ঢাকা ০৪:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo নরসিংদীতে দেশ টিভির সাংবাদিকের উপর দূর্বৃত্তদের হামলা Logo “মাধবপুর থানা কর্তৃক ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন ও আসামী গ্রেফতার” Logo সুন্দরবন রক্ষায় পিরোজপুরে শিক্ষণ ও অভিজ্ঞতা বিনিময় সভা Logo ওয়াইফাই লাইন টানতে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট কাশিয়ানীতে যুবকের মৃত্যু  Logo হবিগঞ্জে সমন্বয়ক মাহাদী সহ চারজনের উপর সন্ত্রাসী হামলা Logo ঝিনাইদহে বজ্রপাতে মৃত দুই কৃষক পরিবারকে তারেক রহমানের মানবিক সহায়তা প্রদান Logo ডামুড্যায় জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo শেরপুরের ঝিনাইগাতী থানা পুলিশ কর্তৃক ১৩৮৬ বোতল ভারতীয় মদ উদ্ধার Logo কুড়িগ্রামে বাড়ির পাশের ভুট্রাক্ষেত থেকে কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার Logo তিতাসে ৯ ইউনিয়নে বিএনপির কাউন্সিল সম্পন্ন করে আংশিক কমিটি প্রকাশ নেতাকর্মীদের মাঝে আনন্দ উৎস 

কালকিনিতে ট্রিপল মার্ডারের প্রধান আসামি ইউপি চেয়ারম্যান ও তার ভাই গ্রেফতার

আক্তার হোসেন, কালকিনি(মাদারীপুর) প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১২:২৪:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫ ৮২ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

মাদারীপুরের কালকিনিতে বহুল আলোচিত ট্রিপল মার্ডারের ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি ইউপি চেয়ারম্যান ও তার ভাইকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। রোববার দুপুর ৪টার দিকে মাদারীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, কালকিনি উপজেলার বাঁশগাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমন ও তার ভাই রাজন মাহমুদ। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কালকিনি উপজেলার বাঁশগাড়ি ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমনের সাথে একই ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আকতার শিকদারের বিরোধ চলে আসছিল। এরই জেরে গত ২৭ ডিসেম্বর ভোরে ইউপি সদস্য আতকার শিকদার, তার ছেলে মারুফ শিকদার ও সিরাজ চৌকিদার নামে তিনজনকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ ওঠে ইউপি চেয়ারম্যান ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় আহত হয় বেশ কয়েকজন। ঘটনার তিনদিন পর ৩০ ডিসেম্বর নিহত আকতার শিকদারের বাবা মতিউর রহমান বাদী হয়ে ৬৫ জনের নামে হত্যা মামলা করেন এবং নিহত সিরাজের বাবা রশিদ চৌকিদার ৩৪ জনের নামে আরেকটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। দুটি মামলা কালকিনি থানায় রেকর্ড করা হয়। এতে প্রধান আসামি করা হয় বাঁশগাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমন ও তার ভাই মশিউর রহমান রাজনকে।

মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম মুফোঠোনে জানান, কালকিনিতে ট্রিপল মার্ডার মামলার প্রধান আসামি ইউপি চেয়ারম্যান ও তার ভাইকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। কোন কোন মামলায় তারা জামিনে রয়েছে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়াও ঘটনাস্থল থেকে আরো দু’জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কোন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ না থাকায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

কালকিনিতে ট্রিপল মার্ডারের প্রধান আসামি ইউপি চেয়ারম্যান ও তার ভাই গ্রেফতার

আপডেট সময় : ১২:২৪:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫

 

মাদারীপুরের কালকিনিতে বহুল আলোচিত ট্রিপল মার্ডারের ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি ইউপি চেয়ারম্যান ও তার ভাইকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। রোববার দুপুর ৪টার দিকে মাদারীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, কালকিনি উপজেলার বাঁশগাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমন ও তার ভাই রাজন মাহমুদ। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কালকিনি উপজেলার বাঁশগাড়ি ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমনের সাথে একই ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আকতার শিকদারের বিরোধ চলে আসছিল। এরই জেরে গত ২৭ ডিসেম্বর ভোরে ইউপি সদস্য আতকার শিকদার, তার ছেলে মারুফ শিকদার ও সিরাজ চৌকিদার নামে তিনজনকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ ওঠে ইউপি চেয়ারম্যান ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় আহত হয় বেশ কয়েকজন। ঘটনার তিনদিন পর ৩০ ডিসেম্বর নিহত আকতার শিকদারের বাবা মতিউর রহমান বাদী হয়ে ৬৫ জনের নামে হত্যা মামলা করেন এবং নিহত সিরাজের বাবা রশিদ চৌকিদার ৩৪ জনের নামে আরেকটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। দুটি মামলা কালকিনি থানায় রেকর্ড করা হয়। এতে প্রধান আসামি করা হয় বাঁশগাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমন ও তার ভাই মশিউর রহমান রাজনকে।

মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম মুফোঠোনে জানান, কালকিনিতে ট্রিপল মার্ডার মামলার প্রধান আসামি ইউপি চেয়ারম্যান ও তার ভাইকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। কোন কোন মামলায় তারা জামিনে রয়েছে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়াও ঘটনাস্থল থেকে আরো দু’জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কোন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ না থাকায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।