ঢাকা ০৯:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo নরসিংদীতে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা Logo ‘দুর্গা পূজায় সৌজন্যে ইলিশ ভারতে পাঠানোর অনুমোদন’ Logo চাঁপাইনবাবগঞ্জ কারাগার থেকে ভারতীয় নাগরিক রামদেবকে স্বাদেশে প্রত্যাবাসন Logo নিউট্রিশন ইন সিটি ইকোসিস্টেমস প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের চুক্তি স্বাক্ষর Logo বিহারীবস্তিতে দুস্কৃতিকারীর হামলায় শালিসি ব্যক্তিত্ব পূর্ব আহত Logo শিবগঞ্জের দ্বিতীয় দফায় ভাঙ্গনের কবলে পদ্মা পাড়ের মানুষ, ফেলা হচ্ছে জিও ব্যাগ Logo কক্সবাজারে ইউনিয়ন হাসপাতালের সাথে ভোরের পাখি সংগঠনের স্বাস্থ্য সেবা চুক্তি Logo জকসু ও সম্পূরক বৃত্তিসহ জবি শাখা বাগছাসের ৫ দাবি Logo ইঞ্জিনিয়ার হারুন উর রশিদ গার্লস কলেজের শিক্ষার্থীদের নবীন বরন Logo জাতীয়তাবাদী তাঁতীদল সিলেট জেলা শাখার প্রচার মিছিল সম্পন্ন

