কমলাপুরে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত, দায় কার?
- আপডেট সময় : ০৩:২২:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪ ৬৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশ রেলওয়ের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। দেশের প্রধান স্টেশন ঢাকার কমলাপুরে ট্রেন লাইনচ্যুত হবার ৮ ঘন্টাও সচল করা যায়নি ট্রেন চলাচল। রেলওয়ের ব্যবস্থাপনা কতটা নাজুক তা চোখে আঙ্গল দিয়ে দেখিয়ে দিলো পঞ্চগড় এক্সপ্রেসের লাইনচ্যুতির ঘটনা।
কমলাপুর স্টেশন থেকে ট্রেন বেরুনো এবং প্রবেশের দুটো লাইন রয়েছে। এর মধ্যে বেরুনোর লাইনটি ভাঙ্গা ছিলো। যে কারণে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস টেনটি লাইনচ্যুত হয়।
ট্রেন ছেড়ে যাওয়া লাইনটি ভাঙ্গা পাওয়া গেলো, অথচ এর তদারকির সঙ্গে যুক্ত কারো কোন বক্তব্য পাওয়া ািয়নি। যারা তদারকির দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদেও গাফিলতির কারণেই এমন ঘটনা বলে জানায় রেলওয়ে।
রেলভবন বলছে, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ কমলাপুর স্টেশন এলাকায় পঞ্চগড় এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হয়। ফলে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে উদ্ধার কাজ শেষ হলে সাড়ে ৯টার দিকে ট্রেন চলাচল শুরু করে।
কিন্তু ৮ ঘন্টার সিডিউল বিপর্যয় কাটাতে কতটা সময় লাগতে পাওে, তার নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই। কর্তৃপক্ষের বয়ান হচ্ছে, সিডিউল বিপর্যয়ের কারণে ট্রেন ছাড়তে দেরি হচ্ছে। সিডিউল বিপর্যয়ের কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।
রেলওয়ে জানায়, কমলাপুর থেকে ছাড়ার কিছুক্ষণ পর আউটার ইউলুপে পঞ্চগড় এক্সপ্রেসের পাঁচটি বগি লাইনচ্যুত হয়। ফলে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ট্রেনটি ধীর গতিতে থাকায় কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। প্রায় ৮ ঘণ্টা পর ট্রেনটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
কমলাপুর স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে থাকা একাধিক আঁকাবাঁকা লাইন দুটো প্রধান লাইনে গিয়ে মিলেছে। এটি দিয়ে ট্রেন স্টেশন ছাড়ে, আরেকটি দিয়ে স্টেশনে প্রবেশ করে।
ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়ের কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। বিশেষ করে ঢাকা থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়ার জন্য কমলাপুর স্টেশনে ভিড় দেখা গেছে। কয়েকজন জানান, ট্রেন ছাড়তে দেরি হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন তারা। তবে রেলওয়ে থেকে তাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে, ট্রেন দ্রুত ছেড়ে যাবে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের ঢাকা বিভাগীয় রেল ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) আরিফ মহিউদ্দিন বলেন, ঢাকা থেকে পঞ্চগড়গামী পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ছিল দিনের শেষ ট্রেন। সেটি লাইনচ্যুত হওয়া স্থান পরিষ্কার করার পর এখন ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।