ঢাকা ০৮:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo কালিগঞ্জে নিরাপদ সড়ক দিবসে র‍্যালি ও আলোচনা সভা Logo মোংলায় জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস পালন Logo কক্সবাজারে পর্যটক নিরাপত্তায় রিজিয়ন ট্যুরিস্ট পুলিশের এডিআইজি আপেল মাহমুদ Logo সিরাজদিখানে গ্রাম পুলিশের মাঝে পোশাক ও অন্যান্য সামগ্রী বিতরণ Logo কালিগঞ্জে মাংসের দোকানে ভ্রাম্যমান আদালত Logo পলাশবাড়ী পৌরসভার বহুমুখী উন্নয়নে কাস্টার ডেভেলপমেন্ট প্ল্যান শীর্ষক দিনব্যাপি কর্মশালা Logo টেকনাফে পাহাড়ের পর সাগর পথে পাচার কালে ২৯ জন ভুক্তভোগী সহ মানব পাচারকারী চক্রের ৩ সদস্য আটক Logo তিতাসে বিএনপির লিপলেট বিতরণ Logo গোমস্তাপুরে জোরপূর্বক ধানীজমি দখলের চেষ্টা Logo কিশোরগঞ্জে রেলের গাছ কেটে বিক্রি করলেন কর্মচারীরা

ইসরাইলে ঝুঁকিতে আদানির পাহাড়সম বিনিয়োগ

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ১৪১ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ইরান ও ইসরাইলের মধ্যকার সামরিক উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ায় ভারতীয় ধনকুবের গৌতম আদানির বহু বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ বড় ঝুঁকিতে পড়েছে। বিশেষ করে ইসরাইলের হাইফা বন্দর এবং প্রতিরক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে আদানি গ্রুপের অংশগ্রহণ এই সংঘাতের সরাসরি প্রভাবের আওতায় এসেছে।
২০২৩ সালে আদানি পোর্টস ১ দশমিক ২ বিলিয়ন (১২০ কোটি) ডলারে ইসরাইলের গ্যাদত গ্রুপের সঙ্গে যৌথভাবে হাইফা বন্দরের ৭০ শতাংশ মালিকানা নেয় ভারতের আদানি গ্রুপ। বন্দরটি আদানি পোর্টসের বাৎসরিক কার্গোর প্রায় তিন শতাংশ বহন করে এবং ইসরাইলের আমদানি-রপ্তানিতে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ। ইসরাইল-ইরান যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এই বন্দর ঝুঁকির মুখে পড়েছে। পুরো অঞ্চলে উত্তেজনা বাড়ায় ভূমধ্যসাগরীয় বাণিজ্যপথে বিঘ্ন ঘটতে পারে। এর ফলে পণ্য পরিবহন বিলম্বিত হতে পারে এবং শিপিং রুট পরিবর্তনের প্রয়োজন হতে পারে।
আদানি এন্টারপ্রাইজ ২০১৮ সালে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা প্রতিষ্ঠান এলবিট সিস্টেমসের সঙ্গে যৌথভাবে হায়দরাবাদে ড্রোন কারখানা স্থাপন করে। এই কারখানায় তৈরি হার্মিস ৯০০ ড্রোন বর্তমানে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর (আইডিএফ) একটি প্রধান অস্ত্র। এটি ইসরাইলের বাইরে একমাত্র নির্মাণকেন্দ্র। যুদ্ধ বেড়ে গেলে এই ড্রোনের চাহিদা বাড়ার সম্ভাবনা থাকলেও এতে আদানি গ্রুপকে নতুন রাজনৈতিক ও নৈতিক প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হতে পারে।
আদানি গ্রুপ ইসরাইলের টাওয়ার সেমিকন্ডাক্টরের সঙ্গে যৌথভাবে ১০ বিলিয়ন (এক হাজার কোটি) ডলারের একটি সেমিকন্ডাক্টর প্রকল্পের পরিকল্পনা করেছিল। এপ্রিল মাসে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, প্রকল্পটি আপাতত স্থগিত রয়েছে। বলা হচ্ছে, এর পেছনে বাজারের অনিশ্চয়তা ও ভূরাজনৈতিক অস্থিরতা কাজ করছে। যদিও হাইফা বন্দর আদানি পোর্টসের জন্য বড় রাজস্ব উৎস নয়, তবু এর কৌশলগত গুরুত্ব বিশাল। যুদ্ধের ঝুঁকিতে এই স্থাপনার ভবিষ্যৎ নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে বাজারে এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। আদানি পোর্টসের শেয়ারের দর প্রায় ৩ দশমিক ২ শতাংশ এবং আদানি এন্টারপ্রাইজেসের শেয়ারের দর ২ দশমিক ৮ শতাংশ কমে গেছে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ইসরাইলে ঝুঁকিতে আদানির পাহাড়সম বিনিয়োগ

আপডেট সময় :

ইরান ও ইসরাইলের মধ্যকার সামরিক উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ায় ভারতীয় ধনকুবের গৌতম আদানির বহু বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ বড় ঝুঁকিতে পড়েছে। বিশেষ করে ইসরাইলের হাইফা বন্দর এবং প্রতিরক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে আদানি গ্রুপের অংশগ্রহণ এই সংঘাতের সরাসরি প্রভাবের আওতায় এসেছে।
২০২৩ সালে আদানি পোর্টস ১ দশমিক ২ বিলিয়ন (১২০ কোটি) ডলারে ইসরাইলের গ্যাদত গ্রুপের সঙ্গে যৌথভাবে হাইফা বন্দরের ৭০ শতাংশ মালিকানা নেয় ভারতের আদানি গ্রুপ। বন্দরটি আদানি পোর্টসের বাৎসরিক কার্গোর প্রায় তিন শতাংশ বহন করে এবং ইসরাইলের আমদানি-রপ্তানিতে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ। ইসরাইল-ইরান যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এই বন্দর ঝুঁকির মুখে পড়েছে। পুরো অঞ্চলে উত্তেজনা বাড়ায় ভূমধ্যসাগরীয় বাণিজ্যপথে বিঘ্ন ঘটতে পারে। এর ফলে পণ্য পরিবহন বিলম্বিত হতে পারে এবং শিপিং রুট পরিবর্তনের প্রয়োজন হতে পারে।
আদানি এন্টারপ্রাইজ ২০১৮ সালে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা প্রতিষ্ঠান এলবিট সিস্টেমসের সঙ্গে যৌথভাবে হায়দরাবাদে ড্রোন কারখানা স্থাপন করে। এই কারখানায় তৈরি হার্মিস ৯০০ ড্রোন বর্তমানে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর (আইডিএফ) একটি প্রধান অস্ত্র। এটি ইসরাইলের বাইরে একমাত্র নির্মাণকেন্দ্র। যুদ্ধ বেড়ে গেলে এই ড্রোনের চাহিদা বাড়ার সম্ভাবনা থাকলেও এতে আদানি গ্রুপকে নতুন রাজনৈতিক ও নৈতিক প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হতে পারে।
আদানি গ্রুপ ইসরাইলের টাওয়ার সেমিকন্ডাক্টরের সঙ্গে যৌথভাবে ১০ বিলিয়ন (এক হাজার কোটি) ডলারের একটি সেমিকন্ডাক্টর প্রকল্পের পরিকল্পনা করেছিল। এপ্রিল মাসে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, প্রকল্পটি আপাতত স্থগিত রয়েছে। বলা হচ্ছে, এর পেছনে বাজারের অনিশ্চয়তা ও ভূরাজনৈতিক অস্থিরতা কাজ করছে। যদিও হাইফা বন্দর আদানি পোর্টসের জন্য বড় রাজস্ব উৎস নয়, তবু এর কৌশলগত গুরুত্ব বিশাল। যুদ্ধের ঝুঁকিতে এই স্থাপনার ভবিষ্যৎ নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে বাজারে এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। আদানি পোর্টসের শেয়ারের দর প্রায় ৩ দশমিক ২ শতাংশ এবং আদানি এন্টারপ্রাইজেসের শেয়ারের দর ২ দশমিক ৮ শতাংশ কমে গেছে।