ঢাকা ১০:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫

এমপি আজিম খুন : গোয়েন্দাদের কাছে কিলারের লোমহর্ষক বর্ণানা!

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৯:১৩:০৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মে ২০২৪ ৩৮৯ বার পড়া হয়েছে

সেলিম

দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

বাংলাদেশ থেকে ভারতে গিয়ে খুনের শিকার হন এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার। গোয়েন্দাদের কাছে হত্যা এবং দেহ গুমের লোমহর্ষক বর্ণণা দিয়েছে খুনিরা। কিলিং মিশনের প্রধান আমানুল্লাহ গ্রেপ্তারের পর বাংলাদেশের গোয়েন্দাদের কাছে পুরো ঘটনার বর্ণণা দেন। আমানুল্লাহর ভাষ্যমতে, আখতারুজ্জামানের সঙ্গে ৫ কোটি টাকার চুক্তিতে এমপি আজিম খুনের দায়িত্ব নেয় এই খুনি।

এরপর আমানুল্লাহই ভাড়া করেন মোস্তাফিজুর রহমান ফকির ও ফয়সাল আলীকে। দুজনের বাড়িই খুলনার ফুলতলায়। এই দুই জিহাদ ও সিয়াম নামের অপর দুইজনকে ভাড়া করে। সিয়ামের দায়িত্ব ছিল লাশ গুম করা। আর আজীমকে ফ্ল্যাটে আনতে ব্যবহার করা হয়, শিলাস্তি নামের এক লাস্যময়ী তরুণীকে। শিলাস্তি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের হেফাজতে।

তার গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলের নাগরপুরে। বাবা থাকেন পুরনো ঢাকায়। শিলাস্তি একাই উত্তরায় একটি ফ্ল্যাট ভাড়া করে থাকতেন। সেখানে শাহীনসহ অনেকেরই যাতায়াত ছিল। শিলাস্তি গোয়েন্দা পুলিশকে জানিয়েছে, খুনের সময় সে ভবনের নিচ তলার একটি ফ্ল্যাটে ছিলেন। দোতলার ফ্ল্যাটে খুন হয়েছে। খুনিরা আগেই সেখানে অবস্থান করছিল। শিলাস্তি জানিয়েছে, আজীম ফ্ল্যাটে ঢোকা মাত্রই খুনিরা তার উপর আক্রমণ করে।


যে ফ্ল্যাটে আজীমকে হত্যা করা হয়, সেখানে ৩০ এপ্রিল শাহীনের সঙ্গে উঠেছিলেন আমানুল্লাহ ও শিলাস্তি। ঘটনার ছক কষে ১০ মে বাংলাদেশে ফেরেন আখতারুজ্জামান । অন্যরা ফ্ল্যাটে থেকে যান। খুনের পর ১৫ মে শিলাস্তি ও আমানুল্লাহ আকাশপথে ঢাকায় ফেরেন। ১৭ মে ঢাকায় আসেন মোস্তাফিজুর ও পরদিন ফেরেন ফয়সাল। জিহাদের অবস্থান এখনো শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ।

জবের নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে কলকাতা সিআইডি। সেই-ই জিহাদ কিনা তা সনাক্তর প্রক্রিয়া চলছে। কলকাতা সিআইডি বাংলাদেশের গোয়েন্দাদের জানিয়েছে, খুনিরা যে ট্যাক্সিতে ব্যাগ নিয়ে উঠেছিল সেই ট্যাক্সি চালককে তারা আটক করেছে। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ব্যাগ উঠানোর কথা জানিয়েছে। ব্যাগগুলো ফেলে দেওয়ার ব্যাপারে আলোচনা তিনি শুনেছেন বলে সিআইডিকে জানায়।

আখতারুজ্জামান যুক্তরাষ্ট্রে চলে গেছেন। জানা গিয়েছে, এমপি আজীম ও আক্তারুজ্জামান শাহীনের বিরুদ্ধে স্বর্ণ চোরাচালান ও হুন্ডিসহ আন্তর্দেশীয় বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসার তথ্য রয়েছে। কিলিং মিশনের প্রধানের ভাষ্যমতে, ১২ মে সাংসদ কলকাতায় যাওয়ার পর কৌশলে শিলাস্তিকে দিয়ে ভাড়া করা ফ্ল্যাটে নেওয়া হয়। ১৩ মে সেখানে আনোয়ারুলকে হত্যার পর লাশ কয়েক টুকরা করে ব্যাগে ভরে সরানো হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

এমপি আজিম খুন : গোয়েন্দাদের কাছে কিলারের লোমহর্ষক বর্ণানা!

