ঢাকা ০৩:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫

উল্লাপাড়া পঞ্চক্রোশী ইউনিয়ন পরিষদ স্থানান্তরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ

উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০২:১৯:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫ ১৩ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার পঞ্চক্রোশী ইউনিয়ন পরিষদ ভবন অন্যত্র স্থানান্তরের সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদে শনিবার দিনব্যাপী উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ইউনিয়নের সর্বস্তরের মানুষ এই সিদ্ধান্তকে অন্যায় ও এলাকাবাসীর স্বার্থবিরোধী আখ্যা দিয়ে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে।
গত শনিবার সকালে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় প্রাঙ্গণে এক বিশাল প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রবীণ শিক্ষাবিদ আলহাজ্ব সিরাজুল ইসলাম মাষ্টার।
সভায় বক্তারা বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জনাব হাসান আরিফ তার প্রভাব খাটিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান কার্যালয়টি তার নিজ এলাকায় সরিয়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্র করছেন। এই সিদ্ধান্ত জনগণের মতামত উপেক্ষা করে একপাক্ষিকভাবে নেওয়া হয়েছে।
বক্তারা জানান, ইউনিয়ন পরিষদ ভবন আধুনিকায়নের জন্য ইতিমধ্যেই একটি সরকারি তদন্ত কমিটি পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছিল। অথচ সচিব হাসান আরিফ সম্প্রতি প্রকাশ্যে ঘোষণা দেন, “পঞ্চক্রোশী ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স আমার এলাকায় স্থাপন করব”। এই মন্তব্যে ইউনিয়নবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও ক্ষেপণা ছড়িয়ে পড়ে।
প্রতিবাদ সভা শেষে এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি ইউনিয়নের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। বিক্ষুব্ধ জনতা স্লোগান দিতে থাকে
“আমাদের ইউনিয়ন অফিস অন্যত্র নেবার ষড়যন্ত্র বন্ধ করো!”
“জনগণের অধিকার হরণ করা চলবে না!”
সভায় এবং মিছিলে বক্তব্য রাখেন , হায়দার আলী, ছরিয়ার হোসেন ,আজমুল হাসান দুলাল, আলহাস উদ্দিন,জাহাঙ্গীর হোসেন তাজমুল, নূরগঞ্জ গ্রামের আঃ মমিন,রামকান্তপুর গ্রামের আঃ আলীম সরকার,দমদমা গ্রামের আঃ সালাম মন্ডল,সদাই গ্রামের ডাঃ সালেক প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ইউনিয়নবাসীর সম্মিলিত মতের তোয়াক্কা না করে একটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার প্রচেষ্টা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। প্রয়োজনে আরো বৃহত্তর আন্দোলনের ঘোষণা দেওয়া হবে।
পুরো কর্মসূচি সঞ্চালনা করেন আব্দুস ছালাম।
বিক্ষুব্ধ জনতা সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলের কাছে দাবী জানান, অবিলম্বে এ অন্যায় সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে এবং তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত সত্য উদঘাটন করতে হবে।
প্রতিবাদ ও বিক্ষোভে বিপুলসংখ্যক নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করেন। বক্তারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ইউনিয়নবাসীর স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হলে কঠোর গণ-আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

উল্লাপাড়া পঞ্চক্রোশী ইউনিয়ন পরিষদ স্থানান্তরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ

আপডেট সময় : ০২:১৯:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার পঞ্চক্রোশী ইউনিয়ন পরিষদ ভবন অন্যত্র স্থানান্তরের সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদে শনিবার দিনব্যাপী উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ইউনিয়নের সর্বস্তরের মানুষ এই সিদ্ধান্তকে অন্যায় ও এলাকাবাসীর স্বার্থবিরোধী আখ্যা দিয়ে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে।
গত শনিবার সকালে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় প্রাঙ্গণে এক বিশাল প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রবীণ শিক্ষাবিদ আলহাজ্ব সিরাজুল ইসলাম মাষ্টার।
সভায় বক্তারা বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জনাব হাসান আরিফ তার প্রভাব খাটিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান কার্যালয়টি তার নিজ এলাকায় সরিয়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্র করছেন। এই সিদ্ধান্ত জনগণের মতামত উপেক্ষা করে একপাক্ষিকভাবে নেওয়া হয়েছে।
বক্তারা জানান, ইউনিয়ন পরিষদ ভবন আধুনিকায়নের জন্য ইতিমধ্যেই একটি সরকারি তদন্ত কমিটি পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছিল। অথচ সচিব হাসান আরিফ সম্প্রতি প্রকাশ্যে ঘোষণা দেন, “পঞ্চক্রোশী ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স আমার এলাকায় স্থাপন করব”। এই মন্তব্যে ইউনিয়নবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও ক্ষেপণা ছড়িয়ে পড়ে।
প্রতিবাদ সভা শেষে এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি ইউনিয়নের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। বিক্ষুব্ধ জনতা স্লোগান দিতে থাকে
“আমাদের ইউনিয়ন অফিস অন্যত্র নেবার ষড়যন্ত্র বন্ধ করো!”
“জনগণের অধিকার হরণ করা চলবে না!”
সভায় এবং মিছিলে বক্তব্য রাখেন , হায়দার আলী, ছরিয়ার হোসেন ,আজমুল হাসান দুলাল, আলহাস উদ্দিন,জাহাঙ্গীর হোসেন তাজমুল, নূরগঞ্জ গ্রামের আঃ মমিন,রামকান্তপুর গ্রামের আঃ আলীম সরকার,দমদমা গ্রামের আঃ সালাম মন্ডল,সদাই গ্রামের ডাঃ সালেক প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ইউনিয়নবাসীর সম্মিলিত মতের তোয়াক্কা না করে একটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার প্রচেষ্টা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। প্রয়োজনে আরো বৃহত্তর আন্দোলনের ঘোষণা দেওয়া হবে।
পুরো কর্মসূচি সঞ্চালনা করেন আব্দুস ছালাম।
বিক্ষুব্ধ জনতা সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলের কাছে দাবী জানান, অবিলম্বে এ অন্যায় সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে এবং তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত সত্য উদঘাটন করতে হবে।
প্রতিবাদ ও বিক্ষোভে বিপুলসংখ্যক নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করেন। বক্তারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ইউনিয়নবাসীর স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হলে কঠোর গণ-আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।