আশুলিয়ায় হত্যা মামলায় অভিযুক্ত এক ব্যক্তির নিকট জিম্মি সাবরেজিস্টার

- আপডেট সময় : ৯ বার পড়া হয়েছে
ঢাকার অদূরেই অবস্থিত আশুলিয়া শিল্প এলাকা।এখানে রয়েছে বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠান।এর মধ্যে অন্যতম সরকারী প্রতিষ্ঠান আশুলিয়া ইউনিয়নের সাব-রেজিস্টার কার্যালয়। বর্তমানে সাব-রেজিস্টার কার্যালয়টির কার্যক্রম রয়েছে স্থবির ও অচলাবস্থায়। ব্যহত হচ্ছে জমি ক্রয়-বিক্রয় কার্যক্রম।উদেশ্য প্রণোদিত ভাবে বন্ধ রয়েছে পে-অডার। এদিকে বন্ধ দেখা যায় দলিল লেখকদের কার্যপরিচালনা করার কক্ষ গুলো।রহস্যর বেড়াজালে পড়ে জমির দলিল সম্পাদন করতে এসে বিপাকে পড়ছে ক্রেতা-বিক্রেতাগণ। এ বিষয়ে জানতে চাইলে,সাব-রেজিস্টার অফিসের কর্তব্যরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) জানায়, এখানে মতিউর রহমানের কথার বাহীরে কোন কিছু করা সম্ভব নয়।তার নিয়োন্ত্রনেই চলতে হয় কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণকে।তিনি যেমনটা বলবেন সে ভাবেই চলতে এবং পরিচালিত হবে সাব-রেজিস্টার কার্যক্রম।আমাদের কিছু করার নাই।
দলিল সম্পাদন করতে আসা ভুক্তভুগীদের নিকট মতিউরের পরিচয় জানতে চাইলে তারা জানায়,খেজুর বাগান এলাকার মৃত্য-নুরুল হক এর সন্তান মো. মতিউর রহমান (৪২) একজন চিহ্নিত আওয়ামী লীগ ও দূর্ধর্ষ সন্ত্রাস প্রকৃতির লোক এবং সাবেক ভাইচ চেয়ারম্যান ইমতিয়াজ এর পোষ্য ক্যাডার বাহিনীর একজন।তার দাপটে আশুলিয়া ইউনিয়নবাসি ভয় ও আতঙ্কে জীবন যাপন করে আসছে দীর্ঘদিন যাবৎ।তার নিয়োন্ত্রনে রয়েছে একদল বখাটে সন্ত্রাস বাহিনী। যাদের দারা এলাকায় সংঘটিত হয় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও ডাকাতি ছিনতাই এবং ফিটিং-ফাটিংসহ অপরাধজনিত সকল ঘটনা। এই এলাকার বিভিন্ন শিল্প কারখানার শ্রমিকরাও রেহায় পায়না তার হাত থেকে। গত আওয়ামী লীগের আমল থেকেই তার কথামত চলছে সাব-রেজিস্টার ও কর্মচারীগণ।আওয়ামী সরকারের পতনের পরেও থেমে নেই তার দৌরত্ব ।কোনঠাসা ও জিম্মি হয়ে আছে আশুলিয়াবাসি।তার বিরুদ্ধে মুখ খুলে প্রতিবাদ করার সাহস কারো নেই। সে নিজেকে এলাকার মস্তবড় ক্ষমতাশীল হিসাবে জাহির করে বেড়ান। এলাকার সাধারণ মানুষ তা বিশ্বাস করতেও সক্ষম হয়।এমনকি সাব-রেজিস্টার ও সেই অফিসের সবাই তা বিশ্বাস করেন।কারণ, গত ০৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধি ছাত্র আন্দোলনে সাভার-আশুলিয়ায় একাধিক হত্যা মামলা থাকার পরেও গ্রেফতার করা তো দূরের কথা পুলিশ তাকে ছুতেও পারছে না বলে জানান দলিল সম্পাদন করতে আসা সাধারণ মানুষ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সাভার থানায় মো. মতিউর রহমান (৪২),পিতা-মৃতঃনুরুল হক,সাং-খেজুর বাগান, থানা- আশুলিয়া এর বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা রয়েছে। গত ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, আবুল হোসেন, পিতা-মৃত হাবিবুর রহমান নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। সেই মামলার এজাহারে ভুক্ত আসামীর স্থানে তার নাম রয়েছে।