ঢাকা ০৩:১১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫

ঈদুল ফিতরে ২৪ বন্দির মুক্তি

বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১০:৪৩:০৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩১ মার্চ ২০২৫ ৬৩ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কেরানীগঞ্জ কারাগারে তিন ঈদের জামাত ॥ থাকছে বিশেষ খাবার ও বিনোদন অনুষ্ঠান

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারসহ দেশের বিভিন্ন কারাগার থেকে ২৪ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এই ২৪ জন এরই মধ্যে মুক্তি পেয়ে কারাগার ত্যাগ করেছেন। বয়স্ক ও লঘুদন্ডের বন্দিদেও যাচাই বাছাইয়ের পর ২৪ বন্দিকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। গত শনিবার কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারসহ দেশের বিভিন্ন কারাগার থেকে ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে ২৪ জন বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে ২২ জনকে ৫৭৯ ধারায় সরকারের নিয়ম অনুযায়ী মুক্তি দেওয়া হয়। এছাড়া আরো দুই জনকে ভালো কাজের জন্য মুক্তি দেওয়া হয়।
এদিকে ঈদের দিনে কেরানীগঞ্জ কারাগারে ঈদের তিনটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। কারাগারে আটক প্রায় দেড় হাজার বন্দি ঈদের নামাজ অংশ নেয়। নামাজ শেষে সকল বন্দিকে বিশেষ খাবার সরবরাহ করা হয়।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার এ কে এম মাসুম বলেছেন, কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে তিনটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে কারা বেষ্টনীর ভিতরে দুটি জামাত কারাগােে কর্মরত সকল কর্মচানী ও কর্মকতারা অংশ নিয়েছেন। এছাড়া বাকী একটি জামাতে অংশ নেয় আটক সকল বন্দি। এছাড়া ঈদের দিন সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৩টা কারা পর্যন্ত অভ্যন্তরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। কারাকর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সকাল ৭টা ও ১০টায় কারাগারের স্টাফদের জন্য পৃথক দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ ছাড়া সকাল ৮টায় কারাগারের মাঠে আরেকটি জামাতের অংশ নেয় বন্দিরা। কারা কম্পাউ- জামে মসজিদের ইমাম ঈদের নামাজ পড়ান। এছাড়া ঈদ উপলক্ষে বন্দির সঙ্গে স্বজনদের সাক্ষাতের বিষয়টি শিথিল করা হয়েছে। পাশাপাশি বাসা থেকে রান্না কনা খাবার দেয়ার সুযোগ ছিল। যার কারনে ঈদে দিনভর স্বজনরা বন্দির সঙ্গে বিনা বাধায় সাক্ষাতের সুযোগ পেয়েছে।
কারাগারের জেলার এ কে এম মাসুম জানান, বন্দিদের বিশেষ খাবারের দেয়া হয়েছে। নেচে গেয়ে উৎসব মুখর পরিবেশে বন্দিরা দিনটি পালন করেছে। তিনি বলেন, প্রতিবারের মতো এবারও ঈদের দিনে কারাবন্দিদের জন্য বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সকালে তাদের জন্য থাকবে মুড়ি, পায়েস অথবা সেমাই। দুপুরের খাবারে পরিবেশন করা হবে গরুর মাংস, মুরগির রোস্ট, ডিম, কোমল পানীয়, সালাদ ও পান-সুপারি। যারা গরুর মাংস খাবেন না, তাদের জন্য খাসির মাংসের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। রাতে থাকবে সাদা ভাতের সঙ্গে রুই মাছ আলুর দম ডাল ও সবজি।
কারা সূত্রে জানা গেছে, ঈদ উপলক্ষে কারা অভ্যন্তরে বিনোদন অনুষ্ঠান ও স্বজনদের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ এবং বাসার রান্না করা খাবার সরবরাহ করছে।
ঈদের দ্বিতীয় দিনে বন্দিদের জন্য বিশেষ বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। পাশাপাশি ঈদের দিন স্বাভাবিক নিয়মের চেয়ে পাঁচ মিনিট বেশি সময় ধরে ফোনে বন্দিরা স্বজনদের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন। ঈদের দিন স্বজনরা কারাবন্দিদের সঙ্গে দেখা করতে পারলেও ঈদের দ্বিতীয় দিন বাসা থেকে রান্না করা খাবার নিয়ে আসতে পারবেন। তবে নির্ধারিত নিয়ম মেনে খাবার কারাগারে প্রবেশ করানো যাবে। জেলার এ কে এম মাসুম বলেন, ঈদের দিনে দায়িত্ব পালন করা কারা স্টাফদের জন্য বিশেষ প্রীতিভোজের আয়োজন করা হয়েছে। সেই প্রীতিভোজে কারা কর্মকর্তা থেকে শুরু করে সকল শ্রেনীর কর্মকর্তারা অংশ গ্রহন করবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ঈদুল ফিতরে ২৪ বন্দির মুক্তি

