ঢাকা ০৫:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo জয়পুরহাটে স্ত্রীকে হত্যার পর আত্মহত্যার চেষ্টা স্বামীর Logo ব্যস্ত সময় পার করছে প্রতিমা শিল্পীরা Logo ডাকসু হল সংসদে মাগুরার জয়জয়কার: ছয় কৃতি মুখে গর্বিত জনপদ Logo ইসলামপুরে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত Logo জামালপুরে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে স্মরণসভা Logo ঘাটাইলে স্বাধীন বাংলা মিনি ফুটবল টুর্নামেন্ট ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত Logo গৌরীপুরে ৩১ দফা বাস্তবায়ন ও দলকে নির্বাচন মুখী করতে বিএনপির আলোচনা সভা Logo গোলাপগঞ্জে শিশু ধর্ষনের মিথ্যা মামলার অভিযোগে মানববন্ধন Logo ভেদরগঞ্জে জমি বিক্রির বায়না নিয়ে প্রতারণায় পাল্টা পাল্টি অভিযোগ Logo খুনিদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন

কিশোরগঞ্জ যুবদল নেতাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কমিটির পদ থেকে পদত্যাগের নির্দেশ

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ২ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না বলেছেন, যুবদলের অনেক নেতাকে দেখেছি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হয়েছেন। দ্রুত এই গুলো থেকে পদত্যাগ করেন। যুবদলের রাজনীতি করতে হলে এই গুলোতে থাকা যাবে না।
গতকাল শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টায় বিএনপি’র ৩১ দফা আগামীর স্বনির্ভর ও আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে যুবদলের ভূমিকা শীর্ষক কর্মশালায় কিশোরগঞ্জ জেলা যুবদল আয়োজিত আলোচনা সভায় জেলা শিল্পকলা অডিটরিয়মে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
যুবদল নেতাদের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, থানার ওসি, ইউএনও, ডিসি ও এসপিকে ফুল দেওয়া আপনাদের কাজ না। সুসম্পর্ক থাকলে বাইরে দেখা হলে কথা বলতে পারেন। ফুল দিবেন কেন? আমার তো এইটা কাজ না। স্কুলে গিয়ে মাতব্বরি করা বন্ধ করেন। সমাজের সিনিয়রদের দায়িত্ব এইটা, আমার আপনার দায়িত্ব না। যদি কেউ এমন থেকে থাকেন তাহলে পদত্যাগ করুন। আর কারও কাছে এমন তথ্য থাকলে প্রমাণসহ আমাকে জানাবেন। আমি প্রশাসন বিদ্বেষী না। আমার কাজ তাদের অভিনন্দন জানানো না, আমার কাজ জনগণের পাশে থাকা। জনগণের সাথে মিশতে হবে।
মুন্না বলেন, বাংলাদেশে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন গবেষণা হয় না। কথায় কথায় আমরা যে আওয়ামী লীগকে দোষ দেয়, কেন দেয়? প্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয়কে নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। পৃথিবীর প্রত্যেকটি দামী দামী বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা হয়। প্রত্যেকটি বিষয় নিয়ে তারা গবেষনা করেন। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে তাদের তাবেদার ভিসি নিয়োগের মাধ্যমে কম যোগ্যতা সম্পন্ন শিক্ষকদের ভিসি পদে পদায়ন করে প্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয়কে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগরা নষ্ট করে দিয়ে গেছে। ৩১ দফায় বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সেখান থেকে বের হওয়ার বিষয়টিও তুলে ধরেছেন।
গ্রামকে নষ্ট করে দেওয়ার প্ল্যান ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ একটি শ্লোগান দিয়েছিল প্রত্যেকটি গ্রাম শহর হবে। তারা শহরকে ধ্বংস করেছে গ্রামকে ধ্বংস করার প্ল্যান ছিল। অপরিকল্পিত ভাবে গ্রামে ৪-৫ তলা ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। কৃষকদের সম্পত্তিকে দখল করে গাজীপুর এলাকা ধ্বংস করে দিয়েছে রিসোর্ট করে। অথচ ভারতে কৃষকদের সম্পত্তি কৃষকরা ছাড়া অন্য কেউ কিনতে পারে না। এটাকে নিশ্চিত করতে হবে। এদেশে পরিকল্পিত ভাবে বিকল্প চাষাবাদ চালু করে চাল উৎপাদন কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আর এ কারণে বিদেশ থেকে চাল আমদানি করতে হবে। এভাবে বাংলাদেশের মানুষকে গত ১৬ বছর ভারতের তাবেদার, দালাল বানিয়ে রেখেছে। রাজনীতি নিয়ে পড়াশোনা করুন। পড়াশোন করে জানুন। রাজনীতি করলে জানতে হবে। না জানলে মানুষের সাথে কথা বলবেন কি করে। শুধু স্লোগান দিলে চলবে না।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

