কাঠালিয়ায় জমিজমা নিয়ে বিরোধে ঘরের বারান্দা ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ
ইউপি সদস্যের স্ত্রীকে আগুনের মধ্যে ফেলে দেয়ার অভিযোগ

- আপডেট সময় : ০৩:১৩:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫ ১৯ বার পড়া হয়েছে
ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ায় ইয়াদ হোসেন নামের এক ইউপি মেম্বারের বসতঘরের সামনের বারান্দা ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও ছিনতাইয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। ভাংচুরের দৃশ্য মোবাইল ফোনে ভিডিও করায় ইউপি মেম্বারের স্ত্রী সালমা আক্তারকে আগুনের মধ্যে ফেলে দেয় হামলাকারীরা। এতে তার মুখমন্ডলসহ শরীরের বিভিন্ন স্থান জলসে গেছে।
শুক্রবার (১৩ জুন) দুপুরে উপজেলার পাটিখালঘাটা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। আহত সালমা আক্তার (৩৬) কে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে (আমুয়া) ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাৎক্ষণিক বরিশাল শেরই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিন রাতেই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়। বর্তমানে সেখানকার বার্ন ইউনিটে তার চিকিৎসা চলছে। এ ঘটনায় আহতের স্বামী পাটিখালঘাটা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি মেম্বার মো. ইয়াদ হোসেন বাদী হয়ে শনিবার (১৪ জুন) আলআমিন সিকদারসহ ৬জনকে আসামী করে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগে অজ্ঞাতনামা আরো ১৪/১৫জনকে আসামী করা হয়।
অভিযোগে জানাগেছে, উপজেলার পাটিখালঘাটা ইউনিয়নের পাটিখালঘাটা গ্রামের আলআমিন সিকদারের সাথে জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে ইউপি মেম্বার ইয়াদ হোসেনের। সম্প্রতি ইউপি মেম্বার তার বসত ঘরের সামনে একটি বারান্দা নির্মাণ করেন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে তর্কবির্তক হয়। এ ঘটনায় বুধবার (১১ জুন) থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন ইউপি মেম্বার। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আলআমিন সিকদার ও তাদের লোকজন শুক্রবার (১৩ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ইয়াদ মেম্বারের বসত ঘরের সামনে বারান্দা ভাংচুর করে এবং পেট্রোল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। ভাংচুর দৃশ্য মোবাইলে ধারন করতে গেলে ইউপি মেম্বারের স্ত্রী সালমা আক্তারকে মারধর ও তার গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার বিষয় অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
অভিযোগ অস্বীকার করে আলআমিন সিকদার জানান, তাদের জমিতে জোরপূর্বক ঘর নির্মাণ করেন ইয়াদ মেম্বার। এ নিয়ে তাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে শাহজালাল ও ওলিউল্লাহ নামে তাদের দুইজন আহত হয়েছে। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে (আমুয়া) ভর্তি করা হয়েছে।
থানার ওসি মংচেনলা জানান, এ ঘটনায় দুই পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।