ঢাকা ০৪:১১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫

ইউনুস-শি বৈঠকে গুরুত্ব পাবে শিল্প স্থানান্তর

কূটনৈতিক রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ১২:০২:৩০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫ ৪ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের আসন্ন চীন সফরে দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে শিল্পস্থানান্তর গুরুত্ব পাবে। পাশাপাশি চীনা হাসপাতালগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানো নিয়ে আলোচনাকালে বাংলাদেশে হাসপাতাল প্রতিষ্ঠায় আহ্বান জানানো হবে। ড. ইউনূস চান চীনের হাসপাতাল চেইনগুলো যেন বাংলাদেশে এসে হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করে। ২৬ মার্চ চার দিনের সফরে চীন যাচ্ছেন বাংলাদেশের ড. ইউনূস এবং ২৮ মার্চ চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আসন্ন চীন সফরে বিনিয়োগ ও বাংলাদেশে শিল্প স্থানান্তরের বিষয় সর্বোচ্চ গুরুত্ব পাবে। চীনের কারখানাগুলো কীভাবে বাংলাদেশে স্থানান্তর করা যায়, এটা হবে সফরের অন্যতম উদ্দেশ্য। ইউনূসের চীন সফর নিয়ে কথা বলতে রবিবার ড, ইইনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।

ড. ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার উৎপাদন শিল্পে বড় ধরনের বিপ্লব ঘটাতে চায়। চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা কতটা বাড়ানো যায়, সেদিকেও সরকার গুরুত্ব দিচ্ছে। চীনের রাষ্ট্রদূতের বরাত দিয়ে প্রেস সচিব বলেন, ৫ অগাস্টের পর গত সাত মাসে বাংলাদেশে বড় ধরনের বিনিয়োগ করেছে চীনের কোম্পানিগুলো। এই সফরের পর প্রচুর বিনিয়োগ আসবে। প্রেস সচিব জানান, ড. ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাতে চীনের রাষ্ট্রদূত বলেছেন, এটা হবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ সফর। দুই দেশ কূটনীতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন করছে। বৈঠকে সফরসূচি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ২৭ মার্চ প্রধান উপদেষ্টা বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়া সম্মেলনে বক্তব্য রাখবেন। এশিয়ার শীর্ষনেতাদের পাশাপাশি বড় বড় কোম্পানির সিইওরা সেখানে থাকেন। সাইডলাইনে চীনের বড় কয়েকটি কোম্পানির সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার মিটিং হতে পারে। এসব মিটিংয়ের উদ্দেশ্য হচ্ছে বাংলাদেশে চীনের কারখানাগুলো রিলোকেট করা। অন্তর্বর্তী সরকারের ফোকাস থাকবে চীনের কোম্পানিগুলো যেন তাদের কারখানা বাংলাদেশে রিলোকেট করে। প্রধান উপদেষ্টা আগেও চীনের সোলার কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশে স্থানান্তরের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। বৈশ্বিকভাবে চীন অনেক ট্রেড বেরিয়ারের মধ্যে পড়ে গেছে। বাংলাদেশে থেকে উৎপাদন করে যদি রপ্তানি করে, তাহলে কোনো বাধার মুখে পড়বে না। দুটি কোম্পানি বাংলাদেশে অফিস স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর একটি হচ্ছে ‘লংগি’। এটা বিশ্বের সর্ববৃহৎ সোলার প্যানেল কোম্পানি। বিশ্বের ৭০ ভাগ সোলার তারা তৈরি করে। ইউনিভার্সিটি ইউনূসকে একটি সম্মানসূচক ডিগ্রি দেবে। এছাড়া তিনি চীনের হাইটেক পার্কে যাবেন। সেখানে ইলেক্ট্রিক ভেহিকল, সোলার প্লান্ট ও চিপস কারখানা পরিদর্শন করবেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ইউনুস-শি বৈঠকে গুরুত্ব পাবে শিল্প স্থানান্তর

আপডেট সময় : ১২:০২:৩০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের আসন্ন চীন সফরে দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে শিল্পস্থানান্তর গুরুত্ব পাবে। পাশাপাশি চীনা হাসপাতালগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানো নিয়ে আলোচনাকালে বাংলাদেশে হাসপাতাল প্রতিষ্ঠায় আহ্বান জানানো হবে। ড. ইউনূস চান চীনের হাসপাতাল চেইনগুলো যেন বাংলাদেশে এসে হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করে। ২৬ মার্চ চার দিনের সফরে চীন যাচ্ছেন বাংলাদেশের ড. ইউনূস এবং ২৮ মার্চ চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আসন্ন চীন সফরে বিনিয়োগ ও বাংলাদেশে শিল্প স্থানান্তরের বিষয় সর্বোচ্চ গুরুত্ব পাবে। চীনের কারখানাগুলো কীভাবে বাংলাদেশে স্থানান্তর করা যায়, এটা হবে সফরের অন্যতম উদ্দেশ্য। ইউনূসের চীন সফর নিয়ে কথা বলতে রবিবার ড, ইইনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।

ড. ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার উৎপাদন শিল্পে বড় ধরনের বিপ্লব ঘটাতে চায়। চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা কতটা বাড়ানো যায়, সেদিকেও সরকার গুরুত্ব দিচ্ছে। চীনের রাষ্ট্রদূতের বরাত দিয়ে প্রেস সচিব বলেন, ৫ অগাস্টের পর গত সাত মাসে বাংলাদেশে বড় ধরনের বিনিয়োগ করেছে চীনের কোম্পানিগুলো। এই সফরের পর প্রচুর বিনিয়োগ আসবে। প্রেস সচিব জানান, ড. ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাতে চীনের রাষ্ট্রদূত বলেছেন, এটা হবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ সফর। দুই দেশ কূটনীতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন করছে। বৈঠকে সফরসূচি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ২৭ মার্চ প্রধান উপদেষ্টা বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়া সম্মেলনে বক্তব্য রাখবেন। এশিয়ার শীর্ষনেতাদের পাশাপাশি বড় বড় কোম্পানির সিইওরা সেখানে থাকেন। সাইডলাইনে চীনের বড় কয়েকটি কোম্পানির সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার মিটিং হতে পারে। এসব মিটিংয়ের উদ্দেশ্য হচ্ছে বাংলাদেশে চীনের কারখানাগুলো রিলোকেট করা। অন্তর্বর্তী সরকারের ফোকাস থাকবে চীনের কোম্পানিগুলো যেন তাদের কারখানা বাংলাদেশে রিলোকেট করে। প্রধান উপদেষ্টা আগেও চীনের সোলার কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশে স্থানান্তরের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। বৈশ্বিকভাবে চীন অনেক ট্রেড বেরিয়ারের মধ্যে পড়ে গেছে। বাংলাদেশে থেকে উৎপাদন করে যদি রপ্তানি করে, তাহলে কোনো বাধার মুখে পড়বে না। দুটি কোম্পানি বাংলাদেশে অফিস স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর একটি হচ্ছে ‘লংগি’। এটা বিশ্বের সর্ববৃহৎ সোলার প্যানেল কোম্পানি। বিশ্বের ৭০ ভাগ সোলার তারা তৈরি করে। ইউনিভার্সিটি ইউনূসকে একটি সম্মানসূচক ডিগ্রি দেবে। এছাড়া তিনি চীনের হাইটেক পার্কে যাবেন। সেখানে ইলেক্ট্রিক ভেহিকল, সোলার প্লান্ট ও চিপস কারখানা পরিদর্শন করবেন।