া বাড়ল ১৫ শতাংশ, পাবেন দুই ধাপে Logo ফেনীর ঐতিহাসিক ঘাটলা এখন জেলা জুড়ে

আবাসন ভাতা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে ধুঁয়াসা

নাইমুর রহমান
  • আপডেট সময় : ৩৮৬ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বহুল আকাঙ্ক্ষিত সম্পূরক বৃত্তি / আবাসন ভাতা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধুঁয়াশা। কতজনকে দেওয়া হবে, কোন পরিপ্রেক্ষিতে দেওয়া হবে, কাদেরকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে একাডেমিক ফলাফল কোন প্রভাব ফেলবে কিনা, কবে থেকে পাওয়া যাবে, কত টাকা পাবেন শিক্ষার্থীরা কতদিন পাবেন এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে অস্বস্তি কাজ করছে।

কেউ বলছেন আবাসন ভাতার নামে মেধাবীদের এখানে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে আবার কেউ বলছেন আবেদনে যে সংযুক্তি চাওয়া হয়েছে তা অহেতুক এবং ঝামেলাপূ্র্ণ । সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেকে নানান প্রতিক্রিয়া দেখান, ইসলাম শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থী বায়েজিদ বিন ফরিদুজ্জামান বলেন, আবাসন ভাতা নিয়ে দুইটা টার্ম এখন খুব আলোচনায়। হাই-সিজি এবং লো-সিজি!! আমরা যারা মাঝামাঝি-সিজি তে আছি, আমরা কোন দলে??

বিভিন্ন সময়ে আন্দোলন হলেও জগ্ননাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দাবিকৃত আবাসন ভাতা জুলাই অর্থবছর থেকে কার্যকর হওয়ার কথা থাকলেও নানা তালবাহানায় তা এখনও আটকে আছে। এখন নতুন করে যুক্ত হয়েছে কারা এই বিশেষ বৃত্তির আওতায় থাকবেন তা নিয়ে অনিশ্চয়তা।

গত ২৩ সেপ্টেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল শিক্ষার্থীদের জন্য চলতি বছরের অক্টোবর মাসের মধ্যেই আবাসন ভাতা প্রদানের দাবি জানায়।এদিকে অক্টোবর পেরিয়ে গেলেও শিক্ষার্থীরা তাদের আবাসন ভাতার টাকা পায়নি। এ নিয়ে প্রশাসন থেকে কয়েকবার নামসর্বস্ব কমিটি করা হলেও শিক্ষার্থীরা এর সুফল ভোগ করতে পারেনি। তাদেরকে প্রতিমাসেই গুনতে হয় কয়েক হাজার টাকা। বিপাকে অনেক শিক্ষার্থীরা কেউ টিউশনি হারিয়ে হতাশায় আবার কেউ ছাড়তে চান প্রিয় ক্যাম্পাস।

এর আগে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবির জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার পক্ষ থেকে ইউজিসিতে গেলে আগামী নভেম্বর মাসের আগেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা দুই খাত থেকে সম্পূরক বৃত্তি পাবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ। বৃত্তির এক অংশ অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে, আরেক অংশ ইউজিসি থেকে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি। কিন্তু অর্থ ছাড় না হলে জানুয়ারি থেকে তা কার্যকর হবে বলে জানা যায়।

আবাসন ভাতা / বিশেষ বৃত্তির টাকা কবে নাগাদ শিক্ষার্থীরা পাবে এমন প্রশ্নের জবাবে জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম পিএইচডি বলেন, সম্পূরক বৃত্তির টাকা ২০২৬ সালের জানুয়ারি মাস থেকে আমরা শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিতে পারব বলে আশাবাদী তবে অর্থ ছাড় হলে আগেও দেওয়া হতে পারে।

কারা এই বৃত্তির আওতায় থাকবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর তাজাম্মুল হক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষার্থীরা বিশেষ বৃত্তির আওতাধীন থাকবে। সে হিসেবে পয়লা জুলাই ২০২৫ পর্যন্ত যাদের ছাত্রত্ব ছিল, তারা বিশেষ বৃত্তি পাবে।আস-সুন্নাহ হল ও ফয়জুন্নেসা হলের শিক্ষার্থীদের আবেদন করার জন্য বলা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সব দিক বিবেচনা করে নির্ধারণ করবে কারা এই বিশেষ বৃত্তি পাবে।

