ঢাকা ০৪:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫

উত্তরায় বিমান দুর্ঘটনায় আহত কোমলমতি শিশুদের রক্ত দিয়ে মানবতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন মাগুরা রিপোর্টার্স ইউনিটির সদস্য রাব্বি

এইচ.এন. কামরুল ইসলাম, মাগুরা
  • আপডেট সময় : ৬২ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ঢাকার উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল ভবনের ওপর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে দেশের মানুষকে স্তম্ভিত করে দিয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রাণহানির সংখ্যা ২০ জন ছাড়িয়ে গেছে এবং বহু কোমলমতি শিশু গুরুতর আহত হয়ে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। এই হৃদয়বিদারক পরিস্থিতিতে মাগুরা রিপোর্টার্স ইউনিটি শুধু শোক প্রকাশেই থেমে থাকেনি, মানবিক দায়িত্ববোধ থেকে সদস্যদের সক্রিয় ভূমিকা পালনের আহ্বানও জানিয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন মাগুরা রিপোর্টার্স ইউনিটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং দৈনিক পর্যবেক্ষণ পত্রিকার মোহাম্মদপুর উপজেলা প্রতিনিধি মেহেদী হাসান রাব্বি। দুর্ঘটনায় আহত শিশুদের সুচিকিৎসার জন্য অতীব প্রয়োজনীয় (O-) নেগেটিভ গ্রুপের রক্ত দিয়ে তিনি এক অনন্য মানবিক দায়িত্ব পালন করেছেন।
ঘটনার পরপরই মাগুরা রিপোর্টার্স ইউনিটির পক্ষ থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে নিহতদের প্রতি গভীর শোক ও পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানো হয় এবং আহতদের চিকিৎসায় রক্তের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে সব ইউনিট সদস্যদের রক্তদানে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে মেহেদী হাসান রাব্বির এই মহৎ উদ্যোগ সমাজে এক ইতিবাচক বার্তা ছড়িয়ে দিয়েছে।
তিনি বলেন,মানুষ মানুষের জন্য। শিশুদের এই কান্না কোনো সংবাদপত্রের শিরোনাম হয়ে শেষ হয়ে যেতে পারে না। একজন গণমাধ্যমকর্মী হিসেবে নয়, একজন মানুষ হিসেবে তাদের পাশে দাঁড়ানোই আমার কর্তব্য মনে করেছি।
মাগুরা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি এইচ.এন. কামরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির রাব্বির এই মানবিক উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন,আমরা গর্বিত যে আমাদের সংগঠনের সদস্যরা শুধু কলম নিয়ে নয়, প্রয়োজনে রক্ত দিয়েও মানুষের পাশে দাঁড়াতে প্রস্তুত।”
এদিকে, রিপোর্টার্স ইউনিটির দপ্তর সম্পাদক মোঃ মইনুর রহমান পলিন- জানিয়েছেন,দুর্যোগ ও বিপদের সময় মানুষের পাশে দাঁড়ানো আমাদের সাংগঠনিক দায়বদ্ধতার অংশ। আমরা মাগুরার প্রতিটি উপজেলা থেকে নেগেটিভ ও অন্যান্য রক্ত গ্রুপের সদস্যদের তালিকা তৈরি করে ঢাকার সংশ্লিষ্ট রক্ত কেন্দ্রে পাঠাচ্ছি।
রাব্বির এই উদ্যোগ একদিকে যেমন মাগুরার ভাবমূর্তিকে তুলে ধরেছে, অন্যদিকে সাংবাদিকতার সামাজিক দায়িত্বের উদাহরণ হিসেবেও এটি চিহ্নিত হয়ে থাকবে। সমাজে এমন ইতিবাচক বার্তা ছড়িয়ে পড়ুক—এই প্রত্যাশায় মানুষ এখন অপেক্ষায় আছে আরও অনেক ‘রাব্বি’র।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

উত্তরায় বিমান দুর্ঘটনায় আহত কোমলমতি শিশুদের রক্ত দিয়ে মানবতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন মাগুরা রিপোর্টার্স ইউনিটির সদস্য রাব্বি

আপডেট সময় :

ঢাকার উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল ভবনের ওপর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে দেশের মানুষকে স্তম্ভিত করে দিয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রাণহানির সংখ্যা ২০ জন ছাড়িয়ে গেছে এবং বহু কোমলমতি শিশু গুরুতর আহত হয়ে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। এই হৃদয়বিদারক পরিস্থিতিতে মাগুরা রিপোর্টার্স ইউনিটি শুধু শোক প্রকাশেই থেমে থাকেনি, মানবিক দায়িত্ববোধ থেকে সদস্যদের সক্রিয় ভূমিকা পালনের আহ্বানও জানিয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন মাগুরা রিপোর্টার্স ইউনিটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং দৈনিক পর্যবেক্ষণ পত্রিকার মোহাম্মদপুর উপজেলা প্রতিনিধি মেহেদী হাসান রাব্বি। দুর্ঘটনায় আহত শিশুদের সুচিকিৎসার জন্য অতীব প্রয়োজনীয় (O-) নেগেটিভ গ্রুপের রক্ত দিয়ে তিনি এক অনন্য মানবিক দায়িত্ব পালন করেছেন।
ঘটনার পরপরই মাগুরা রিপোর্টার্স ইউনিটির পক্ষ থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে নিহতদের প্রতি গভীর শোক ও পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানো হয় এবং আহতদের চিকিৎসায় রক্তের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে সব ইউনিট সদস্যদের রক্তদানে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে মেহেদী হাসান রাব্বির এই মহৎ উদ্যোগ সমাজে এক ইতিবাচক বার্তা ছড়িয়ে দিয়েছে।
তিনি বলেন,মানুষ মানুষের জন্য। শিশুদের এই কান্না কোনো সংবাদপত্রের শিরোনাম হয়ে শেষ হয়ে যেতে পারে না। একজন গণমাধ্যমকর্মী হিসেবে নয়, একজন মানুষ হিসেবে তাদের পাশে দাঁড়ানোই আমার কর্তব্য মনে করেছি।
মাগুরা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি এইচ.এন. কামরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির রাব্বির এই মানবিক উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন,আমরা গর্বিত যে আমাদের সংগঠনের সদস্যরা শুধু কলম নিয়ে নয়, প্রয়োজনে রক্ত দিয়েও মানুষের পাশে দাঁড়াতে প্রস্তুত।”
এদিকে, রিপোর্টার্স ইউনিটির দপ্তর সম্পাদক মোঃ মইনুর রহমান পলিন- জানিয়েছেন,দুর্যোগ ও বিপদের সময় মানুষের পাশে দাঁড়ানো আমাদের সাংগঠনিক দায়বদ্ধতার অংশ। আমরা মাগুরার প্রতিটি উপজেলা থেকে নেগেটিভ ও অন্যান্য রক্ত গ্রুপের সদস্যদের তালিকা তৈরি করে ঢাকার সংশ্লিষ্ট রক্ত কেন্দ্রে পাঠাচ্ছি।
রাব্বির এই উদ্যোগ একদিকে যেমন মাগুরার ভাবমূর্তিকে তুলে ধরেছে, অন্যদিকে সাংবাদিকতার সামাজিক দায়িত্বের উদাহরণ হিসেবেও এটি চিহ্নিত হয়ে থাকবে। সমাজে এমন ইতিবাচক বার্তা ছড়িয়ে পড়ুক—এই প্রত্যাশায় মানুষ এখন অপেক্ষায় আছে আরও অনেক ‘রাব্বি’র।