ঢাকা ১২:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo `জুলাই চেতনায় ঐক্যবদ্ধ সাংবাদিক সমাজের অঙ্গীকার’ Logo ডামুড্যায় গরীব ও অসহায়দের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ Logo বিশ্বনাথে আলোকিত সুর সাংস্কৃতিক ফোরাম অভিষেক ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা Logo বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের এমডিসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে ঝিনাইদহে মামলা Logo সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্ম শিক্ষক নিয়োগের দাবীতে ঝিনাইদহে মানববন্ধন Logo ঝিনাইদহে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বিএনপির মতবিনিময় সভা Logo ভালো সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে অরবিন্দ শিশু হাসপাতাল ভূমিকা রাখছে Logo বন্ধু একাদশ হাকিমপুরকে হারিয়ে মুন্সিপাড়া ওয়ারিয়ার্স দিনাজপুর চ্যাম্পিয়ান Logo জয়পুরহাটে স্ত্রীকে হত্যার পর আত্মহত্যার চেষ্টা স্বামীর Logo ব্যস্ত সময় পার করছে প্রতিমা শিল্পীরা

কুড়িগ্রামের যমুনা ব্যাপারী পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জরাজীর্ণ ভবনে পাঠদান, আতঙ্কে শিক্ষাথীরা

শ্যামল ভৌমিক, কুড়িগ্রাম
  • আপডেট সময় : ৪৬ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জেলার উলিপুর উপজেলার অবস্থিত যমুনা ব্যাপারী পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি জরাজীর্ণ অবস্থায় কোমলমতি শিক্ষাথীরা লেখাপড়া করছেন।পুরাতন ও জরাজীর্ণ ভবনে পলেস্টার পড়ছেন প্রতিনিয়ত আতঙ্কে শিক্ষাথী ও শিক্ষকরা।সরেজমিন পরিদর্শন দেখা যায় শ্রেণী কক্ষের ছাউনি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে টিন ও দেয়ালের স্যাঁতস্যাঁতে দাগ।মেঁঝেতে ফাঁটল, কোথাও কোথাও জমে থাকা পানি আবার উপর থেকে পড়ছে পলেস্টার ।এছাড়াও বর্ষাকালে টিনের ফাঁক দিয়ে পানি পড়ে পাঠদান ব্যহত হয়।আর গ্রীম্ষের গরমে অসহনীয় গরমে দুর্ভোগে পড়ে কোমলমতি শিক্ষাথীরা।ভাঙ্গা ব্রেঞ্চে বসে ভিজে বই খাতায় পাঠদান এযেন দেখার কেউ নেই।
উক্ত বিদ্যালয়ে বর্তমানে ২৫০ জন শিক্ষার্থী অধ্যায়নরত রয়েছে। এর মধ্যে শিশু প্রতিদিন ২ শত থেকে ২ শত ২০ শিক্ষাথী উপস্থিত হোন।
অএ বিদ্যালয়ে ৬ জন নারী শিক্ষক ও একজন পুরুষ শিক্ষক প্রতিনিয়ত পাঠদান করে চলছেন।
উক্ত বিদ্যালয়ের অভিভাবক আশরাফুল ইসলাম বলেন দীর্ঘ দিনেও একটা স্থায়ী ভবন না হওয়ায় এটাও দুঃখজনক ঘটনা। আমরা অভিভাবক মহল খুবই এ বিষয়ে উদ্বিগ্ন ও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছি এই পাঠদানের মাধ্যমে। শিশুদের ভবিষ্যৎ কথা ভেবে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন উপজেলা অন্যান্য স্কুলে নতুন ভবন নির্মাণ হলেও যমুনা ব্যাপারী পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় দিকে কোন নজর নেই কতৃপক্ষের। এই বিদ্যালয়টি শিক্ষা -দীক্ষায় উপজেলার অন্যতম প্রতিষ্ঠান।
এবিষয়ে দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন যমুনা ব্যাপারী পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি কেবল একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়,এটি জ্ঞানের ভান্ডার।
অএ অঞ্চলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মূল ভিত্তি যা দীর্ঘদিন যাবত অত্র আঞ্চলে আলো ছড়াচ্ছেন। অত্র প্রতিষ্ঠানে ভবন না থাকায় শিক্ষাথীদের পাঠদানে নানা দুর্ভোগ সহ বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের যা চরম অবলার প্রতিচ্ছবি। বর্তমান সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি অবিলম্বে অত্র প্রতিষ্ঠান নতুন ভবন নির্মাণ করে শিক্ষার্থীদের পাঠদান সচল রাখার।
এবিষয়ে অএ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ভারপ্রাপ্ত মন্জু আরা বেগম জানান আমাদের প্রতিষ্ঠানের সফলতা পরিস্কার -পরিচ্ছন্নতা, উপস্থিতি বৃদ্ধি, শতভাগ ইউনিফর্ম, সঠিক সময়ে আগমন ও প্রস্থান ,অভিভাবক ও এলাকাবাসীর সাথে সুসম্পর্ক বজায়, নিয়মিত সমাবেশ,হোমভিজিটের মাধ্যমে উপস্থিতি বৃদ্ধি,নিয়মিত মা সমাবেশ, দক্ষতার সাথে পাঠদান,পাঠদানের পাশাপাশি এক্সট্রা কারিকুলামে অংশগ্রহণ করা। এ ব্যপারে উলিপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার নার্গিস ফাতিমা তোকদার জানান ১ শত ৪৫ টি বিদ্যালয়ের ভবনের নামের মধ্যে যমুনা ব্যাপারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পাঠানো হয়েছে। শীঘ্রই নুতুন ভবন পাওয়া যাবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