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫ তম ব্যাচ এই বৃত্তি থেকে বাদ পড়ায় বিভিন্ন জনের মধ্যে এ নিয়ে রয়েছে মতভেদ।
বিশেষ বৃত্তি নিয়ে জবি শিবির সভাপতি বলেন, বিশেষ বৃত্তি বা আবাসন ভাতা যে নামেই হোক এটা হলো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য। যারা আবাসন সুবিধা পাবে না তাদের জন্য সামান্য পরিমাণ বৃত্তির ব্যাবস্থা করা।এই বৃত্তি দেওয়ার কথা ছিল জুলাই মাস থেকে। আমাদের দাবি হলো অবশ্যই জুলাই মাস থেকেই হিসেব করে বৃত্তি দিতে হবে।

তিনি বলেন, জুলাই মাস পর্যন্ত যাদের ছাত্রত্ব ছিল তাদের এক বৃত্তির আওতায় নিয়ে আসতে হবে।এই বৃত্তি দিতে গিয়ে ব্যাচের হিসেব টেনে নিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি করার কোনো সুযোগ নেই। প্রশাসন যদি ব্যাচের হিসেব করে কারোর প্রতি বৈষম্য করে তাহলে এটা হবে স্পষ্ট জুলুম। আমরা মনে করি প্রশাসন ছাত্রদের প্রতি ন্যায় বিচার নিশ্চিত করে ক্যাম্পাসের স্বাভাবিক পরিস্থিতি সুন্দর রাখবেন।

আন্দোলনের পঠভূমি: আবাসন ভাতা ও অন্যান্য দাবিতে নানা সময় আন্দোলন ও সমাবেশ হয়েছে।শুরুতে, গত ১২ জানুয়ারি আবাসন ভাতাসহ তিন দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনশন করেন শিক্ষার্থীরা। এর আগে গত ১৯ জানুয়ারি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের আবাসন ভাতার বাজেট প্রস্তাবনা তৈরিতে ৭ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছিল । কমিটিকে ২০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হলেও তাঁরা ব্যর্থ হন। বিভিন্নভাবে শিক্ষার্থীদের ভুলিয়ে রাখার চেষ্টা করা হয়। তবে ১৪ মে ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীদের আবাসন ভাতাসহ আরও ২ দাবিতে ‘মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচি দেয় জবির সকল সাংস্কৃতিক-রাজনৈতিক সংগঠনের প্ল্যাটফর্ম জবি ঐক্য। যমুনায় শিক্ষার্থীদের তিনদিন অবস্থানের পর শিক্ষার্থীদের আশ্বাস দেওয়া হয় যে তাদের দাবি সরকার মেনে নিয়েছে । তাতেও কোন দৃশ্যমান ফলাফল না পেয়ে শিক্ষার্থীরা আবারও আন্দোলন করেন। গত ১৬ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন দফা দাবিতে আবারও অনশন করেন ৩০ ঘন্টা পেরিয়ে গেলে এতে কয়েকজন অসুস্থ হন নিরুপায় হয়ে প্রশাসন থেকে তাদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়। আশ্বাস পেয়ে শিক্ষার্থীরা তাদের আন্দোলন প্রত্যাহার করেন।

এদিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম বলেছেন, শিক্ষার্থীদের আবাসন ভাতার চিঠি অর্থ মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। চিঠি পাস হলেই আবাসন ভাতা পাবেন শিক্ষার্থীরা। তবে জুলাই মাস হিসাব করে ভাতা পাবেন তারা।

উপাচর্য বলেন যেকোনো ৫ টি ব্যাচ সম্পূরক বৃত্তি পাবে। তিনি বলেন, তবে অর্থ ছাড় না হওয়ার কারনে শিক্ষার্থীরা বৃত্তির টাকা পাবেন আসন্ন জানুয়ারি মাস থেকে তবে শিক্ষার্থীরা আর আশ্বাসে থাকতে চান না । তাঁরা বলছেন এ বিষয়ে কোন ছাড় দেওয়া হবে না সাধারণ শিক্ষার্থীরা অনেক কষ্ট করে পুরান ঢাকার মত জনবহুল জায়গায় গাদাগাদি করে থাকেন এবং মানবেতর জীবনযাপন করেন এতে করে তাদের পড়াশোনার ক্ষতি হয় এবং অনেকে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

