ইয়াবা কারবারিকে এসি গাড়ির ব্যবস্থা করলেন টেকনাফ ওসি
- আপডেট সময় : ৩১ বার পড়া হয়েছে
টেকনাফ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু জায়েদ মো. নূরের বিরুদ্ধে আলোচিত এক মাদক কারবারিকে ঘুষের বিনিময়ে অনৈতিক সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ অনুযায়ী, তিন লাখ টাকার বিনিময়ে ইয়াবা কারবারি জুবাইরের স্ত্রী ফাইজাকে বিশেষ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) গাড়িতে আদালতে হাজির করার ব্যবস্থা করেন ওসি।
শনিবার ( ১৮ অক্টোবর) দুপুরে টেকনাফ থেকে কক্সবাজার আদালতে ফাইজাকে একটি এসি নোহা মাইক্রোবাসে আনা হয়। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন এএসআই দিলদার ও কয়েকজন পুলিশ সদস্য।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওসি আবু জায়েদ মো. নূর। তিনি বলেন, “এ ধরনের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। কোনো টাকা লেনদেন হয়নি।” তবে কেন ফাইজাকে এসি গাড়িতে আনা হলো—সে বিষয়ে কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেননি তিনি।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) রাতে বিজিবি জুবাইরের বাড়িতে টানা আট ঘণ্টার অভিযান চালিয়ে তার স্ত্রী ফাইজাকে গ্রেপ্তার করে। অভিযানে ১৯ হাজার ২০০ পিস ইয়াবা, ১৩০ গ্রাম ইয়াবা পাউডার ও নগদ ১০ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। এছাড়া জুবাইরের সহযোগী আয়ুব আলিকেও আটক করে বিজিবি। পরে তাদের টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করা হয়।
এরপরই ফাইজাকে আদালতে পাঠাতে বিশেষ এসি গাড়ির ব্যবস্থা করা হয়—যা নিয়ে শুরু হয় ব্যাপক বিতর্ক। স্থানীয় সূত্রের দাবি, ওই ‘সুবিধা’র বিনিময়ে ফাইজার পরিবারের কাছ থেকে তিন লাখ টাকা নিয়েছেন ওসি।
স্থানীয়রা জানায়, দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই নানা অভিযোগে সমালোচনায় আছেন টেকনাফ থানার ওসি আবু জায়েদ মো. নূর। সম্প্রতি একটি বড় ইয়াবা চালান গায়েব হওয়ার ঘটনাতেও তার নাম উঠে এসেছে।
টেকনাফ সীমান্ত দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা পাচারের অন্যতম রুট হিসেবে কুখ্যাত। স্থানীয়দের অভিযোগ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু সদস্যের যোগসাজশেই এ মাদক কারবার আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে।




















