কওমী মাদরাসায় শিক্ষার নামে শিশু ওসমানের প্রতি নিষ্ঠুর পাশবিকতা
- আপডেট সময় : ২০ বার পড়া হয়েছে
পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলার ধাওয়া ইউনিয়নের দারুল উলুম হাফিজিয়া কওমী মাদ্রাসার নাজেরা শাখার ছাত্র ওসমান মল্লিকের পায়ে শিকল বেঁধে পাঠদান করা হচ্ছে। শিশু ওসমানের কাছে শিক্ষাগ্রহন করা আনন্দের বিষয় নয়, চরম পাশবিকতার স্মৃতি। শিশু ওসমানের পায়ে শিকল স্মরন করিয়ে দেয় ফ্যাসিজমের স্মৃতি। ওসমান কোন শিক্ষার্থী নয়, যেনো কুখ্যাত কোন আসামী।
কওমী মাদ্রাসার নাজেরা শাখার আবাসিক ছাত্র ছয় বছরের শিশু ওসমান মল্লিক। ইতোপূর্বে শিক্ষা নামক নিরানন্দ অমানবিক পরিবেশ থেকে রক্ষা পেতে দুইবার মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে বাড়ি গিয়েছিল। এমন অভিযোগে শিশুটির পায়ে শিকল দিয়ে তালাবদ্ধ করে জবরদস্তি শিক্ষা দিচ্ছে। শিকলে তালাবদ্ধ করার কারনে শিশুটির পায়ে অসহনীয় ব্যথা হয় কিন্তু তাতে কোনো পাষন্ডের মন গলে না। সে স্বাভাবিক চলাফেরা করতে পারে না।
যখন অন্য শিশুরা দৌড়াদৌড়ি করে তখন ওসমান থাকে শিকল বন্দী। এ নিয়ে অবুঝ সহপাঠীরাও তামাশা করে। তবুও একজন শিশুর সাথে আদর, স্নেহ, মমতা, তার কি সমস্যা, সমস্যা সমাধানের উপায় কি? তা কোন রকম বিবেচনা না করে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ শিশু ওসমান মল্লিকের পায়ে শিকলে বেঁধে এভাবেই জবরদস্তি জ্ঞান গলদ করন করাচ্ছেন।
আধুনিক বিশ্বায়নে অধিকাংশ কওমি মাদরাসা শিক্ষা পদ্ধতি, শিক্ষকদের পাশবিক মানসিকতা, শিক্ষার্থীদের প্রতি শারীরিক, মানসিক নির্যাতনসহ আরো অনেক অভিযোগ রয়েছে।
শিশু ওসমানের প্রতি নির্মমতার সংবাদ পেয়ে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পান। পরে ভাণ্ডারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেহেনা আক্তারকে অবহিত করলে তিনি ধাওয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক ও পুলিশকে ঘটনাস্থলে পাঠানোর পর শিশু ওসমান মল্লিক পায়ের শিকল মুক্ত হয়।
শিশু ওসমান শিকলমূক্ত হলো। কওমি মাদরাসায় পাঠদানের এই পাশবিকা কি বন্ধ হবে? দেশকে সামনে এগিয়ে নিতে হলে কওমি মাদরাসাগুলোকে আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্হার আওতায় আনতে হবে।



















