এনজিওর আড়ালে মানব পাচার, জাল মৃত্যু সনদ তৈরি!
- আপডেট সময় : ১০:২৫:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪ ১৪৫ বার পড়া হয়েছে
তার মিল্টন সমাদ্দার। বয়স ৪০ ছাড়িয়েছে। চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার আশ্রমের তিনি চেয়ারম্যান। ভুয়া মৃত্যু সনদ তৈরিসহ নানা গুরুতর অভিযোগে ঢাকার মিরপুর মডেল থানায় কমপক্ষে ৩টি মামলা হয়েছে। যার একটি মামলা মানবপাচার!
চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার আশ্রম খুলে মানুষের বেশ বাহবা কুড়িয়েছিলেন মিল্টন সমাদ্দার। কিন্তু মানবসেবার মোড়কে তার ঘৃণ্য কাজ চাপা থাকেনি। এখনেই শেষ নয়, অবৈধভাবে আটকে রেখে ভয়ভীতি দেখানো ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগও মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
ধানমন্ডির এলাকার বাসিন্দা এম রাকিব মিল্টনের বিরুদ্ধে মানবপাচারের অভিযোগ এনে মামলা ঠুকে দিয়েছেন। আর ভুয়া মৃত্যু সনদ তৈরির অভিযোগে মামলাটি করেছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) মিরপুর জোনাল টিমের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. কামাল পাশা। ১ ও ২ মে মামলা তিনটি দায়ের করা হয়।
মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুন্সী ছাব্বীর আহম্মদ বৃহস্পতিবার (২ মে) সংবাদমাধ্যমকে এসব তথ্য জানিয়ে বলেন, দুটি মামলায় আসামি শুধু মিল্টন সমাদ্দার। অপরটি মিল্টনের পাশাপাশি চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ারের ম্যানেজার কিশোর বালা। অপর একটি মামলায় ৪-৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি। কিশোর বালা পলাতক।
বুধবার রাতে ঢাকার মিরপুর থেকে মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ঐ রাতেই গোয়েন্দা সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলন ডেকে মিল্টনের বিরুদ্ধে ওঠা বিভিন্ন অভিযোগ সবিস্তারে জানান ডিএমপির গোয়েন্দা প্রধান হারুন-অর-রশীদ।
এম রাকিব মামলার অভিযোগে বলেন, ২০২০ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ধানমন্ডি বয়েজ স্কুলের সামনে দুই বছরের একটি শিশুকে পড়ে থাকতে দেখে শেরে বাংলা নগর থানাকে জানান, কিন্তু থানা পুলিশ কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ারে ফোন করলে মিল্টন সমাদ্দার শিশুকে সেখান থেকে নিয়ে যান।
রাকিব অভিভাবক হয়ে মিল্টন সমাদ্দারকে ১০ হাজার টাকা দেন এবং শিশুটিকে চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ারে ভর্তি করান। বাদীর অভিযোগ, ২০২১ সালের যেকোনও সময় শিশুটিকে পাচার করা হয়েছে।