ঢাকা ১১:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ১৫ বছরে অন্যায় কাজের জন্য পুলিশ দুঃখিত ও লজ্জিত: আইজিপি Logo রাজশাহীতে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৩ জনের Logo সমমনা দলের সঙ্গে বিএনপি মহাসচিবের বৈঠক Logo জাতীয় ইমাম পরিষদের পৌর শাখার সভাপতি আশরাফুল-সেক্রেটারি কাদির Logo শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে ভারতীয় মদ সহ গ্রেফতার-১ Logo আওয়ামী স্বৈরশাসনের সময় দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হয়েছে :  ড্যাব মহাসচিব Logo বিনিয়োগকারী নয়, পুঁজিবাজারে অস্থিরতার নেপথ্যে প্লেয়ার ও রেগুলেটররা : অর্থ উপদেষ্টা Logo ঢাকায় বসে কোনো পরিকল্পনা করবে না: ফাওজুল কবির Logo মেঘনায় অবৈধ বালু উত্তোলন, বাল্কহেডসহ আটক ৯ Logo বান্দরবানে মাশরুম চাষ সম্প্রসারণ ও উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে কর্মশালা

কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবণতি, ২ লাখ মানুষ পানিবন্দী

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১১:২৪:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ জুলাই ২০২৪ ২৬৭ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

কুড়িগ্রামে বণ্যা পরিস্থিতির অবণতি ঘটেছে। ধরলা-ব্রহ্মপূত্র নদী তীরবর্তী মানুষ দুর্বিসহ কষ্টে দিন যাপন করছে। বন্যা কবলিত হাজারো মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে হয়েছে। বন্যা কবলিত এলাকায় ৮৩টি মেডিকেল টিম কাজ করছে। ২৬৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের রোববার (৭ জুলাই) সকাল ৯টায় পাওয়া তথ্য মতে, ব্রহ্মপুত্র নদের চিলমারী পয়েন্টের পানি কিছুটা স্থিতিশীল থাকলেও বেড়েছে ধরলা ও দুধকুমার নদের পানি।

ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ২৬.৫৮ সেন্টিমিটার, ধরলা ২৬.৩৬ সেন্টিমিটার, দুধকুমার ৩০.১১ সেন্টিমিটার ও তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ২৯.২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

জেলার ৯টি উপজেলার দুটি পৌরসভাসহ প্রায় ৬০টি ইউনিয়নের দুই লাখ মানুষ পানিবন্দী। প্রাথমিকভাবে মানুষ যেসব উঁচু স্থানে গবাদিপশু রেখেছেন গত দুদিন ধরে সেসব স্থানে পানি ওঠায় গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তারা। জীবন বাঁচাতে অনেকে নিজস্ব নৌকা, উঁচু রাস্তা, ফ্লাড শেল্টার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও উঁচু ভূমিতে কিংবা আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন।

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে দুধকুমার নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। এতে নতুন করে আরও প্রায় ১৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের মিয়াপাড়া এলাকার পুরাতন বেড়িবাঁধটির দুটি স্থানে প্রায় ১শ মিটার এলাকা ভেঙে যায়। ফলে ভাঙা অংশ দিয়ে প্রবল স্রোতে প্রবেশ করে একের পর এক গ্রাম প্লাবিত হতে থাকে। পানি আরও বৃদ্ধি পেলে নাগেশ্বরী পৌর শহর পানিতে নিমজ্জিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বাঁধ ভাঙায় এরইমধ্যে বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের মিয়া পাড়া, মালিয়ানি, সেনপাড়া, তেলিয়ানী, পাটেশ্বরী, বোয়ালেরডারা, অন্তাইপাড়, ধনিটারী, বিধবাটারী, বড়মানী, বামনডাঙ্গা, নাগেশ্বরী পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের সাঞ্জুয়ার ভিটা, ভুষিটারী, ফকিরটারী গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিব্বির আহমেদ সংবাদমাধ্যমকে জানান, বাঁধ ভাঙার বিষয়টি আমি জেনেছি, সরেজমিন পরিদর্শন ছাড়া কিছু বলা যাচ্ছে না।