কুড়িগ্রামের যমুনা ব্যাপারী পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জরাজীর্ণ ভবনে পাঠদান, আতঙ্কে শিক্ষাথীরা

আপডেট সময় :

জেলার উলিপুর উপজেলার অবস্থিত যমুনা ব্যাপারী পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি জরাজীর্ণ অবস্থায় কোমলমতি শিক্ষাথীরা লেখাপড়া করছেন।পুরাতন ও জরাজীর্ণ ভবনে পলেস্টার পড়ছেন প্রতিনিয়ত আতঙ্কে শিক্ষাথী ও শিক্ষকরা।সরেজমিন পরিদর্শন দেখা যায় শ্রেণী কক্ষের ছাউনি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে টিন ও দেয়ালের স্যাঁতস্যাঁতে দাগ।মেঁঝেতে ফাঁটল, কোথাও কোথাও জমে থাকা পানি আবার উপর থেকে পড়ছে পলেস্টার ।এছাড়াও বর্ষাকালে টিনের ফাঁক দিয়ে পানি পড়ে পাঠদান ব্যহত হয়।আর গ্রীম্ষের গরমে অসহনীয় গরমে দুর্ভোগে পড়ে কোমলমতি শিক্ষাথীরা।ভাঙ্গা ব্রেঞ্চে বসে ভিজে বই খাতায় পাঠদান এযেন দেখার কেউ নেই।
উক্ত বিদ্যালয়ে বর্তমানে ২৫০ জন শিক্ষার্থী অধ্যায়নরত রয়েছে। এর মধ্যে শিশু প্রতিদিন ২ শত থেকে ২ শত ২০ শিক্ষাথী উপস্থিত হোন।
অএ বিদ্যালয়ে ৬ জন নারী শিক্ষক ও একজন পুরুষ শিক্ষক প্রতিনিয়ত পাঠদান করে চলছেন।
উক্ত বিদ্যালয়ের অভিভাবক আশরাফুল ইসলাম বলেন দীর্ঘ দিনেও একটা স্থায়ী ভবন না হওয়ায় এটাও দুঃখজনক ঘটনা। আমরা অভিভাবক মহল খুবই এ বিষয়ে উদ্বিগ্ন ও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছি এই পাঠদানের মাধ্যমে। শিশুদের ভবিষ্যৎ কথা ভেবে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন উপজেলা অন্যান্য স্কুলে নতুন ভবন নির্মাণ হলেও যমুনা ব্যাপারী পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় দিকে কোন নজর নেই কতৃপক্ষের। এই বিদ্যালয়টি শিক্ষা -দীক্ষায় উপজেলার অন্যতম প্রতিষ্ঠান।
এবিষয়ে দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন যমুনা ব্যাপারী পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি কেবল একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়,এটি জ্ঞানের ভান্ডার।
অএ অঞ্চলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মূল ভিত্তি যা দীর্ঘদিন যাবত অত্র আঞ্চলে আলো ছড়াচ্ছেন। অত্র প্রতিষ্ঠানে ভবন না থাকায় শিক্ষাথীদের পাঠদানে নানা দুর্ভোগ সহ বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের যা চরম অবলার প্রতিচ্ছবি। বর্তমান সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি অবিলম্বে অত্র প্রতিষ্ঠান নতুন ভবন নির্মাণ করে শিক্ষার্থীদের পাঠদান সচল রাখার।
এবিষয়ে অএ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ভারপ্রাপ্ত মন্জু আরা বেগম জানান আমাদের প্রতিষ্ঠানের সফলতা পরিস্কার -পরিচ্ছন্নতা, উপস্থিতি বৃদ্ধি, শতভাগ ইউনিফর্ম, সঠিক সময়ে আগমন ও প্রস্থান ,অভিভাবক ও এলাকাবাসীর সাথে সুসম্পর্ক বজায়, নিয়মিত সমাবেশ,হোমভিজিটের মাধ্যমে উপস্থিতি বৃদ্ধি,নিয়মিত মা সমাবেশ, দক্ষতার সাথে পাঠদান,পাঠদানের পাশাপাশি এক্সট্রা কারিকুলামে অংশগ্রহণ করা। এ ব্যপারে উলিপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার নার্গিস ফাতিমা তোকদার জানান ১ শত ৪৫ টি বিদ্যালয়ের ভবনের নামের মধ্যে যমুনা ব্যাপারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পাঠানো হয়েছে। শীঘ্রই নুতুন ভবন পাওয়া যাবে।