ঢাকা ০৫:২৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo জাকসুতে ৪০ ঘণ্টার নাটকীয়তা Logo কাশিয়ানীতে যুবকের মরদেহ উদ্ধার Logo মহেশখালীতে হত্যা চেষ্টা ও ডাকাতির প্রস্তুতি মামলার ৭ আসামি গ্রেপ্তার Logo ইসলামপুরে মিথ্যাচার ও ন্যায় বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন Logo সালথা প্রেসক্লাবের দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে সভাপতি নাহিদ সাধারণ সম্পাদক সাইফুল Logo কালীগঞ্জে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বিএনপির মতবিনিময় সভা Logo রুপগঞ্জে নৌকাডুবিতে নিখোঁজ দুই কিশোরের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড Logo বাগেরহাটে বিআরটিসি গাড়ির অবৈধ কাউন্টার ও মহাসড়কে ইজিবাইক, মাহেন্দ্র, নসিমন, করিমন বন্ধের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন Logo জামালপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত Logo বাংলাদেশ ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বড়াইগ্রাম শাখা অফিস শুভ উদ্বোধন

এনজিওর আড়ালে মানব পাচার, জাল মৃত্যু সনদ তৈরি!

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ২৬৬ বার পড়া হয়েছে

পুলিশ হেফাজতে মিল্টন সমাদ্দার

দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

তার মিল্টন সমাদ্দার। বয়স ৪০ ছাড়িয়েছে। চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার আশ্রমের তিনি চেয়ারম্যান। ভুয়া মৃত্যু সনদ তৈরিসহ নানা গুরুতর অভিযোগে ঢাকার মিরপুর মডেল থানায় কমপক্ষে ৩টি মামলা হয়েছে। যার একটি মামলা মানবপাচার!

চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার আশ্রম খুলে মানুষের বেশ বাহবা কুড়িয়েছিলেন মিল্টন সমাদ্দার। কিন্তু মানবসেবার মোড়কে তার ঘৃণ্য কাজ চাপা থাকেনি। এখনেই শেষ নয়, অবৈধভাবে আটকে রেখে ভয়ভীতি দেখানো ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগও মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

ধানমন্ডির এলাকার বাসিন্দা এম রাকিব মিল্টনের বিরুদ্ধে মানবপাচারের অভিযোগ এনে মামলা ঠুকে দিয়েছেন। আর ভুয়া মৃত্যু সনদ তৈরির অভিযোগে মামলাটি করেছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) মিরপুর জোনাল টিমের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. কামাল পাশা। ১ ও ২ মে মামলা তিনটি দায়ের করা হয়।

মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুন্সী ছাব্বীর আহম্মদ বৃহস্পতিবার (২ মে) সংবাদমাধ্যমকে এসব তথ্য জানিয়ে বলেন, দুটি মামলায় আসামি শুধু মিল্টন সমাদ্দার। অপরটি মিল্টনের পাশাপাশি চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ারের ম্যানেজার কিশোর বালা। অপর একটি মামলায় ৪-৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি। কিশোর বালা পলাতক।

বুধবার রাতে ঢাকার মিরপুর থেকে মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ঐ রাতেই গোয়েন্দা সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলন ডেকে মিল্টনের বিরুদ্ধে ওঠা বিভিন্ন অভিযোগ সবিস্তারে জানান ডিএমপির গোয়েন্দা প্রধান হারুন-অর-রশীদ।

এম রাকিব মামলার অভিযোগে বলেন, ২০২০ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ধানমন্ডি বয়েজ স্কুলের সামনে দুই বছরের একটি শিশুকে পড়ে থাকতে দেখে শেরে বাংলা নগর থানাকে জানান, কিন্তু থানা পুলিশ কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ারে ফোন করলে মিল্টন সমাদ্দার শিশুকে সেখান থেকে নিয়ে যান।

রাকিব অভিভাবক হয়ে মিল্টন সমাদ্দারকে ১০ হাজার টাকা দেন এবং শিশুটিকে চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ারে ভর্তি করান। বাদীর অভিযোগ, ২০২১ সালের যেকোনও সময় শিশুটিকে পাচার করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

এনজিওর আড়ালে মানব পাচার, জাল মৃত্যু সনদ তৈরি!

আপডেট সময় :

 

তার মিল্টন সমাদ্দার। বয়স ৪০ ছাড়িয়েছে। চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার আশ্রমের তিনি চেয়ারম্যান। ভুয়া মৃত্যু সনদ তৈরিসহ নানা গুরুতর অভিযোগে ঢাকার মিরপুর মডেল থানায় কমপক্ষে ৩টি মামলা হয়েছে। যার একটি মামলা মানবপাচার!

চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার আশ্রম খুলে মানুষের বেশ বাহবা কুড়িয়েছিলেন মিল্টন সমাদ্দার। কিন্তু মানবসেবার মোড়কে তার ঘৃণ্য কাজ চাপা থাকেনি। এখনেই শেষ নয়, অবৈধভাবে আটকে রেখে ভয়ভীতি দেখানো ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগও মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

ধানমন্ডির এলাকার বাসিন্দা এম রাকিব মিল্টনের বিরুদ্ধে মানবপাচারের অভিযোগ এনে মামলা ঠুকে দিয়েছেন। আর ভুয়া মৃত্যু সনদ তৈরির অভিযোগে মামলাটি করেছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) মিরপুর জোনাল টিমের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. কামাল পাশা। ১ ও ২ মে মামলা তিনটি দায়ের করা হয়।

মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুন্সী ছাব্বীর আহম্মদ বৃহস্পতিবার (২ মে) সংবাদমাধ্যমকে এসব তথ্য জানিয়ে বলেন, দুটি মামলায় আসামি শুধু মিল্টন সমাদ্দার। অপরটি মিল্টনের পাশাপাশি চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ারের ম্যানেজার কিশোর বালা। অপর একটি মামলায় ৪-৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি। কিশোর বালা পলাতক।

বুধবার রাতে ঢাকার মিরপুর থেকে মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ঐ রাতেই গোয়েন্দা সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলন ডেকে মিল্টনের বিরুদ্ধে ওঠা বিভিন্ন অভিযোগ সবিস্তারে জানান ডিএমপির গোয়েন্দা প্রধান হারুন-অর-রশীদ।

এম রাকিব মামলার অভিযোগে বলেন, ২০২০ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ধানমন্ডি বয়েজ স্কুলের সামনে দুই বছরের একটি শিশুকে পড়ে থাকতে দেখে শেরে বাংলা নগর থানাকে জানান, কিন্তু থানা পুলিশ কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ারে ফোন করলে মিল্টন সমাদ্দার শিশুকে সেখান থেকে নিয়ে যান।

রাকিব অভিভাবক হয়ে মিল্টন সমাদ্দারকে ১০ হাজার টাকা দেন এবং শিশুটিকে চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ারে ভর্তি করান। বাদীর অভিযোগ, ২০২১ সালের যেকোনও সময় শিশুটিকে পাচার করা হয়েছে।