আশুলিয়ায় তরুণ-তরুণীকে অপহরণ ও বলাৎকার এবং ধর্ষণের চেষ্টা-থানায় অভিযোগ

সাঈম সরকার
  • আপডেট সময় : ৫১ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আশুলিয়ায় অটোরিক্সাসহ তরুণ-তরুণীকে পথ থেকে তুলে নিয়ে রিক্সা চালককে হাত-পা বেধে মারধর ও বলাৎকারএবং তরুণীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে একদল দুস্কৃতি চক্র।স্থানীয় লোকজনের আনাগোনা ও হাকডাক টের পেয়ে একটি মটোরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যায় ঐ চক্রটি।
ঐ ঘটনায় অটোরিক্সা গ্যারেজের মালিক শফিউর রহমান সবুর বাদী হয়ে গতকাল বুধবার মুন্না ও শাহেদ নামে দুইজনকে বিবাদী করে অজ্ঞাত আরো ১০/১২জনের বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এর আগে গত ১৬ আগস্ট (শনিবার) সন্ধা রাতে আশুলিয়ার পলাশবাড়ীর পশ্চিম পাশে বাশবাড়ী মহসিনটেক বালুর মাঠ এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
অটোরিক্সা গ্যারেজ মালিক মোঃ শফিউর উদ্দিন সবুর গণমুক্তিকে জানান, তার প্রতিটিা অটোরিক্সায় জিপিএস সেট করা রয়েছে।তিনি আরো বলেন, ১৬ আগস্ট তার নিজের লোক ফুসকা খাওয়ার উদ্যেশ্য নিয়ে গ্যারেজ থেকে একটি অটোরিক্সা নিয়ে বেড়িয়ে যায়।সন্ধা গড়িয়ে রাত নয়টা পার হতে চলেছে তবুও ঐ অটোরিক্সা নিয়ে তারা ফিরে না আসায় তিনি দুশ্চিন্তায় পরে যান এবং মোবাইল ফোনে লোকেশন ট্র্যাক করেন। এসময় দেখতে পান বাশবাড়ী মহসিনটেকে অটোরিক্সাটি স্থির হয়ে রয়েছে।২০মিনিট হলো কোন নড়াচড়া না করায় তার গ্যারেজ থেকে তিনটি অটোরিক্সা যোগে নিজেসহ ৬/৭জন সেখানে উপস্থিত হয়। সেখানে অটোরিক্সা চোখে পরলেও চালককেসহ তার লোকজনকে দেখতে না পেয়ে অনেক খোজাখুজি ও হাকডাক শুরু করেনে।উপায় না পেয়ে সাবেক সেনাসদস্য মোঃ সবুর রাত অনুমান ১১টায় ৯৯৯ এ ফোন করেন।ঘটনাস্থলে পুলিশ না পৌছানোর কারণে ঐ সময় সবাই ভেঙ্গে পরেন ও পুনরায় খুজতে থাকেন।দীর্ঘ সময় খোজা খুজির পর গভীর জঙ্গলের মাঝখানে চোখে পরে সীমানা ঘেড়াও একটি ১০ফুট উচু দেওয়াল।দেখতে হুবাহু একটি পরিত্যাক্ত ঘরের মত।সে দিকে দলবদ্ধ ভাবে সবাই মিলে যাওয়ার জন্য অগ্রসর হলে একদল যুবক একটি মটোরসাইকেল ফেলে দৌড়ে পালিয়ে যায়।ভুক্তভুগীকে উদ্ধার করে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে চিকিৎসা অন্তে থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ করতে বিলম্ব হলো।
প্রত্যক্ষদর্শীগণ জানায়, ঐ নির্জন ঘরের ভিতরে অটোরিক্সা চালককে হাত-পা ও চোখ বাঁধা অবস্থায় পাওয়া যায়। এসময় ফেলে রেখে যাওয়া মটোরসাইকেলসহ ভুক্তভুগীকে পলাশবাড়ী বটতলা এলাকায় নিয়ে এলে মুন্না নামে অনুমান (২৭) বছরের এক যুবক মটোরসাইকেলটি নিজের দাবি করেন এবং ছিনিয়ে নেওয়ার ব্যর্থ চেষ্টা করেন।
এদিকে ভুক্তভুগী জানায়, দীর্ঘদিন যাবৎ একটি মেয়ের সাথে তার প্রেম ছিলো।ঘটনার দিন তাকে নিয়ে ঘুড়তে বের হয় এবং বাসায় ফেরার পথে বাশবাড়ী এলাকাতে পৌছিলে দুইটি মটোরসাইকেল যোগে কয়েকজন এসে গতিরোধ করে এবং অটোরিক্সা থামিয়ে দেয়। এক প্রকার বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে অচেনা স্থানে নিয়ে যায়।সেখানে আমার মুখ-চোখ ও হাত-পা বেঁধে নেয় এবং চর-থাপ্পর কিলঘুষি মেরে বলাৎকার নির্যাতন করে।মুখ বেধে রাখায় জোরে চিৎকার করতেও পারছি না। ঐ সময় সাথে থাকা মেয়েটিকে জোর জুলুমে ধর্ষণের চেষ্টা করলে পাশেই একটি পুকুরে ঝাপ দিয়ে মেয়েটি নিজেকে রক্ষা করে।তখন ঐ অপহরণকারীরা আমার কাছে এক লাখ টাকা দাবি করে এবং বলে টাকা পেলে তোকে ছেড়ে দিবো।কিন্তু, ঘটনাস্থলের আশে-পাশে হঠাৎ লোকজনের আনাগোনা টের পেয়ে তারা সবাই দৌড়িয়ে পালিয়ে যায়।
এবিষয়ে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ আব্দুল হান্নান মাহমুদ জানান,এই জঘন্যতম ঘটনার সাথে যারা যারা জরিত রয়েছে সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে এবং গ্রেফতার করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

আশুলিয়ায় তরুণ-তরুণীকে অপহরণ ও বলাৎকার এবং ধর্ষণের চেষ্টা-থানায় অভিযোগ

আপডেট সময় :