আবাসন ভাতা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে ধুঁয়াসা

আপডেট সময় :

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বহুল আকাঙ্ক্ষিত সম্পূরক বৃত্তি / আবাসন ভাতা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধুঁয়াশা। কতজনকে দেওয়া হবে, কোন পরিপ্রেক্ষিতে দেওয়া হবে, কাদেরকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে একাডেমিক ফলাফল কোন প্রভাব ফেলবে কিনা, কবে থেকে পাওয়া যাবে, কত টাকা পাবেন শিক্ষার্থীরা কতদিন পাবেন এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে অস্বস্তি কাজ করছে।

কেউ বলছেন আবাসন ভাতার নামে মেধাবীদের এখানে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে আবার কেউ বলছেন আবেদনে যে সংযুক্তি চাওয়া হয়েছে তা অহেতুক এবং ঝামেলাপূ্র্ণ । সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেকে নানান প্রতিক্রিয়া দেখান, ইসলাম শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থী বায়েজিদ বিন ফরিদুজ্জামান বলেন, আবাসন ভাতা নিয়ে দুইটা টার্ম এখন খুব আলোচনায়। হাই-সিজি এবং লো-সিজি!! আমরা যারা মাঝামাঝি-সিজি তে আছি, আমরা কোন দলে??

বিভিন্ন সময়ে আন্দোলন হলেও জগ্ননাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দাবিকৃত আবাসন ভাতা জুলাই অর্থবছর থেকে কার্যকর হওয়ার কথা থাকলেও নানা তালবাহানায় তা এখনও আটকে আছে। এখন নতুন করে যুক্ত হয়েছে কারা এই বিশেষ বৃত্তির আওতায় থাকবেন তা নিয়ে অনিশ্চয়তা।

গত ২৩ সেপ্টেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল শিক্ষার্থীদের জন্য চলতি বছরের অক্টোবর মাসের মধ্যেই আবাসন ভাতা প্রদানের দাবি জানায়।এদিকে অক্টোবর পেরিয়ে গেলেও শিক্ষার্থীরা তাদের আবাসন ভাতার টাকা পায়নি। এ নিয়ে প্রশাসন থেকে কয়েকবার নামসর্বস্ব কমিটি করা হলেও শিক্ষার্থীরা এর সুফল ভোগ করতে পারেনি। তাদেরকে প্রতিমাসেই গুনতে হয় কয়েক হাজার টাকা। বিপাকে অনেক শিক্ষার্থীরা কেউ টিউশনি হারিয়ে হতাশায় আবার কেউ ছাড়তে চান প্রিয় ক্যাম্পাস।

এর আগে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবির জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার পক্ষ থেকে ইউজিসিতে গেলে আগামী নভেম্বর মাসের আগেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা দুই খাত থেকে সম্পূরক বৃত্তি পাবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ। বৃত্তির এক অংশ অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে, আরেক অংশ ইউজিসি থেকে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি। কিন্তু অর্থ ছাড় না হলে জানুয়ারি থেকে তা কার্যকর হবে বলে জানা যায়।

আবাসন ভাতা / বিশেষ বৃত্তির টাকা কবে নাগাদ শিক্ষার্থীরা পাবে এমন প্রশ্নের জবাবে জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম পিএইচডি বলেন, সম্পূরক বৃত্তির টাকা ২০২৬ সালের জানুয়ারি মাস থেকে আমরা শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিতে পারব বলে আশাবাদী তবে অর্থ ছাড় হলে আগেও দেওয়া হতে পারে।

কারা এই বৃত্তির আওতায় থাকবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর তাজাম্মুল হক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষার্থীরা বিশেষ বৃত্তির আওতাধীন থাকবে। সে হিসেবে পয়লা জুলাই ২০২৫ পর্যন্ত যাদের ছাত্রত্ব ছিল, তারা বিশেষ বৃত্তি পাবে।আস-সুন্নাহ হল ও ফয়জুন্নেসা হলের শিক্ষার্থীদের আবেদন করার জন্য বলা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সব দিক বিবেচনা করে নির্ধারণ করবে কারা এই বিশেষ বৃত্তি পাবে।

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫ তম ব্যাচ এই বৃত্তি থেকে বাদ পড়ায় বিভিন্ন জনের মধ্যে এ নিয়ে রয়েছে মতভেদ।
বিশেষ বৃত্তি নিয়ে জবি শিবির সভাপতি বলেন, বিশেষ বৃত্তি বা আবাসন ভাতা যে নামেই হোক এটা হলো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য। যারা আবাসন সুবিধা পাবে না তাদের জন্য সামান্য পরিমাণ বৃত্তির ব্যাবস্থা করা।এই বৃত্তি দেওয়ার কথা ছিল জুলাই মাস থেকে। আমাদের দাবি হলো অবশ্যই জুলাই মাস থেকেই হিসেব করে বৃত্তি দিতে হবে।

তিনি বলেন, জুলাই মাস পর্যন্ত যাদের ছাত্রত্ব ছিল তাদের এক বৃত্তির আওতায় নিয়ে আসতে হবে।এই বৃত্তি দিতে গিয়ে ব্যাচের হিসেব টেনে নিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি করার কোনো সুযোগ নেই। প্রশাসন যদি ব্যাচের হিসেব করে কারোর প্রতি বৈষম্য করে তাহলে এটা হবে স্পষ্ট জুলুম। আমরা মনে করি প্রশাসন ছাত্রদের প্রতি ন্যায় বিচার নিশ্চিত করে ক্যাম্পাসের স্বাভাবিক পরিস্থিতি সুন্দর রাখবেন।

আন্দোলনের পঠভূমি: আবাসন ভাতা ও অন্যান্য দাবিতে নানা সময় আন্দোলন ও সমাবেশ হয়েছে।শুরুতে, গত ১২ জানুয়ারি আবাসন ভাতাসহ তিন দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনশন করেন শিক্ষার্থীরা। এর আগে গত ১৯ জানুয়ারি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের আবাসন ভাতার বাজেট প্রস্তাবনা তৈরিতে ৭ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছিল । কমিটিকে ২০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হলেও তাঁরা ব্যর্থ হন। বিভিন্নভাবে শিক্ষার্থীদের ভুলিয়ে রাখার চেষ্টা করা হয়। তবে ১৪ মে ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীদের আবাসন ভাতাসহ আরও ২ দাবিতে ‘মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচি দেয় জবির সকল সাংস্কৃতিক-রাজনৈতিক সংগঠনের প্ল্যাটফর্ম জবি ঐক্য। যমুনায় শিক্ষার্থীদের তিনদিন অবস্থানের পর শিক্ষার্থীদের আশ্বাস দেওয়া হয় যে তাদের দাবি সরকার মেনে নিয়েছে । তাতেও কোন দৃশ্যমান ফলাফল না পেয়ে শিক্ষার্থীরা আবারও আন্দোলন করেন। গত ১৬ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন দফা দাবিতে আবারও অনশন করেন ৩০ ঘন্টা পেরিয়ে গেলে এতে কয়েকজন অসুস্থ হন নিরুপায় হয়ে প্রশাসন থেকে তাদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়। আশ্বাস পেয়ে শিক্ষার্থীরা তাদের আন্দোলন প্রত্যাহার করেন।

এদিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম বলেছেন, শিক্ষার্থীদের আবাসন ভাতার চিঠি অর্থ মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। চিঠি পাস হলেই আবাসন ভাতা পাবেন শিক্ষার্থীরা। তবে জুলাই মাস হিসাব করে ভাতা পাবেন তারা।

উপাচর্য বলেন যেকোনো ৫ টি ব্যাচ সম্পূরক বৃত্তি পাবে। তিনি বলেন, তবে অর্থ ছাড় না হওয়ার কারনে শিক্ষার্থীরা বৃত্তির টাকা পাবেন আসন্ন জানুয়ারি মাস থেকে তবে শিক্ষার্থীরা আর আশ্বাসে থাকতে চান না । তাঁরা বলছেন এ বিষয়ে কোন ছাড় দেওয়া হবে না সাধারণ শিক্ষার্থীরা অনেক কষ্ট করে পুরান ঢাকার মত জনবহুল জায়গায় গাদাগাদি করে থাকেন এবং মানবেতর জীবনযাপন করেন এতে করে তাদের পড়াশোনার ক্ষতি হয় এবং অনেকে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন।