ঢাকা ১০:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo টেকসই পোশাক খাত গড়তে ১৪ দফা ইশতেহার ফোরামের Logo মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা বাদ দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা তালিকা কলঙ্কমুক্ত করার আহ্বান Logo আশুলিয়ায় স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানের মধ্যে পালটা-পালটি অভিযোগ Logo রাজবাড়ীতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র-গোলাবারুদসহ  ৫ ডাকাত  সদস্য গ্রেফতার Logo কেশবপুরে মাছের ঘেরে ভূগর্ভ থেকে পানি উত্তোলন Logo টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি Logo ফরিদপুর সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরে সুফলভোগী খামারিদের মাঝে ছাগল , মুরগি সহ বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ  Logo নালিতাবাড়ীতে র‍্যাবের অভিযানে মদ সহ নাছিরকে গ্রেফতার Logo ফুলপুরে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের ২ নেতাকে গণধোলাই দিল ছাত্রজনতা Logo গোমস্তাপুর উপজেলায় কুরবানির চাহিদার তুলনায় গবাদি পশুর সংখ্যা বেশি

আশুলিয়ায় স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানের মধ্যে পালটা-পালটি অভিযোগ

সাঈম সরকার
  • আপডেট সময় : ০৪:০৫:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫ ৩৫ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

আশুলিয়ায় স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানের মধ্যে পালটা-পালটি অভিযোগ দায়ের এর ঘটনা ঘটে। স্বামী বাদী হয়ে স্ত্রী ও সন্তানের বিরুদ্ধে প্রান নাশের হুমকীর জন্য সাধারণ ডায়রী এবং স্ত্রী বাদী হয়ে শারীরিক নির্যাতন ও পরোকিয়া করার কারণে স্বামীর বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ঐ ঘটনায় এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে ঘৃনাভরে তুমুল সমালোচনার ঝর উঠেছে।

এর আগে, গত ১৬ মে (শুক্রবার) সন্ধায় শিমুলিয়ার ইউনিয়নের টেংগুরী এলাকায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ব্যপক মারধরের ঘটনা ঘটে।ঐ ঘটনায় আয়নাল ডাক্তারের ছেলে আমিনুল ইসলাম স্ত্রী ও সন্তানকে ফাসানোর জন্য একটি মিথ্যা নাটক সাজাইয়া আহত হওয়ার অভিনয় করে শেখ ফজিলাতুন্নেসা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়।এর পর আশুলিয়া থানায় স্ত্রী ও সন্তানের বিরুদ্ধে একটি মারধর ও প্রান নাশের হুমকীর কথা বলে মিথ্যা সাধারণ ডায়রী করেন।

সুত্রে জানায়,তিন সন্তানের জনক মোঃআমিনুল ইসলাম একজন পরনারী লোভী। ঘরে স্ত্রী সন্তান থাকার পরেও দীর্ঘদিন যাবৎ অন্য নারীর সাথে পরোকিয়ায় করে আসছিলো।৭/৮ বছর অতিবাহিত হয়ে চলছে বার বার বারন করার পরেও সে ফিরে আসছে না। নিজের স্ত্রী ও সন্তানের চোখ ফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন সময় ভিন্ন ভিন্ন নারী নিয়ে বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে, নিজের বাসায় এবং মাসে ২/৪বার কক্সবাজার নিয়ে ফূর্তি করে অর্নথক অর্থ ও সময় নষ্ট করে বাড়ী ফিরতেন। যার ফলে, সংসারে নিয়োমিত একের পর এক অশান্তি সৃষ্টি করে চলছিল।পরোকীয়ায় আসক্ত থাকার অহরহ প্রমান রয়েছে বলে জানায়।