আশুলিয়ায় অটোরিক্সাসহ তরুণ-তরুণীকে পথ থেকে তুলে নিয়ে রিক্সা চালককে হাত-পা বেধে মারধর ও বলাৎকারএবং তরুণীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে একদল দুস্কৃতি চক্র।স্থানীয় লোকজনের আনাগোনা ও হাকডাক টের পেয়ে একটি মটোরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যায় ঐ চক্রটি।
ঐ ঘটনায় অটোরিক্সা গ্যারেজের মালিক শফিউর রহমান সবুর বাদী হয়ে গতকাল বুধবার মুন্না ও শাহেদ নামে দুইজনকে বিবাদী করে অজ্ঞাত আরো ১০/১২জনের বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এর আগে গত ১৬ আগস্ট (শনিবার) সন্ধা রাতে আশুলিয়ার পলাশবাড়ীর পশ্চিম পাশে বাশবাড়ী মহসিনটেক বালুর মাঠ এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
অটোরিক্সা গ্যারেজ মালিক মোঃ শফিউর উদ্দিন সবুর গণমুক্তিকে জানান, তার প্রতিটিা অটোরিক্সায় জিপিএস সেট করা রয়েছে।তিনি আরো বলেন, ১৬ আগস্ট তার নিজের লোক ফুসকা খাওয়ার উদ্যেশ্য নিয়ে গ্যারেজ থেকে একটি অটোরিক্সা নিয়ে বেড়িয়ে যায়।সন্ধা গড়িয়ে রাত নয়টা পার হতে চলেছে তবুও ঐ অটোরিক্সা নিয়ে তারা ফিরে না আসায় তিনি দুশ্চিন্তায় পরে যান এবং মোবাইল ফোনে লোকেশন ট্র্যাক করেন। এসময় দেখতে পান বাশবাড়ী মহসিনটেকে অটোরিক্সাটি স্থির হয়ে রয়েছে।২০মিনিট হলো কোন নড়াচড়া না করায় তার গ্যারেজ থেকে তিনটি অটোরিক্সা যোগে নিজেসহ ৬/৭জন সেখানে উপস্থিত হয়। সেখানে অটোরিক্সা চোখে পরলেও চালককেসহ তার লোকজনকে দেখতে না পেয়ে অনেক খোজাখুজি ও হাকডাক শুরু করেনে।উপায় না পেয়ে সাবেক সেনাসদস্য মোঃ সবুর রাত অনুমান ১১টায় ৯৯৯ এ ফোন করেন।ঘটনাস্থলে পুলিশ না পৌছানোর কারণে ঐ সময় সবাই ভেঙ্গে পরেন ও পুনরায় খুজতে থাকেন।দীর্ঘ সময় খোজা খুজির পর গভীর জঙ্গলের মাঝখানে চোখে পরে সীমানা ঘেড়াও একটি ১০ফুট উচু দেওয়াল।দেখতে হুবাহু একটি পরিত্যাক্ত ঘরের মত।সে দিকে দলবদ্ধ ভাবে সবাই মিলে যাওয়ার জন্য অগ্রসর হলে একদল যুবক একটি মটোরসাইকেল ফেলে দৌড়ে পালিয়ে যায়।ভুক্তভুগীকে উদ্ধার করে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে চিকিৎসা অন্তে থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ করতে বিলম্ব হলো।
প্রত্যক্ষদর্শীগণ জানায়, ঐ নির্জন ঘরের ভিতরে অটোরিক্সা চালককে হাত-পা ও চোখ বাঁধা অবস্থায় পাওয়া যায়। এসময় ফেলে রেখে যাওয়া মটোরসাইকেলসহ ভুক্তভুগীকে পলাশবাড়ী বটতলা এলাকায় নিয়ে এলে মুন্না নামে অনুমান (২৭) বছরের এক যুবক মটোরসাইকেলটি নিজের দাবি করেন এবং ছিনিয়ে নেওয়ার ব্যর্থ চেষ্টা করেন।
এদিকে ভুক্তভুগী জানায়, দীর্ঘদিন যাবৎ একটি মেয়ের সাথে তার প্রেম ছিলো।ঘটনার দিন তাকে নিয়ে ঘুড়তে বের হয় এবং বাসায় ফেরার পথে বাশবাড়ী এলাকাতে পৌছিলে দুইটি মটোরসাইকেল যোগে কয়েকজন এসে গতিরোধ করে এবং অটোরিক্সা থামিয়ে দেয়। এক প্রকার বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে অচেনা স্থানে নিয়ে যায়।সেখানে আমার মুখ-চোখ ও হাত-পা বেঁধে নেয় এবং চর-থাপ্পর কিলঘুষি মেরে বলাৎকার নির্যাতন করে।মুখ বেধে রাখায় জোরে চিৎকার করতেও পারছি না। ঐ সময় সাথে থাকা মেয়েটিকে জোর জুলুমে ধর্ষণের চেষ্টা করলে পাশেই একটি পুকুরে ঝাপ দিয়ে মেয়েটি নিজেকে রক্ষা করে।তখন ঐ অপহরণকারীরা আমার কাছে এক লাখ টাকা দাবি করে এবং বলে টাকা পেলে তোকে ছেড়ে দিবো।কিন্তু, ঘটনাস্থলের আশে-পাশে হঠাৎ লোকজনের আনাগোনা টের পেয়ে তারা সবাই দৌড়িয়ে পালিয়ে যায়।
এবিষয়ে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ আব্দুল হান্নান মাহমুদ জানান,এই জঘন্যতম ঘটনার সাথে যারা যারা জরিত রয়েছে সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে এবং গ্রেফতার করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।