আপডেট সময় : ০৯:১৩:০৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মে ২০২৪

 

বাংলাদেশ থেকে ভারতে গিয়ে খুনের শিকার হন এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার। গোয়েন্দাদের কাছে হত্যা এবং দেহ গুমের লোমহর্ষক বর্ণণা দিয়েছে খুনিরা। কিলিং মিশনের প্রধান আমানুল্লাহ গ্রেপ্তারের পর বাংলাদেশের গোয়েন্দাদের কাছে পুরো ঘটনার বর্ণণা দেন। আমানুল্লাহর ভাষ্যমতে, আখতারুজ্জামানের সঙ্গে ৫ কোটি টাকার চুক্তিতে এমপি আজিম খুনের দায়িত্ব নেয় এই খুনি।

এরপর আমানুল্লাহই ভাড়া করেন মোস্তাফিজুর রহমান ফকির ও ফয়সাল আলীকে। দুজনের বাড়িই খুলনার ফুলতলায়। এই দুই জিহাদ ও সিয়াম নামের অপর দুইজনকে ভাড়া করে। সিয়ামের দায়িত্ব ছিল লাশ গুম করা। আর আজীমকে ফ্ল্যাটে আনতে ব্যবহার করা হয়, শিলাস্তি নামের এক লাস্যময়ী তরুণীকে। শিলাস্তি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের হেফাজতে।

তার গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলের নাগরপুরে। বাবা থাকেন পুরনো ঢাকায়। শিলাস্তি একাই উত্তরায় একটি ফ্ল্যাট ভাড়া করে থাকতেন। সেখানে শাহীনসহ অনেকেরই যাতায়াত ছিল। শিলাস্তি গোয়েন্দা পুলিশকে জানিয়েছে, খুনের সময় সে ভবনের নিচ তলার একটি ফ্ল্যাটে ছিলেন। দোতলার ফ্ল্যাটে খুন হয়েছে। খুনিরা আগেই সেখানে অবস্থান করছিল। শিলাস্তি জানিয়েছে, আজীম ফ্ল্যাটে ঢোকা মাত্রই খুনিরা তার উপর আক্রমণ করে।


যে ফ্ল্যাটে আজীমকে হত্যা করা হয়, সেখানে ৩০ এপ্রিল শাহীনের সঙ্গে উঠেছিলেন আমানুল্লাহ ও শিলাস্তি। ঘটনার ছক কষে ১০ মে বাংলাদেশে ফেরেন আখতারুজ্জামান । অন্যরা ফ্ল্যাটে থেকে যান। খুনের পর ১৫ মে শিলাস্তি ও আমানুল্লাহ আকাশপথে ঢাকায় ফেরেন। ১৭ মে ঢাকায় আসেন মোস্তাফিজুর ও পরদিন ফেরেন ফয়সাল। জিহাদের অবস্থান এখনো শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ।

জবের নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে কলকাতা সিআইডি। সেই-ই জিহাদ কিনা তা সনাক্তর প্রক্রিয়া চলছে। কলকাতা সিআইডি বাংলাদেশের গোয়েন্দাদের জানিয়েছে, খুনিরা যে ট্যাক্সিতে ব্যাগ নিয়ে উঠেছিল সেই ট্যাক্সি চালককে তারা আটক করেছে। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ব্যাগ উঠানোর কথা জানিয়েছে। ব্যাগগুলো ফেলে দেওয়ার ব্যাপারে আলোচনা তিনি শুনেছেন বলে সিআইডিকে জানায়।

আখতারুজ্জামান যুক্তরাষ্ট্রে চলে গেছেন। জানা গিয়েছে, এমপি আজীম ও আক্তারুজ্জামান শাহীনের বিরুদ্ধে স্বর্ণ চোরাচালান ও হুন্ডিসহ আন্তর্দেশীয় বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসার তথ্য রয়েছে। কিলিং মিশনের প্রধানের ভাষ্যমতে, ১২ মে সাংসদ কলকাতায় যাওয়ার পর কৌশলে শিলাস্তিকে দিয়ে ভাড়া করা ফ্ল্যাটে নেওয়া হয়। ১৩ মে সেখানে আনোয়ারুলকে হত্যার পর লাশ কয়েক টুকরা করে ব্যাগে ভরে সরানো হয়।