ঢাকা ০২:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo `জুলাই চেতনায় ঐক্যবদ্ধ সাংবাদিক সমাজের অঙ্গীকার’ Logo ডামুড্যায় গরীব ও অসহায়দের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ Logo বিশ্বনাথে আলোকিত সুর সাংস্কৃতিক ফোরাম অভিষেক ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা Logo বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের এমডিসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে ঝিনাইদহে মামলা Logo সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্ম শিক্ষক নিয়োগের দাবীতে ঝিনাইদহে মানববন্ধন Logo ঝিনাইদহে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বিএনপির মতবিনিময় সভা Logo ভালো সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে অরবিন্দ শিশু হাসপাতাল ভূমিকা রাখছে Logo বন্ধু একাদশ হাকিমপুরকে হারিয়ে মুন্সিপাড়া ওয়ারিয়ার্স দিনাজপুর চ্যাম্পিয়ান Logo জয়পুরহাটে স্ত্রীকে হত্যার পর আত্মহত্যার চেষ্টা স্বামীর Logo ব্যস্ত সময় পার করছে প্রতিমা শিল্পীরা

কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট চক্রের মাস্টারমাইন্ড বাংলাদেশি, দিল্লি পুলিশের বিবৃতি

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ৩৭৬ বার পড়া হয়েছে

এ পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ছবি: এএনআই

দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

বাংলাদেশ ও ভারতে অবৈধ কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট চক্রের মাস্টারমাইন্ড বাংলাদেশি বলে জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ। কিডনি দাতা এবং গ্রহীতারাও বাংলাদেশি নাগরিক বলে দাবি দিল্লি পুলিশের।

দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চের ডেপুটি কমিশনার অমিত গোয়েল মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সংবাদ বিবৃতিতে বলেন, কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট চক্রের মাস্টারমাইন্ড বাংলাদেশি।

অবৈধ কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দিল্লির ইন্দ্রপ্রস্থ অ্যাপোলো হাসপাতালের চিকিৎসক বিজয়া কুমারীসহ (৫০) এ পর্যন্ত ৭জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

https://x.com/ANI/status/1810524530848289279

দিল্লি পুলিশ জানায়, এই চক্রের সঙ্গে জড়িত ছিলেন ডাক্তার বিজয়া কুমারী। ২০২১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে তিনি নয়ডার একটি হাসপাতালে ১৫ থেকে ১৬টি কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট করেন।

ক্রাইম ব্রাঞ্চের ডেপুটি কমিশনার গোয়েল বলেন, আমরা রাসেল নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছি যিনি রোগী ও দাতার ব্যবস্থা করতেন। কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্টের সঙ্গে জড়িত এক নারী চিকিৎসককেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

প্রতি ট্রান্সপ্ল্যান্টের জন্য চক্রটি ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা নিতো বলে জানান তিনি।

গোয়েলের দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, এই চক্রের সবারই বাংলাদেশের সঙ্গে কোনো না কোনো যোগাযোগ আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গ্রেপ্তার চিকিৎসকের সঙ্গে ২-৩টি হাসপাতালের যোগসূত্র রয়েছে। কিডনি দাতা ও গ্রহীতার মধ্যে আত্মীয়তার সম্পর্ক না থাকলেও, তিনি ট্রান্সপ্ল্যান্টের ব্যবস্থা করে দিতেন।

পুলিশ এখন সংঘবদ্ধ এই চক্রের বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে। তদন্ত চলাকালীন সময় বিজয়া কুমারীর সহযোগী বিক্রমকেও গ্রেপ্তার করা হয়।

জব্দ নথি থেকে জানা গেছে, জাসোলা গ্রামে একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া নিয়েছিলেন রাসেল। এই ভাড়া করা অ্যাপার্টমেন্টে একসঙ্গে পাঁচ-ছয়জন কিডনিদাতাকে রাখা হয়েছিল। ট্রান্সপ্ল্যান্টের আগেই তাদের সব ধরনের প্রয়োজনীয় মেডিকেল পরীক্ষা করানো হয়। এই অ্যাপার্টমেন্টেই গ্রহীতাদের সঙ্গে দাতাদের সাক্ষাতের ব্যবস্থা করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট চক্রের মাস্টারমাইন্ড বাংলাদেশি, দিল্লি পুলিশের বিবৃতি

আপডেট সময় :

 

বাংলাদেশ ও ভারতে অবৈধ কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট চক্রের মাস্টারমাইন্ড বাংলাদেশি বলে জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ। কিডনি দাতা এবং গ্রহীতারাও বাংলাদেশি নাগরিক বলে দাবি দিল্লি পুলিশের।

দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চের ডেপুটি কমিশনার অমিত গোয়েল মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সংবাদ বিবৃতিতে বলেন, কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট চক্রের মাস্টারমাইন্ড বাংলাদেশি।

অবৈধ কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দিল্লির ইন্দ্রপ্রস্থ অ্যাপোলো হাসপাতালের চিকিৎসক বিজয়া কুমারীসহ (৫০) এ পর্যন্ত ৭জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

https://x.com/ANI/status/1810524530848289279

দিল্লি পুলিশ জানায়, এই চক্রের সঙ্গে জড়িত ছিলেন ডাক্তার বিজয়া কুমারী। ২০২১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে তিনি নয়ডার একটি হাসপাতালে ১৫ থেকে ১৬টি কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট করেন।

ক্রাইম ব্রাঞ্চের ডেপুটি কমিশনার গোয়েল বলেন, আমরা রাসেল নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছি যিনি রোগী ও দাতার ব্যবস্থা করতেন। কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্টের সঙ্গে জড়িত এক নারী চিকিৎসককেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

প্রতি ট্রান্সপ্ল্যান্টের জন্য চক্রটি ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা নিতো বলে জানান তিনি।

গোয়েলের দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, এই চক্রের সবারই বাংলাদেশের সঙ্গে কোনো না কোনো যোগাযোগ আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গ্রেপ্তার চিকিৎসকের সঙ্গে ২-৩টি হাসপাতালের যোগসূত্র রয়েছে। কিডনি দাতা ও গ্রহীতার মধ্যে আত্মীয়তার সম্পর্ক না থাকলেও, তিনি ট্রান্সপ্ল্যান্টের ব্যবস্থা করে দিতেন।

পুলিশ এখন সংঘবদ্ধ এই চক্রের বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে। তদন্ত চলাকালীন সময় বিজয়া কুমারীর সহযোগী বিক্রমকেও গ্রেপ্তার করা হয়।

জব্দ নথি থেকে জানা গেছে, জাসোলা গ্রামে একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া নিয়েছিলেন রাসেল। এই ভাড়া করা অ্যাপার্টমেন্টে একসঙ্গে পাঁচ-ছয়জন কিডনিদাতাকে রাখা হয়েছিল। ট্রান্সপ্ল্যান্টের আগেই তাদের সব ধরনের প্রয়োজনীয় মেডিকেল পরীক্ষা করানো হয়। এই অ্যাপার্টমেন্টেই গ্রহীতাদের সঙ্গে দাতাদের সাক্ষাতের ব্যবস্থা করা হয়।