সর্বশেষ ঘটনার প্রমানসহ তাকে ঐ পথ থেকে ফিরে আসতে বললে গত ১৬ মে সন্ধায় স্ত্রী তাসলিমাকে ব্যপক মারধর করতে থাকে।এসময় মায়ের ঐ বেহাল অবস্থা দেখে সন্তান তাওসিফ ছুটে এসে তার বাবা আমিনুল ইসলামকে ধাক্কা দিয়ে সরাইয়া দেয় এবং মা-কে উদ্ধার করে।আমিনুল ইসলাম রেগে গিয়ে স্ত্রী ও  সন্তান দুইজনকেই ব্যপক মারধর করলে মাটিতে লুটাইয়া পরে এবং লিলা-ফুলা ও রক্ত যখম হয়।এ সময় এলাকার লোকজন আগাইয়া আসলে আমিনুল ইসলাম ঘর থেকে বেড়িয়ে যায়এবং আহত হওয়ার অভিনয় করে নিজেই গিয়ে ফজিলাতুন্নেসা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়। পরে আশুলিয়া থানায় স্ত্রী তাসলিমা ও সন্তান তাওসিফ এর বিরুদ্ধে মাধর ও প্রান নাশের হুমকীর কথা বলে মিথ্যা একটি সাধারণ ডায়রী করে। এদিকে স্ত্রী তাসলিমা বাদী হয়ে স্বামী আমিনুলের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

এদিকে এলাকার ৮০% মানুষ আমিনুল ইসলামের প্রতি অসন্তষ্টতা প্রকাশ করেন এবং তারা জানায় সে একজন ধুরন্ধর প্রকৃতির খারাপ লোক। আওয়ামী লীগের আমলে এলাকার মানুষের অনেক টাকা পয়সা নিয়ে তা মেরে খেয়েছে।তার চরিত্র বলতে কিছু নেই।এর আগেও নারী কেলেঙ্কারির নিয়ে তার বিরুদ্ধে একাধিক পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়েছে।

আনিছুর নামে এক তরমুজের দোকানদারের নিকট থেকে ০৫টি তরমুজ দরদাম না করেই নিয়েছে যার দাম চাইতে গেলে তাকে বিভিন্ন ভয়-ভীতি দেখায়।এরকম এলাকার অনেক ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে ইচ্ছা মত নিত্য প্রয়োজনিয় জিনিস নিয়েও তার কোন দাম দেয় নাই বলে জানায় তারা।

এলাকার এক বৃদ্ধ জানায়,তার নিকট থেকে ২২ লাখ টাকা নিয়ে আত্নসাত করেছে এবং বাচ্চু প্রামানিকের ১২ লাখ টাকা মেরে দেওয়া সহ তার বন্ধু মহলের সাথেও প্রতারনার শেষে নেই বলে জানায় স্থানীয়রা।

আরো জানায়, কাজী জামান নামে এক ব্যক্তির ১২ হাজার টাকার রিয়াল ক্রয়ের টাকা আজও ফেরত দেয়নি। আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক(এস আই) আনোয়ার হোসেন তাসলিমা নামে বাদীনির অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

 

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

আশুলিয়ায় স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানের মধ্যে পালটা-পালটি অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৪:০৫:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫

 

আশুলিয়ায় স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানের মধ্যে পালটা-পালটি অভিযোগ দায়ের এর ঘটনা ঘটে। স্বামী বাদী হয়ে স্ত্রী ও সন্তানের বিরুদ্ধে প্রান নাশের হুমকীর জন্য সাধারণ ডায়রী এবং স্ত্রী বাদী হয়ে শারীরিক নির্যাতন ও পরোকিয়া করার কারণে স্বামীর বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ঐ ঘটনায় এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে ঘৃনাভরে তুমুল সমালোচনার ঝর উঠেছে।

এর আগে, গত ১৬ মে (শুক্রবার) সন্ধায় শিমুলিয়ার ইউনিয়নের টেংগুরী এলাকায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ব্যপক মারধরের ঘটনা ঘটে।ঐ ঘটনায় আয়নাল ডাক্তারের ছেলে আমিনুল ইসলাম স্ত্রী ও সন্তানকে ফাসানোর জন্য একটি মিথ্যা নাটক সাজাইয়া আহত হওয়ার অভিনয় করে শেখ ফজিলাতুন্নেসা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়।এর পর আশুলিয়া থানায় স্ত্রী ও সন্তানের বিরুদ্ধে একটি মারধর ও প্রান নাশের হুমকীর কথা বলে মিথ্যা সাধারণ ডায়রী করেন।

