ঢাকা ০৭:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo নাটোরে ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে  জেলা যুবদলের বর্ণাঢ্য র‍্যালি Logo কুড়িগ্রামে যুবদলের ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন Logo বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাগেরহাটে যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে র‌্যালী Logo মনোহরগঞ্জে পরিবেশ দূষণে প্রস্তুত হচ্ছে অবৈধ ইটভাটা Logo বেনাপোলে নিখোঁজের দুই দিন পর ডোবায় মিলল যুবকের মরদেহ Logo রামুতে ৯২০০ পিস বার্মিজ ইয়াবাসহ একজন আটক Logo জয়পুরহাটে সফল পোল্ট্রি উদ্যোক্তা টুকু-কর্মসংস্থান শতাধিক Logo বগুড়ায় বাপা জেলা শাখার নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক Logo এনসিপির সঙ্গে নির্বাচন কমিশন স্বেচ্ছাচারী ও পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করছে: সারজিস Logo কুড়িগ্রামে চোরাকারবারিদের হামলায় চার বিজিবি সদস্য আহত

ইটভাটায় পুড়ছে কাঠ, হুমকির মুখে ফসলি জমি-পরিবেশ

মো. আসাদুজ্জামান আসাদ, পার্বতীপুর (দিনাজপুর)
  • আপডেট সময় : ১৪ বার পড়া হয়েছে

oppo_2

দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দিনাজপুরের পার্বতীপুরে উপজেলার হামিদপুর ইউনিয়নে যত্রতত্র ইটভাটা স্থাপন করে জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র, ইট পোড়ানোর লাইসেন্স, ফায়ার সার্ভিসের সার্টিফিকেট ছাড়াই ইটভাটার মালিকরা ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। মানছে না ইট পোড়ানোর সঠিক বিধিমালা।
ইটভাটা স্থাপন ও ইট প্রস্তুত আইন ২০১৩-এর ৬ ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি ইটভাটায় ইট পোড়ানোর কাজে কাঠ ব্যবহার করেন, তাহলে ওই ব্যক্তি তিন বছরের কারাদণ্ড অথবা তিন লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার ৪৮টি ইটভাটার মধ্যে মেসার্স একতা ব্রিকস,আরএম ব্রিকস, সততা ব্রিকস সহ বেশ কিছু ইটভাটাগুলো ইট পোড়ানোর জন্য জ্বালানি হিসেবে কাঠ পোড়াচ্ছে। ভাটার আশপাশে কাঠ স্তূপ করে রাখা হয়েছে। ইটভাটা থেকে নির্গত ধোঁয়ায় বায়ুদূষণ হচ্ছে। পাশাপাশি ক্ষতি হচ্ছে ফসলের। হুমকির মুখে পড়েছে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য।
এদিকে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন অনুযায়ী, ইটভাটার মাটি সংগ্রহের জন্য জেলা প্রশাসকের অনুমতি নেয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু কোন রকম অনুমতি ছাড়াই এ উপজেলায় বহু বছর ধরে প্রতি মৌসুমে কৃষিজমির উপরিভাগের মাটি কেটে নিচ্ছে ইটভাটার মালিকরা। তবে বুড়াবাজার করতোয়ার পাড় সহ এলাকার কৃষিজমির মাটি সবচেয়ে বেশি কাটা হচ্ছে। মূলত ভাটার মালিকেরা দালালদের প্রলোভনে পড়ে কৃষকরা জমির টপ সয়েল বা উপরিভাগের মাটি বিক্রি করছেন। এর ফলে ফসলি জমির উর্বরাশক্তি হ্রাস পাচ্ছে।
সূত্রমতে,পার্বতীপুরে হাতে গনা ২/৪ ভাটার লাইসেন্স আছে আর বাকিগুলোর কোনো লাইসেন্স নেই। কীভাবে চলে প্রশ্ন করা হলে ইটভাটার মালিকরা জানান, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন এবং বন বিভাগ থেকে শুরু করে প্রতিটি সেক্টর ম্যানেজ করেই ভাটা পরিচালনা করা হয়ে থাকে। আর এসব ম্যানেজ করে থাকেন উপজেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি ও সেক্রেটারি এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেন, গাছ পোড়ানোর বিষয়টি আমার জানা নেই, তবে সব ভাটায় অভিযান চালিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং
অবৈধভাবে ইটভাটা চালানোর কোনো সুযোগ নাই।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ইটভাটায় পুড়ছে কাঠ, হুমকির মুখে ফসলি জমি-পরিবেশ

আপডেট সময় :

দিনাজপুরের পার্বতীপুরে উপজেলার হামিদপুর ইউনিয়নে যত্রতত্র ইটভাটা স্থাপন করে জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র, ইট পোড়ানোর লাইসেন্স, ফায়ার সার্ভিসের সার্টিফিকেট ছাড়াই ইটভাটার মালিকরা ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। মানছে না ইট পোড়ানোর সঠিক বিধিমালা।
ইটভাটা স্থাপন ও ইট প্রস্তুত আইন ২০১৩-এর ৬ ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি ইটভাটায় ইট পোড়ানোর কাজে কাঠ ব্যবহার করেন, তাহলে ওই ব্যক্তি তিন বছরের কারাদণ্ড অথবা তিন লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার ৪৮টি ইটভাটার মধ্যে মেসার্স একতা ব্রিকস,আরএম ব্রিকস, সততা ব্রিকস সহ বেশ কিছু ইটভাটাগুলো ইট পোড়ানোর জন্য জ্বালানি হিসেবে কাঠ পোড়াচ্ছে। ভাটার আশপাশে কাঠ স্তূপ করে রাখা হয়েছে। ইটভাটা থেকে নির্গত ধোঁয়ায় বায়ুদূষণ হচ্ছে। পাশাপাশি ক্ষতি হচ্ছে ফসলের। হুমকির মুখে পড়েছে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য।
এদিকে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন অনুযায়ী, ইটভাটার মাটি সংগ্রহের জন্য জেলা প্রশাসকের অনুমতি নেয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু কোন রকম অনুমতি ছাড়াই এ উপজেলায় বহু বছর ধরে প্রতি মৌসুমে কৃষিজমির উপরিভাগের মাটি কেটে নিচ্ছে ইটভাটার মালিকরা। তবে বুড়াবাজার করতোয়ার পাড় সহ এলাকার কৃষিজমির মাটি সবচেয়ে বেশি কাটা হচ্ছে। মূলত ভাটার মালিকেরা দালালদের প্রলোভনে পড়ে কৃষকরা জমির টপ সয়েল বা উপরিভাগের মাটি বিক্রি করছেন। এর ফলে ফসলি জমির উর্বরাশক্তি হ্রাস পাচ্ছে।
সূত্রমতে,পার্বতীপুরে হাতে গনা ২/৪ ভাটার লাইসেন্স আছে আর বাকিগুলোর কোনো লাইসেন্স নেই। কীভাবে চলে প্রশ্ন করা হলে ইটভাটার মালিকরা জানান, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন এবং বন বিভাগ থেকে শুরু করে প্রতিটি সেক্টর ম্যানেজ করেই ভাটা পরিচালনা করা হয়ে থাকে। আর এসব ম্যানেজ করে থাকেন উপজেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি ও সেক্রেটারি এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেন, গাছ পোড়ানোর বিষয়টি আমার জানা নেই, তবে সব ভাটায় অভিযান চালিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং
অবৈধভাবে ইটভাটা চালানোর কোনো সুযোগ নাই।