সংবাদ শিরোনাম ::
ইসলামপুর ইউনিয়নে ঈদের চাল নিয়ে পরিষদ সদস্যকে মারপিটের অভিযোগ

রাজবাড়ী প্রতিনিধি
- আপডেট সময় : ০৪:০৬:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫ ৬০ বার পড়া হয়েছে
রাজবাড়ী বালিয়াকান্দি উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নে ঈদের চাল ইউনিয়নি পরিষদ সদস্যকে মারপিটের অভিযোগ করা হয়েছে।এ বিষয়ে গত রবিবার আহত মো. শফিকুল ইসলাম বালিয়াকান্দি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। উল্লেখ্য গত শনিবার ৩১ মে রাতে ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নং ওয়ার্ড সদস্য প্যানেল চেয়ারম্যান মোহন রায়হান ঈদের ভিজিএফ এর চাল বিতরনের কার্ড নেওয়ার জন্য অভিযোগকারী শফিকুল ইসলামকে ফোন করেন।পরের দিন শফিকুল সকাল ১০ টার দিকে ইউনিয়ন পরিষদে আসেন।
এসময় প্যানেল চেয়ারম্যান মোহন রায়হান শফিকুলকে পরিষদে বসিয়ে রেখে বহরপুর বাজারে যান।এর কিছুক্ষ পর ইউনিয়নের বাড়াদি গ্রামের মৃত আনসার ব্যাপারীর ছেলে মো.বাবু ব্যাপারী, শামুখ খোলা মৃত হোচেন মোল্লার ছেলে মো. রইচ মোল্লা,শেকারা গ্রামের আব্দুল মজিদ শেখের ছেলে মো. মনোয়ার শেখ,শামুক খোলা গ্রামের মৃত অছেল মোল্লার ছেলে মো. আমজাদ মেল্লা,শেকারা গ্রামের মৃত খন্দকার আনিসুর রহমানের ছেলে খন্দকার ঝন্টু সহ অজ্ঞাত আরো ৪/৫ শফিকুল’ কে গালাগাল দেয়।এসময় শফিকুল তাদের গালাগাল করতে নিষেধ করলে তাকে পরিষদের মধ্যেই লাঠি,বাটাম,সহ কিলঘুষি দিয়ে তাকে মারপিট করা হয়।এসময় অভিযোগের ১ নং আসামী মো. বাবু ব্যাপারী তার কাছে থাকা ৪৮ হাজার ৮০০ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এসময় শফিকুল চিৎকার চেচামেচি করলে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা তাকে হুমকী দিয়ে চলে যায়।এখন সে তার পরিবার নিয়ে নিয়ে রাপত্তাহীনতায় ভুগছোন বলে অভযোগে উল্লেখ করেন।
ভক্তভোগী শফিকুল বলেন,ঈদের সময় ভিজিএফ এর চালের কার্ড নিতে আসতে বলেন প্যানেল চেয়ারম্যান মোহন রায়হান। আমি পরিষদে আসলে রায়হানের সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমাকে মারপিট করে।এতে আমি হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নেই।কেন আমাকে খবর দিয়ে এনে মারপিট করা হল এর সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনার অনুরোদ জানান প্রশাসনের কাছে।
ইসকামপুর ইউনিয়নের পরিষদের প্যানেল চেয়াটম্যান মোহন রায়হান বলেন,আমি শফিকুল ইসলাম সহ সব সদস্যদের ভিজিএফ চালের কার্ড নেওয়ার জন্য ডেকে ছিলাম।তবে শফিকুল মেম্বারকে কারা কি কারনে মেরেছে তা আমি জানিনা।
এ ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড সদস্য নবু শেখ,তিনি জানান, ঘটনা সত্য।সেদিন আমরা প্যানপল চেয়ারম্যান ডাকার পর পরিষদে যাই।সেখানে গেলে কিছুক্ষন পর পরিষদে কয়েকজন লোক লাঠিসেটা,বাটাম নিয়ে কোন কারন ছাড়াই গালাগাল ও শফিকুলের উপর মারপিট করতে থাকে।এসময় আমরা সেখান থেকে সরে যাই।বর্তমানে আমরা নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি।আমরা চারজন এখন পরিষদে যাচ্ছিনা।
বালিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামাল উদ্দিন জানান অভিযোগ পেয়েছেন। অভিযোগটি কোর্টে পাঠানো হবে।কোর্ট থেকে নির্দেশনা পেলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে জানান।তবে টাকা পয়সা নেওয়ার ঘটনাটি সত্য নয় বলে জানান তিনি।