আপডেট সময় : ১০:৪৩:০৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩১ মার্চ ২০২৫

কেরানীগঞ্জ কারাগারে তিন ঈদের জামাত ॥ থাকছে বিশেষ খাবার ও বিনোদন অনুষ্ঠান

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারসহ দেশের বিভিন্ন কারাগার থেকে ২৪ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এই ২৪ জন এরই মধ্যে মুক্তি পেয়ে কারাগার ত্যাগ করেছেন। বয়স্ক ও লঘুদন্ডের বন্দিদেও যাচাই বাছাইয়ের পর ২৪ বন্দিকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। গত শনিবার কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারসহ দেশের বিভিন্ন কারাগার থেকে ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে ২৪ জন বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে ২২ জনকে ৫৭৯ ধারায় সরকারের নিয়ম অনুযায়ী মুক্তি দেওয়া হয়। এছাড়া আরো দুই জনকে ভালো কাজের জন্য মুক্তি দেওয়া হয়।
এদিকে ঈদের দিনে কেরানীগঞ্জ কারাগারে ঈদের তিনটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। কারাগারে আটক প্রায় দেড় হাজার বন্দি ঈদের নামাজ অংশ নেয়। নামাজ শেষে সকল বন্দিকে বিশেষ খাবার সরবরাহ করা হয়।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার এ কে এম মাসুম বলেছেন, কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে তিনটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে কারা বেষ্টনীর ভিতরে দুটি জামাত কারাগােে কর্মরত সকল কর্মচানী ও কর্মকতারা অংশ নিয়েছেন। এছাড়া বাকী একটি জামাতে অংশ নেয় আটক সকল বন্দি। এছাড়া ঈদের দিন সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৩টা কারা পর্যন্ত অভ্যন্তরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। কারাকর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সকাল ৭টা ও ১০টায় কারাগারের স্টাফদের জন্য পৃথক দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ ছাড়া সকাল ৮টায় কারাগারের মাঠে আরেকটি জামাতের অংশ নেয় বন্দিরা। কারা কম্পাউ- জামে মসজিদের ইমাম ঈদের নামাজ পড়ান। এছাড়া ঈদ উপলক্ষে বন্দির সঙ্গে স্বজনদের সাক্ষাতের বিষয়টি শিথিল করা হয়েছে। পাশাপাশি বাসা থেকে রান্না কনা খাবার দেয়ার সুযোগ ছিল। যার কারনে ঈদে দিনভর স্বজনরা বন্দির সঙ্গে বিনা বাধায় সাক্ষাতের সুযোগ পেয়েছে।
কারাগারের জেলার এ কে এম মাসুম জানান, বন্দিদের বিশেষ খাবারের দেয়া হয়েছে। নেচে গেয়ে উৎসব মুখর পরিবেশে বন্দিরা দিনটি পালন করেছে। তিনি বলেন, প্রতিবারের মতো এবারও ঈদের দিনে কারাবন্দিদের জন্য বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সকালে তাদের জন্য থাকবে মুড়ি, পায়েস অথবা সেমাই। দুপুরের খাবারে পরিবেশন করা হবে গরুর মাংস, মুরগির রোস্ট, ডিম, কোমল পানীয়, সালাদ ও পান-সুপারি। যারা গরুর মাংস খাবেন না, তাদের জন্য খাসির মাংসের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। রাতে থাকবে সাদা ভাতের সঙ্গে রুই মাছ আলুর দম ডাল ও সবজি।
কারা সূত্রে জানা গেছে, ঈদ উপলক্ষে কারা অভ্যন্তরে বিনোদন অনুষ্ঠান ও স্বজনদের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ এবং বাসার রান্না করা খাবার সরবরাহ করছে।
ঈদের দ্বিতীয় দিনে বন্দিদের জন্য বিশেষ বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। পাশাপাশি ঈদের দিন স্বাভাবিক নিয়মের চেয়ে পাঁচ মিনিট বেশি সময় ধরে ফোনে বন্দিরা স্বজনদের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন। ঈদের দিন স্বজনরা কারাবন্দিদের সঙ্গে দেখা করতে পারলেও ঈদের দ্বিতীয় দিন বাসা থেকে রান্না করা খাবার নিয়ে আসতে পারবেন। তবে নির্ধারিত নিয়ম মেনে খাবার কারাগারে প্রবেশ করানো যাবে। জেলার এ কে এম মাসুম বলেন, ঈদের দিনে দায়িত্ব পালন করা কারা স্টাফদের জন্য বিশেষ প্রীতিভোজের আয়োজন করা হয়েছে। সেই প্রীতিভোজে কারা কর্মকর্তা থেকে শুরু করে সকল শ্রেনীর কর্মকর্তারা অংশ গ্রহন করবে।