কিশোরগঞ্জ যুবদল নেতাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কমিটির পদ থেকে পদত্যাগের নির্দেশ

আপডেট সময় :

যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না বলেছেন, যুবদলের অনেক নেতাকে দেখেছি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হয়েছেন। দ্রুত এই গুলো থেকে পদত্যাগ করেন। যুবদলের রাজনীতি করতে হলে এই গুলোতে থাকা যাবে না।
গতকাল শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টায় বিএনপি’র ৩১ দফা আগামীর স্বনির্ভর ও আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে যুবদলের ভূমিকা শীর্ষক কর্মশালায় কিশোরগঞ্জ জেলা যুবদল আয়োজিত আলোচনা সভায় জেলা শিল্পকলা অডিটরিয়মে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
যুবদল নেতাদের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, থানার ওসি, ইউএনও, ডিসি ও এসপিকে ফুল দেওয়া আপনাদের কাজ না। সুসম্পর্ক থাকলে বাইরে দেখা হলে কথা বলতে পারেন। ফুল দিবেন কেন? আমার তো এইটা কাজ না। স্কুলে গিয়ে মাতব্বরি করা বন্ধ করেন। সমাজের সিনিয়রদের দায়িত্ব এইটা, আমার আপনার দায়িত্ব না। যদি কেউ এমন থেকে থাকেন তাহলে পদত্যাগ করুন। আর কারও কাছে এমন তথ্য থাকলে প্রমাণসহ আমাকে জানাবেন। আমি প্রশাসন বিদ্বেষী না। আমার কাজ তাদের অভিনন্দন জানানো না, আমার কাজ জনগণের পাশে থাকা। জনগণের সাথে মিশতে হবে।
মুন্না বলেন, বাংলাদেশে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন গবেষণা হয় না। কথায় কথায় আমরা যে আওয়ামী লীগকে দোষ দেয়, কেন দেয়? প্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয়কে নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। পৃথিবীর প্রত্যেকটি দামী দামী বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা হয়। প্রত্যেকটি বিষয় নিয়ে তারা গবেষনা করেন। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে তাদের তাবেদার ভিসি নিয়োগের মাধ্যমে কম যোগ্যতা সম্পন্ন শিক্ষকদের ভিসি পদে পদায়ন করে প্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয়কে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগরা নষ্ট করে দিয়ে গেছে। ৩১ দফায় বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সেখান থেকে বের হওয়ার বিষয়টিও তুলে ধরেছেন।
গ্রামকে নষ্ট করে দেওয়ার প্ল্যান ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ একটি শ্লোগান দিয়েছিল প্রত্যেকটি গ্রাম শহর হবে। তারা শহরকে ধ্বংস করেছে গ্রামকে ধ্বংস করার প্ল্যান ছিল। অপরিকল্পিত ভাবে গ্রামে ৪-৫ তলা ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। কৃষকদের সম্পত্তিকে দখল করে গাজীপুর এলাকা ধ্বংস করে দিয়েছে রিসোর্ট করে। অথচ ভারতে কৃষকদের সম্পত্তি কৃষকরা ছাড়া অন্য কেউ কিনতে পারে না। এটাকে নিশ্চিত করতে হবে। এদেশে পরিকল্পিত ভাবে বিকল্প চাষাবাদ চালু করে চাল উৎপাদন কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আর এ কারণে বিদেশ থেকে চাল আমদানি করতে হবে। এভাবে বাংলাদেশের মানুষকে গত ১৬ বছর ভারতের তাবেদার, দালাল বানিয়ে রেখেছে। রাজনীতি নিয়ে পড়াশোনা করুন। পড়াশোন করে জানুন। রাজনীতি করলে জানতে হবে। না জানলে মানুষের সাথে কথা বলবেন কি করে। শুধু স্লোগান দিলে চলবে না।