ঢাকা ০৬:৩৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

কালিগঞ্জে জামাত নেতার বিরুদ্ধে সরকারি জমি দখল ও গাছ কাটার অভিযোগ

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ৭৯ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ঝিনাইদহের কালিগঞ্জে সরকারি ভিপি জমি দখল ও গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় জামাত নেতা সিরাজুল ইসলাম ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত জামাত নেতা সিরাজুল ইসলাম ও তার ভাই রেজাউল ইসলাম একই উপজেলার নিয়ামতপুর ইউনিয়নের নগর চাপরাইল গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে। এ ঘটনায় গত ১লা জুলাই কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও কালিগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তার মেয়ে খাদিজা খাতুন।
ভুক্তভোগীর পরিবার বলেন, উপজেলার চাপরাইল মৌজার ২৫২ দাগের ১৭ শতক জমির মধ্যে রেজাউল ও সিরাজুল ইসলামের কাছে ১০ শতক জমি বিক্রয় করা হয়। অবশিষ্ট ৭ শতক সরকারি খাসজমি দীর্ঘদিন ধরে ইটের প্রাচীর ঘেরা এবং গাছ লাগানো অবস্থায় মতিয়ার রহমান দখল সূত্রে বসবাস করে আসছিল।
চলতি বছরের মার্চের শেষ সপ্তাহে সিরাজুল ইসলাম প্রভাবশালীদের সহযোগীতায় ওই জমিতে প্রবেশ করে ১১ টি মেহগনি ও আম গাছ কেটে নেয়। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। চলতি বছরের ১ জুলাই মাসে সিরাজুল আবারও জোরপূর্বক প্রাচীর ভেঙে জমি দখল করে এবং রাতের আঁধারে গাছ রোপন করে।
এ ব্যাপারে জামাত নেতা সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমি মতিয়ার রহমানের মায়ের কাছ থেকে ১০ শতক জমি ক্রয় করি। কিন্তু ভিপি জমিসহ ১৭ শতক দখল করে গাছ লাগিয়েছি। গাছ কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
নিয়ামতপুর ইউনিয়নের উপ-সহকারী কর্মকর্তা খোকন বিশ্বাস বলেন, বিষয়টি আমি অবগত নয়। এমনটি ঘটে থাকলে তদন্ত সাপেক্ষে বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানাব।
এ বিষয়ে কালিগঞ্জ উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) শাহিন আলম বলেন, বিষয়টি আমি অবগত নয়। এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করব।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

কালিগঞ্জে জামাত নেতার বিরুদ্ধে সরকারি জমি দখল ও গাছ কাটার অভিযোগ

আপডেট সময় :

ঝিনাইদহের কালিগঞ্জে সরকারি ভিপি জমি দখল ও গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় জামাত নেতা সিরাজুল ইসলাম ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত জামাত নেতা সিরাজুল ইসলাম ও তার ভাই রেজাউল ইসলাম একই উপজেলার নিয়ামতপুর ইউনিয়নের নগর চাপরাইল গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে। এ ঘটনায় গত ১লা জুলাই কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও কালিগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তার মেয়ে খাদিজা খাতুন।
ভুক্তভোগীর পরিবার বলেন, উপজেলার চাপরাইল মৌজার ২৫২ দাগের ১৭ শতক জমির মধ্যে রেজাউল ও সিরাজুল ইসলামের কাছে ১০ শতক জমি বিক্রয় করা হয়। অবশিষ্ট ৭ শতক সরকারি খাসজমি দীর্ঘদিন ধরে ইটের প্রাচীর ঘেরা এবং গাছ লাগানো অবস্থায় মতিয়ার রহমান দখল সূত্রে বসবাস করে আসছিল।
চলতি বছরের মার্চের শেষ সপ্তাহে সিরাজুল ইসলাম প্রভাবশালীদের সহযোগীতায় ওই জমিতে প্রবেশ করে ১১ টি মেহগনি ও আম গাছ কেটে নেয়। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। চলতি বছরের ১ জুলাই মাসে সিরাজুল আবারও জোরপূর্বক প্রাচীর ভেঙে জমি দখল করে এবং রাতের আঁধারে গাছ রোপন করে।
এ ব্যাপারে জামাত নেতা সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমি মতিয়ার রহমানের মায়ের কাছ থেকে ১০ শতক জমি ক্রয় করি। কিন্তু ভিপি জমিসহ ১৭ শতক দখল করে গাছ লাগিয়েছি। গাছ কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
নিয়ামতপুর ইউনিয়নের উপ-সহকারী কর্মকর্তা খোকন বিশ্বাস বলেন, বিষয়টি আমি অবগত নয়। এমনটি ঘটে থাকলে তদন্ত সাপেক্ষে বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানাব।
এ বিষয়ে কালিগঞ্জ উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) শাহিন আলম বলেন, বিষয়টি আমি অবগত নয়। এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করব।