ঢাকা ০৭:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

আরও যেসব মামলায় সাজাপ্রাপ্ত তারেক রহমান

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৯:০১:২৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৪ ৩৯ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

২০০৭ সাল থেকে তার বিরুদ্ধে অন্তত ৮৪টি মামলায় হয়। এই ৮৪ মামলার মধ্যে ৫টিতে দণ্ড হয় তারেক রহমানের। আর খারিজ, খালাস ও অব্যাহতি পেয়েছেন ৩৯ মামলায়। সবশেষ রোববার ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় খালাস পেয়েছেন বর্তমানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকা তারেক রহমান।

বিএনপি আশা করছে, দণ্ডের বাকি চার মামলায় রোববারের মতো (গ্রেনেড হামলা মামলা) ন্যায়বিচার পাবেন তিনি।

বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল বলেন, তারেক রহমান মিথ্যা ও সাজানো আরও চার মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আছেন। আজ (রোববার) যেভাবে ন্যায়বিচার পেয়েছেন বাকি চারটা মামলায়ও আশা করছি ন্যায়বিচার পাবেন।

তিনি বলেন, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে প্রায় ৮৪ মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ৬০/৬৫টা মানহানির মামলা। ইতোমধ্যে ৩৯টা মামলায় খালাস, খারিজ ও চার্জশিট থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন।

 মানি লন্ডারিং মামলা

বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগে ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর একটি মামলায় ঢাকার একটি বিশেষ জজ আদালত তারেক রহমানকে খালাস দেন। ওই মামলায় বিশিষ্ট ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তারেক রহমানকে খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) হাইকোর্টে আপিল করেন। ওই আপিল শুনানি শেষে হাইকোর্ট ২০১৬ সালের ২১ জুলাই বিচারিক আদালতের খালাসের রায় বাতিল করে তারেক রহমানকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন।

অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ঢাকার একটি বিশেষ জজ আদালত ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি তারেক রহমানকে ১০ বছর কারাদণ্ড দেন। এই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে ৫ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তবে দুদকের আপিলে খালেদা জিয়ার সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করেছিলেন হাইকোর্ট।

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন

জ্ঞাত আয়বহির্ভূতভাবে সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগের মামলায় ২০২৩ সালের ২ আগস্ট ঢাকার সিনিয়র বিশেষ জজ আদালত তারেক রহমানকে ৯ বছর ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানকে ৩ বছর কারাদণ্ড দেন।

মানহানি

২০১৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর লন্ডনে যুক্তরাজ্য বিএনপি আয়োজিত এক সমাবেশে বঙ্গবন্ধুকে রাজাকার ও পাকবন্ধু আখ্যা দিয়ে বেশ কিছু বক্তব্য দেন তারেক রহমান। সেই খবর প্রকাশিত হয় দেশের একটি জাতীয় দৈনিকে।

এতে বঙ্গবন্ধুর সম্মানহানি হয়েছে জানিয়ে সে সময় নড়াইলের মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান বিশ্বাস নড়াইল জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তারেকের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন। এই মামলায় নড়াইলের একটি জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি তারেক রহমানকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেন।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

আরও যেসব মামলায় সাজাপ্রাপ্ত তারেক রহমান

আপডেট সময় : ০৯:০১:২৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৪

 

২০০৭ সাল থেকে তার বিরুদ্ধে অন্তত ৮৪টি মামলায় হয়। এই ৮৪ মামলার মধ্যে ৫টিতে দণ্ড হয় তারেক রহমানের। আর খারিজ, খালাস ও অব্যাহতি পেয়েছেন ৩৯ মামলায়। সবশেষ রোববার ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় খালাস পেয়েছেন বর্তমানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকা তারেক রহমান।

বিএনপি আশা করছে, দণ্ডের বাকি চার মামলায় রোববারের মতো (গ্রেনেড হামলা মামলা) ন্যায়বিচার পাবেন তিনি।

বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল বলেন, তারেক রহমান মিথ্যা ও সাজানো আরও চার মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আছেন। আজ (রোববার) যেভাবে ন্যায়বিচার পেয়েছেন বাকি চারটা মামলায়ও আশা করছি ন্যায়বিচার পাবেন।

তিনি বলেন, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে প্রায় ৮৪ মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ৬০/৬৫টা মানহানির মামলা। ইতোমধ্যে ৩৯টা মামলায় খালাস, খারিজ ও চার্জশিট থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন।

 মানি লন্ডারিং মামলা

বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগে ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর একটি মামলায় ঢাকার একটি বিশেষ জজ আদালত তারেক রহমানকে খালাস দেন। ওই মামলায় বিশিষ্ট ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তারেক রহমানকে খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) হাইকোর্টে আপিল করেন। ওই আপিল শুনানি শেষে হাইকোর্ট ২০১৬ সালের ২১ জুলাই বিচারিক আদালতের খালাসের রায় বাতিল করে তারেক রহমানকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন।

অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ঢাকার একটি বিশেষ জজ আদালত ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি তারেক রহমানকে ১০ বছর কারাদণ্ড দেন। এই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে ৫ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তবে দুদকের আপিলে খালেদা জিয়ার সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করেছিলেন হাইকোর্ট।

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন

জ্ঞাত আয়বহির্ভূতভাবে সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগের মামলায় ২০২৩ সালের ২ আগস্ট ঢাকার সিনিয়র বিশেষ জজ আদালত তারেক রহমানকে ৯ বছর ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানকে ৩ বছর কারাদণ্ড দেন।

মানহানি

২০১৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর লন্ডনে যুক্তরাজ্য বিএনপি আয়োজিত এক সমাবেশে বঙ্গবন্ধুকে রাজাকার ও পাকবন্ধু আখ্যা দিয়ে বেশ কিছু বক্তব্য দেন তারেক রহমান। সেই খবর প্রকাশিত হয় দেশের একটি জাতীয় দৈনিকে।

এতে বঙ্গবন্ধুর সম্মানহানি হয়েছে জানিয়ে সে সময় নড়াইলের মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান বিশ্বাস নড়াইল জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তারেকের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন। এই মামলায় নড়াইলের একটি জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি তারেক রহমানকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেন।