ঢাকা ০৫:২৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫

আশুলিয়া-কাশিমপুর সীমানায় মহাসড়কসহ ফুটপাত হকারদের দখলে!

সাঈম সরকার, সাভার (ঢাকা)
  • আপডেট সময় : ২৬ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কে আশুলিয়া-কাশিমপুর সীমানায় জিরানী বাজার(বিকেএসপি)এলাকায় মহাসড়কের একলেন-সহ ফুটপাত হকারদের দখলে।নিত্যদিন বসানো হয় প্রায় ৩/৪শত ভ্রাম্যমান নিত্য প্রয়োজনিয় জিনিসের বাজার।রয়েছে ¯া’য়ীভাবে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও। বন্ধ করে রাখা হয়েছে সাধারণ মানুষের পায়ে হেটে চলাচল করার রাস্তাও।সারা বছর ব্যাপি ২৪ঘন্টার মধ্যে প্রায় ১৫/১৬ঘন্টা মহাসড়কের একলেন ও ফুটপাতটি দখল করে রাখায় সর্বক্ষন যানজট ও চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয় জনসাধারণকে।
সরেজমিনে দেখায়ায়,বিকেএসপি”র সামনে দঃক্ষিন সীমানা হতে মহাসড়কের পশ্চিম পাশ শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ হয়ে আমতলা চলাচলের প্রবেশ সড়ক পর্যন্ত, মহাসড়কের একলেন সম্পুর্ণ দখল করে রেখেছে হকারর্স। একেবারে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে পায়ে হেটে জনসাধারণ চলাচল করার ফুটপাতটিও।
মহাসড়ক ও ফুটপাত দখলের ব্যপারে হকারদের কাছে জানতে চাইলে তারা গণমুক্তিকে জানায়,রাজনৈতিক নেতাদের সহযোগিতায় এবং তাদেকে প্রতিদিন চাঁদা দিয়ে দীর্ঘবছর যাবৎ এখানে ব্যবসা করে আসছি কোন সমস্যা হচ্ছে না।যদি কোন সমস্যা হয় নেতারা সেটা দেখবেন বলে জানিয়েছেন। ইতিপূর্বে আওয়ামী লীগের নেতাদের ১০০(একশত)টাকা দিতে হতো কিন্তু,০৫ আগস্ট ২০২৪ এর পর আসাদুল ইসলাম মুকুল নামে একজন এনসিপি নেতাকে ৩০০(তিনশত) টাকা দিতে হয়। প্রতিদিন সেই তিন শত টাকা উত্তোলন করেন ছাত্তার (৬০) নামে এক ব্যাক্তি।
বিষয়টি জানতে চাইলে ছাত্তার সাংবাদিকদের জানায়,তিনি দিন মজুর হিসাবে বছর ব্যাপি হাজিরা নিয়ে নেতাদের কথায় চাঁদা আদায় করেন এবং প্রতিদিন সন্ধায় সব টাকা ফরিদ আহম্মেদ সোহাগ নামে ছাত্রনেতাকে বুঝে দিয়ে থাকেন।
এবিষয়ে ফরিদ আহম্মেদ মুঠো ফোনে জানায়,জিরানী বাজার যারা ইজারা নিয়েছে তাদের খাজনা বাবদ ঐ টাকা নেওয়া হয়। সেই টাকার একভাগ নিয়ে যায় এনসিপির কেন্দ্রিয় নেতা আসাদুল ইসলাম মুকুল। তিনি আরো বলেন,তুহিন নামে এলাকার এক ব্যাক্তির সাথে যোগাযোগ করতে।
এসময় এনসিপির নেতা আসাদুল ইসলাম মুকুলের সাথে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করে দায় সারা জবাব দেন এবং ফোনের লাইন কেটে দেন। কিন্তু,কিছু সময় পার হতে না হতেই গণমুক্তির সাংবাদিকের মুঠোফোনটি বেজে ওঠে। এসময় রিসিভ করার সাথে সাথে অপর প্রান্ত থেকে তুহিন নামে একজন সম্মানিত ব্যাক্তির কথা ভেসে আসে।তিনি প্রশ্ন করে বলেন যে,আসাদুল ইসলাম মুকুলকে ফোন করেছিলেন কি না?তিনি আরো বলেন, এনসিপি নেতা আসাদুল ইসলাম মুকুল তার সু-পরিচিত এবং সুভাকাঙক্ষী।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

আশুলিয়া-কাশিমপুর সীমানায় মহাসড়কসহ ফুটপাত হকারদের দখলে!

