ঢাকা ০৫:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫

ইসরাইলি গণহত্যার প্রতিবাদে উত্তাল মুক্তাগাছা: সর্বস্তরের জনতার বিক্ষোভ

রিপন সারওয়ার, মুক্তাগাছা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ২৯৪ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
ফিলিস্তিনের গাজা ও রাফায় চলমান ইসরাইলি গণহত্যার প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা। “মুক্তাগাছাবাসী” ব্যানারে সর্বস্তরের মানুষ সোমবার সকালে এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নেন। সকাল ১০টায় মুক্তাগাছার কেন্দ্রীয় বড় মসজিদের সামনে ট্রাকে স্থাপিত অস্থায়ী মঞ্চে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বক্তব্য রাখেন আল্লামা আব্দুল হালিম কাসেমী, মাওলানা আব্দুল হাই গাড়াইকুটি, মাওলানা আমানুল্লাহ রাহ্মানী, মুফতি আকরাম হোসাইন, মাওলানা আনোয়ার হোসাইন রাহ্মানী, মাওলানা জাকির হোসেন মোকাররমী, মাওলানা নজরুল ইসলাম আজাদী ও ড. মাকামে মাহমুদসহ আরও অনেকে।
সমাবেশে বক্তারা ইসরাইলকে মানবতার শত্রু আখ্যায়িত করে বলেন, “ইসরাইল ফিলিস্তিনে নির্মমভাবে শিশু, নারী ও নিরীহ মানুষদের গুলি করে পাখির মতো হত্যা করছে। গাজা ও রাফায় প্রতিনিয়ত রক্ত ঝরছে। এ গণহত্যা ইতিহাসের জঘন্যতম অধ্যায়।”
তারা বিশ্ব মুসলিম নেতৃত্বের নির্লিপ্ত ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “বিশ্বের মুসলিম নেতারা শুধু আসন আঁকড়ে বসে আছেন। ওআইসি নীরব দর্শক হয়ে মানবতার বিপর্যয় প্রত্যক্ষ করছে। অথচ সাধারণ মানুষ চুপ থাকতে রাজি নয়। মুসলিম জনতা জিহাদের জন্য প্রস্তুত।”
সমাবেশে ভারতের সাম্প্রতিক ওয়াকফ বিলেরও তীব্র সমালোচনা করা হয়। বক্তারা বলেন, “ভারত এখন এশিয়ার আরেক ইসরাইল। মুসলিম নিধনের নতুন ফন্দি আঁটছে। ওয়াকফ বিল মুসলিমদের ধর্মীয় অধিকার হরণের এক গভীর চক্রান্ত।”
বক্তারা আহ্বান জানান, “প্রত্যেক মুসলমান—ছাত্র, শিক্ষক, ব্যবসায়ী, পেশাজীবী—যেন মুজাহিদের রূপ ধারণ করে। নিজেদের শত্রু চিনে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।”
সমাবেশ শেষে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বড় মসজিদ চত্বরে গিয়ে মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়। এতে ফিলিস্তিনে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিরোধ কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়।
একইসাথে ছাত্রনেতাদের ডাকে “নো ওয়ার্ক, নো স্কুল” কর্মসূচিও মুক্তাগাছায় সফলভাবে পালিত হয়। এ কর্মসূচির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ইসরাইলি বর্বরতার বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান স্পষ্টভাবে জানান দেয়।
এই প্রতিবাদ ছিল শুধু একদিনের আহ্বান নয়, ছিল একটি চলমান প্রতিরোধের অঙ্গীকার।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ইসরাইলি গণহত্যার প্রতিবাদে উত্তাল মুক্তাগাছা: সর্বস্তরের জনতার বিক্ষোভ

আপডেট সময় :
ফিলিস্তিনের গাজা ও রাফায় চলমান ইসরাইলি গণহত্যার প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা। “মুক্তাগাছাবাসী” ব্যানারে সর্বস্তরের মানুষ সোমবার সকালে এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নেন। সকাল ১০টায় মুক্তাগাছার কেন্দ্রীয় বড় মসজিদের সামনে ট্রাকে স্থাপিত অস্থায়ী মঞ্চে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বক্তব্য রাখেন আল্লামা আব্দুল হালিম কাসেমী, মাওলানা আব্দুল হাই গাড়াইকুটি, মাওলানা আমানুল্লাহ রাহ্মানী, মুফতি আকরাম হোসাইন, মাওলানা আনোয়ার হোসাইন রাহ্মানী, মাওলানা জাকির হোসেন মোকাররমী, মাওলানা নজরুল ইসলাম আজাদী ও ড. মাকামে মাহমুদসহ আরও অনেকে।
সমাবেশে বক্তারা ইসরাইলকে মানবতার শত্রু আখ্যায়িত করে বলেন, “ইসরাইল ফিলিস্তিনে নির্মমভাবে শিশু, নারী ও নিরীহ মানুষদের গুলি করে পাখির মতো হত্যা করছে। গাজা ও রাফায় প্রতিনিয়ত রক্ত ঝরছে। এ গণহত্যা ইতিহাসের জঘন্যতম অধ্যায়।”
তারা বিশ্ব মুসলিম নেতৃত্বের নির্লিপ্ত ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “বিশ্বের মুসলিম নেতারা শুধু আসন আঁকড়ে বসে আছেন। ওআইসি নীরব দর্শক হয়ে মানবতার বিপর্যয় প্রত্যক্ষ করছে। অথচ সাধারণ মানুষ চুপ থাকতে রাজি নয়। মুসলিম জনতা জিহাদের জন্য প্রস্তুত।”
সমাবেশে ভারতের সাম্প্রতিক ওয়াকফ বিলেরও তীব্র সমালোচনা করা হয়। বক্তারা বলেন, “ভারত এখন এশিয়ার আরেক ইসরাইল। মুসলিম নিধনের নতুন ফন্দি আঁটছে। ওয়াকফ বিল মুসলিমদের ধর্মীয় অধিকার হরণের এক গভীর চক্রান্ত।”
বক্তারা আহ্বান জানান, “প্রত্যেক মুসলমান—ছাত্র, শিক্ষক, ব্যবসায়ী, পেশাজীবী—যেন মুজাহিদের রূপ ধারণ করে। নিজেদের শত্রু চিনে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।”
সমাবেশ শেষে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বড় মসজিদ চত্বরে গিয়ে মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়। এতে ফিলিস্তিনে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিরোধ কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়।
একইসাথে ছাত্রনেতাদের ডাকে “নো ওয়ার্ক, নো স্কুল” কর্মসূচিও মুক্তাগাছায় সফলভাবে পালিত হয়। এ কর্মসূচির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ইসরাইলি বর্বরতার বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান স্পষ্টভাবে জানান দেয়।
এই প্রতিবাদ ছিল শুধু একদিনের আহ্বান নয়, ছিল একটি চলমান প্রতিরোধের অঙ্গীকার।