সুত্রে জানায়,তিন সন্তানের জনক মোঃআমিনুল ইসলাম একজন পরনারী লোভী। ঘরে স্ত্রী সন্তান থাকার পরেও দীর্ঘদিন যাবৎ অন্য নারীর সাথে পরোকিয়ায় করে আসছিলো।৭/৮ বছর অতিবাহিত হয়ে চলছে বার বার বারন করার পরেও সে ফিরে আসছে না। নিজের স্ত্রী ও সন্তানের চোখ ফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন সময় ভিন্ন ভিন্ন নারী নিয়ে বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে, নিজের বাসায় এবং মাসে ২/৪বার কক্সবাজার নিয়ে ফূর্তি করে অর্নথক অর্থ ও সময় নষ্ট করে বাড়ী ফিরতেন। যার ফলে, সংসারে নিয়োমিত একের পর এক অশান্তি সৃষ্টি করে চলছিল।পরোকীয়ায় আসক্ত থাকার অহরহ প্রমান রয়েছে বলে জানায়।

সর্বশেষ ঘটনার প্রমানসহ তাকে ঐ পথ থেকে ফিরে আসতে বললে গত ১৬ মে সন্ধায় স্ত্রী তাসলিমাকে ব্যপক মারধর করতে থাকে।এসময় মায়ের ঐ বেহাল অবস্থা দেখে সন্তান তাওসিফ ছুটে এসে তার বাবা আমিনুল ইসলামকে ধাক্কা দিয়ে সরাইয়া দেয় এবং মা-কে উদ্ধার করে।আমিনুল ইসলাম রেগে গিয়ে স্ত্রী ও  সন্তান দুইজনকেই ব্যপক মারধর করলে মাটিতে লুটাইয়া পরে এবং লিলা-ফুলা ও রক্ত যখম হয়।এ সময় এলাকার লোকজন আগাইয়া আসলে আমিনুল ইসলাম ঘর থেকে বেড়িয়ে যায়এবং আহত হওয়ার অভিনয় করে নিজেই গিয়ে ফজিলাতুন্নেসা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়। পরে আশুলিয়া থানায় স্ত্রী তাসলিমা ও সন্তান তাওসিফ এর বিরুদ্ধে মাধর ও প্রান নাশের হুমকীর কথা বলে মিথ্যা একটি সাধারণ ডায়রী করে। এদিকে স্ত্রী তাসলিমা বাদী হয়ে স্বামী আমিনুলের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

এদিকে এলাকার ৮০% মানুষ আমিনুল ইসলামের প্রতি অসন্তষ্টতা প্রকাশ করেন এবং তারা জানায় সে একজন ধুরন্ধর প্রকৃতির খারাপ লোক। আওয়ামী লীগের আমলে এলাকার মানুষের অনেক টাকা পয়সা নিয়ে তা মেরে খেয়েছে।তার চরিত্র বলতে কিছু নেই।এর আগেও নারী কেলেঙ্কারির নিয়ে তার বিরুদ্ধে একাধিক পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়েছে।

আনিছুর নামে এক তরমুজের দোকানদারের নিকট থেকে ০৫টি তরমুজ দরদাম না করেই নিয়েছে যার দাম চাইতে গেলে তাকে বিভিন্ন ভয়-ভীতি দেখায়।এরকম এলাকার অনেক ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে ইচ্ছা মত নিত্য প্রয়োজনিয় জিনিস নিয়েও তার কোন দাম দেয় নাই বলে জানায় তারা।

এলাকার এক বৃদ্ধ জানায়,তার নিকট থেকে ২২ লাখ টাকা নিয়ে আত্নসাত করেছে এবং বাচ্চু প্রামানিকের ১২ লাখ টাকা মেরে দেওয়া সহ তার বন্ধু মহলের সাথেও প্রতারনার শেষে নেই বলে জানায় স্থানীয়রা।

আরো জানায়, কাজী জামান নামে এক ব্যক্তির ১২ হাজার টাকার রিয়াল ক্রয়ের টাকা আজও ফেরত দেয়নি। আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক(এস আই) আনোয়ার হোসেন তাসলিমা নামে বাদীনির অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।