আপডেট সময় :

নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কে আশুলিয়া-কাশিমপুর সীমানায় জিরানী বাজার(বিকেএসপি)এলাকায় মহাসড়কের একলেন-সহ ফুটপাত হকারদের দখলে।নিত্যদিন বসানো হয় প্রায় ৩/৪শত ভ্রাম্যমান নিত্য প্রয়োজনিয় জিনিসের বাজার।রয়েছে ¯া’য়ীভাবে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও। বন্ধ করে রাখা হয়েছে সাধারণ মানুষের পায়ে হেটে চলাচল করার রাস্তাও।সারা বছর ব্যাপি ২৪ঘন্টার মধ্যে প্রায় ১৫/১৬ঘন্টা মহাসড়কের একলেন ও ফুটপাতটি দখল করে রাখায় সর্বক্ষন যানজট ও চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয় জনসাধারণকে।
সরেজমিনে দেখায়ায়,বিকেএসপি”র সামনে দঃক্ষিন সীমানা হতে মহাসড়কের পশ্চিম পাশ শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ হয়ে আমতলা চলাচলের প্রবেশ সড়ক পর্যন্ত, মহাসড়কের একলেন সম্পুর্ণ দখল করে রেখেছে হকারর্স। একেবারে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে পায়ে হেটে জনসাধারণ চলাচল করার ফুটপাতটিও।
মহাসড়ক ও ফুটপাত দখলের ব্যপারে হকারদের কাছে জানতে চাইলে তারা গণমুক্তিকে জানায়,রাজনৈতিক নেতাদের সহযোগিতায় এবং তাদেকে প্রতিদিন চাঁদা দিয়ে দীর্ঘবছর যাবৎ এখানে ব্যবসা করে আসছি কোন সমস্যা হচ্ছে না।যদি কোন সমস্যা হয় নেতারা সেটা দেখবেন বলে জানিয়েছেন। ইতিপূর্বে আওয়ামী লীগের নেতাদের ১০০(একশত)টাকা দিতে হতো কিন্তু,০৫ আগস্ট ২০২৪ এর পর আসাদুল ইসলাম মুকুল নামে একজন এনসিপি নেতাকে ৩০০(তিনশত) টাকা দিতে হয়। প্রতিদিন সেই তিন শত টাকা উত্তোলন করেন ছাত্তার (৬০) নামে এক ব্যাক্তি।
বিষয়টি জানতে চাইলে ছাত্তার সাংবাদিকদের জানায়,তিনি দিন মজুর হিসাবে বছর ব্যাপি হাজিরা নিয়ে নেতাদের কথায় চাঁদা আদায় করেন এবং প্রতিদিন সন্ধায় সব টাকা ফরিদ আহম্মেদ সোহাগ নামে ছাত্রনেতাকে বুঝে দিয়ে থাকেন।
এবিষয়ে ফরিদ আহম্মেদ মুঠো ফোনে জানায়,জিরানী বাজার যারা ইজারা নিয়েছে তাদের খাজনা বাবদ ঐ টাকা নেওয়া হয়। সেই টাকার একভাগ নিয়ে যায় এনসিপির কেন্দ্রিয় নেতা আসাদুল ইসলাম মুকুল। তিনি আরো বলেন,তুহিন নামে এলাকার এক ব্যাক্তির সাথে যোগাযোগ করতে।
এসময় এনসিপির নেতা আসাদুল ইসলাম মুকুলের সাথে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করে দায় সারা জবাব দেন এবং ফোনের লাইন কেটে দেন। কিন্তু,কিছু সময় পার হতে না হতেই গণমুক্তির সাংবাদিকের মুঠোফোনটি বেজে ওঠে। এসময় রিসিভ করার সাথে সাথে অপর প্রান্ত থেকে তুহিন নামে একজন সম্মানিত ব্যাক্তির কথা ভেসে আসে।তিনি প্রশ্ন করে বলেন যে,আসাদুল ইসলাম মুকুলকে ফোন করেছিলেন কি না?তিনি আরো বলেন, এনসিপি নেতা আসাদুল ইসলাম মুকুল তার সু-পরিচিত এবং সুভাকাঙক্ষী।