কুড়িগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. মঞ্জুর-এ-মুর্শেদ, ইউনিয়ন পর্যায়ে ৮৩টি মেডিকেল টিম বন্যা কবলিত এলাকায় কাজ করছে।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, এখন পর্যন্ত ৬ হাজার ৬৬০ হেক্টর ফসলি জমি, বীজতলা ও শাকসবজি বন্যার পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। পানি নেমে গেলে ক্ষয়ক্ষতির হিসাব পাওয়া যাবে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নবেজ উদ্দিন সরকার জানান, ২৬৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্লাবিত হওয়ায় পাঠদান বন্ধ রয়েছে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান জানান, দুধকুমার নদীর তীররক্ষা বাঁধ নির্মাণ চলমান আছে। সেগুলো বা পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভাঙার কোনো খবর তাদের কাছে নেই।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবণতি, ২ লাখ মানুষ পানিবন্দী

আপডেট সময় : ১১:২৪:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ জুলাই ২০২৪

 

কুড়িগ্রামে বণ্যা পরিস্থিতির অবণতি ঘটেছে। ধরলা-ব্রহ্মপূত্র নদী তীরবর্তী মানুষ দুর্বিসহ কষ্টে দিন যাপন করছে। বন্যা কবলিত হাজারো মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে হয়েছে। বন্যা কবলিত এলাকায় ৮৩টি মেডিকেল টিম কাজ করছে। ২৬৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের রোববার (৭ জুলাই) সকাল ৯টায় পাওয়া তথ্য মতে, ব্রহ্মপুত্র নদের চিলমারী পয়েন্টের পানি কিছুটা স্থিতিশীল থাকলেও বেড়েছে ধরলা ও দুধকুমার নদের পানি।

ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ২৬.৫৮ সেন্টিমিটার, ধরলা ২৬.৩৬ সেন্টিমিটার, দুধকুমার ৩০.১১ সেন্টিমিটার ও তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ২৯.২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

জেলার ৯টি উপজেলার দুটি পৌরসভাসহ প্রায় ৬০টি ইউনিয়নের দুই লাখ মানুষ পানিবন্দী। প্রাথমিকভাবে মানুষ যেসব উঁচু স্থানে গবাদিপশু রেখেছেন গত দুদিন ধরে সেসব স্থানে পানি ওঠায় গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তারা। জীবন বাঁচাতে অনেকে নিজস্ব নৌকা, উঁচু রাস্তা, ফ্লাড শেল্টার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও উঁচু ভূমিতে কিংবা আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন।

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে দুধকুমার নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। এতে নতুন করে আরও প্রায় ১৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের মিয়াপাড়া এলাকার পুরাতন বেড়িবাঁধটির দুটি স্থানে প্রায় ১শ মিটার এলাকা ভেঙে যায়। ফলে ভাঙা অংশ দিয়ে প্রবল স্রোতে প্রবেশ করে একের পর এক গ্রাম প্লাবিত হতে থাকে। পানি আরও বৃদ্ধি পেলে নাগেশ্বরী পৌর শহর পানিতে নিমজ্জিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বাঁধ ভাঙায় এরইমধ্যে বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের মিয়া পাড়া, মালিয়ানি, সেনপাড়া, তেলিয়ানী, পাটেশ্বরী, বোয়ালেরডারা, অন্তাইপাড়, ধনিটারী, বিধবাটারী, বড়মানী, বামনডাঙ্গা, নাগেশ্বরী পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের সাঞ্জুয়ার ভিটা, ভুষিটারী, ফকিরটারী গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিব্বির আহমেদ সংবাদমাধ্যমকে জানান, বাঁধ ভাঙার বিষয়টি আমি জেনেছি, সরেজমিন পরিদর্শন ছাড়া কিছু বলা যাচ্ছে না।

কুড়িগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. মঞ্জুর-এ-মুর্শেদ, ইউনিয়ন পর্যায়ে ৮৩টি মেডিকেল টিম বন্যা কবলিত এলাকায় কাজ করছে।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, এখন পর্যন্ত ৬ হাজার ৬৬০ হেক্টর ফসলি জমি, বীজতলা ও শাকসবজি বন্যার পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। পানি নেমে গেলে ক্ষয়ক্ষতির হিসাব পাওয়া যাবে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নবেজ উদ্দিন সরকার জানান, ২৬৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্লাবিত হওয়ায় পাঠদান বন্ধ রয়েছে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান জানান, দুধকুমার নদীর তীররক্ষা বাঁধ নির্মাণ চলমান আছে। সেগুলো বা পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভাঙার কোনো খবর তাদের কাছে নেই।