ঢাকা ০২:৫৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫

কর্মচাঞ্চল্য ফিরেছে চট্টগ্রাম বন্দরে

গণমুক্তি রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ১০:৪৬:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫ ১২ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

এনবিআরে কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি প্রত্যাহারের পর চট্টগ্রাম কাস্টমসে পুরোদমে কর্মচাঞ্চল্য শুরু হয়েছে। বন্দরেও পুরোদমে চলছে কনটেইনার অপারেশন। আগের শুল্কায়ন হওয়া আমদানি পণ্য খালাসের পাশাপাশি জাহাজীকরণ চলছে রপ্তানি পণ্যবাহী কনটেইনারের। গত রোববার সন্ধ্যায় শাটডাউন কর্মসূচি প্রত্যাহারের পরপরই কাস্টমসের কাজ শুরু করেন কর্মকর্তারা। এতে বিল অব এন্ট্রি, বিল অব এক্সপোর্ট এবং শুল্কায়ন শুরু হয় কাস্টমসে। এতে বেসরকারি অফডকগুলোতে সৃষ্ট অচলাবস্থা দূর হয়।
স্বাভাবিক সময়ে আমদানি ও রপ্তানিপণ্য মিলে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৭ হাজার বিল অব এন্ট্রি ও বিল অব এক্সপোর্ট দাখিল হয় চট্টগ্রাম কাস্টমসে। চট্টগ্রাম কাস্টমস এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের কাস্টমস বিষয়ক সম্পাদক এএসএম রেজাউল করিম স্বপন বলেন, কর্মকর্তাদে শার্টডাউন কর্মসূচির কারণে রোববার সকাল থেকে কোনো ফাইলের কাজ হয়নি। কোনো শুল্কায়ন হয়নি। সন্ধ্যায় সিরিয়ালে ফাইলগুলোর কাজ শুরু করলেও আগের ফাইলও রয়ে যায়। যে কারণে গতকাল সোমবার কাস্টমস খুললেও জমে থাকা ফাইলগুলোর শুল্কায়ন বিলম্বিত হচ্ছে। তবে কাস্টমস কর্মকর্তারা একটু বাড়তি কাজ করলে কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়ে আসবে।
বেসরকারি কনটেইনার ডিপো মালিকদের সংগঠন বিকডার মহাসচিব মোহাম্মদ রুহুল আমিন সিকদার বলেন, রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে কাস্টমস কর্মকর্তারা ডিপোগুলোতে কাজ শুরু করেছেন। বন্দরের যে তিনটি গেইট দিয়ে ডিপোগুলোতে কনটেইনার আনা-নেওয়া হয় সেগুলোতে কাস্টমস কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করছেন। বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, এনবিআরে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচির মধ্যেও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সেবা বন্ধ ছিল না। বন্দরের ভেতরে আনস্টাফিং, গেইটে যাচাই কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন পয়েন্টে কাস্টমস কর্মকর্তারা উপস্থিত না থাকায় কনটেইনার ডেলিভারি প্রায় বন্ধ ছিল। ডিপোগুলোতে কাস্টমস কর্মকর্তারা উপস্থিত না থাকায় রফতানি কনটেইনারও বন্দরে পৌঁছাতে পারেনি। এনবিআর কর্মকর্তাদের কর্মসূচি প্রত্যাহারের পর তারা কাজে যোগ দিয়েছেন। সোমবার সকাল থেকে পুরোদমে বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পণ্য খালাস, জাহাজীকরণ শুরু হয়েছে। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

কর্মচাঞ্চল্য ফিরেছে চট্টগ্রাম বন্দরে

আপডেট সময় : ১০:৪৬:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫

এনবিআরে কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি প্রত্যাহারের পর চট্টগ্রাম কাস্টমসে পুরোদমে কর্মচাঞ্চল্য শুরু হয়েছে। বন্দরেও পুরোদমে চলছে কনটেইনার অপারেশন। আগের শুল্কায়ন হওয়া আমদানি পণ্য খালাসের পাশাপাশি জাহাজীকরণ চলছে রপ্তানি পণ্যবাহী কনটেইনারের। গত রোববার সন্ধ্যায় শাটডাউন কর্মসূচি প্রত্যাহারের পরপরই কাস্টমসের কাজ শুরু করেন কর্মকর্তারা। এতে বিল অব এন্ট্রি, বিল অব এক্সপোর্ট এবং শুল্কায়ন শুরু হয় কাস্টমসে। এতে বেসরকারি অফডকগুলোতে সৃষ্ট অচলাবস্থা দূর হয়।
স্বাভাবিক সময়ে আমদানি ও রপ্তানিপণ্য মিলে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৭ হাজার বিল অব এন্ট্রি ও বিল অব এক্সপোর্ট দাখিল হয় চট্টগ্রাম কাস্টমসে। চট্টগ্রাম কাস্টমস এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের কাস্টমস বিষয়ক সম্পাদক এএসএম রেজাউল করিম স্বপন বলেন, কর্মকর্তাদে শার্টডাউন কর্মসূচির কারণে রোববার সকাল থেকে কোনো ফাইলের কাজ হয়নি। কোনো শুল্কায়ন হয়নি। সন্ধ্যায় সিরিয়ালে ফাইলগুলোর কাজ শুরু করলেও আগের ফাইলও রয়ে যায়। যে কারণে গতকাল সোমবার কাস্টমস খুললেও জমে থাকা ফাইলগুলোর শুল্কায়ন বিলম্বিত হচ্ছে। তবে কাস্টমস কর্মকর্তারা একটু বাড়তি কাজ করলে কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়ে আসবে।
বেসরকারি কনটেইনার ডিপো মালিকদের সংগঠন বিকডার মহাসচিব মোহাম্মদ রুহুল আমিন সিকদার বলেন, রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে কাস্টমস কর্মকর্তারা ডিপোগুলোতে কাজ শুরু করেছেন। বন্দরের যে তিনটি গেইট দিয়ে ডিপোগুলোতে কনটেইনার আনা-নেওয়া হয় সেগুলোতে কাস্টমস কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করছেন। বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, এনবিআরে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচির মধ্যেও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সেবা বন্ধ ছিল না। বন্দরের ভেতরে আনস্টাফিং, গেইটে যাচাই কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন পয়েন্টে কাস্টমস কর্মকর্তারা উপস্থিত না থাকায় কনটেইনার ডেলিভারি প্রায় বন্ধ ছিল। ডিপোগুলোতে কাস্টমস কর্মকর্তারা উপস্থিত না থাকায় রফতানি কনটেইনারও বন্দরে পৌঁছাতে পারেনি। এনবিআর কর্মকর্তাদের কর্মসূচি প্রত্যাহারের পর তারা কাজে যোগ দিয়েছেন। সোমবার সকাল থেকে পুরোদমে বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পণ্য খালাস, জাহাজীকরণ শুরু হয়েছে। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে।