ইটভাটায় পুড়ছে কাঠ, হুমকির মুখে ফসলি জমি-পরিবেশ
- আপডেট সময় : ১৪ বার পড়া হয়েছে
দিনাজপুরের পার্বতীপুরে উপজেলার হামিদপুর ইউনিয়নে যত্রতত্র ইটভাটা স্থাপন করে জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র, ইট পোড়ানোর লাইসেন্স, ফায়ার সার্ভিসের সার্টিফিকেট ছাড়াই ইটভাটার মালিকরা ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। মানছে না ইট পোড়ানোর সঠিক বিধিমালা।
ইটভাটা স্থাপন ও ইট প্রস্তুত আইন ২০১৩-এর ৬ ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি ইটভাটায় ইট পোড়ানোর কাজে কাঠ ব্যবহার করেন, তাহলে ওই ব্যক্তি তিন বছরের কারাদণ্ড অথবা তিন লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার ৪৮টি ইটভাটার মধ্যে মেসার্স একতা ব্রিকস,আরএম ব্রিকস, সততা ব্রিকস সহ বেশ কিছু ইটভাটাগুলো ইট পোড়ানোর জন্য জ্বালানি হিসেবে কাঠ পোড়াচ্ছে। ভাটার আশপাশে কাঠ স্তূপ করে রাখা হয়েছে। ইটভাটা থেকে নির্গত ধোঁয়ায় বায়ুদূষণ হচ্ছে। পাশাপাশি ক্ষতি হচ্ছে ফসলের। হুমকির মুখে পড়েছে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য।
এদিকে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন অনুযায়ী, ইটভাটার মাটি সংগ্রহের জন্য জেলা প্রশাসকের অনুমতি নেয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু কোন রকম অনুমতি ছাড়াই এ উপজেলায় বহু বছর ধরে প্রতি মৌসুমে কৃষিজমির উপরিভাগের মাটি কেটে নিচ্ছে ইটভাটার মালিকরা। তবে বুড়াবাজার করতোয়ার পাড় সহ এলাকার কৃষিজমির মাটি সবচেয়ে বেশি কাটা হচ্ছে। মূলত ভাটার মালিকেরা দালালদের প্রলোভনে পড়ে কৃষকরা জমির টপ সয়েল বা উপরিভাগের মাটি বিক্রি করছেন। এর ফলে ফসলি জমির উর্বরাশক্তি হ্রাস পাচ্ছে।
সূত্রমতে,পার্বতীপুরে হাতে গনা ২/৪ ভাটার লাইসেন্স আছে আর বাকিগুলোর কোনো লাইসেন্স নেই। কীভাবে চলে প্রশ্ন করা হলে ইটভাটার মালিকরা জানান, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন এবং বন বিভাগ থেকে শুরু করে প্রতিটি সেক্টর ম্যানেজ করেই ভাটা পরিচালনা করা হয়ে থাকে। আর এসব ম্যানেজ করে থাকেন উপজেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি ও সেক্রেটারি এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেন, গাছ পোড়ানোর বিষয়টি আমার জানা নেই, তবে সব ভাটায় অভিযান চালিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং
অবৈধভাবে ইটভাটা চালানোর কোনো সুযোগ নাই।


















