কুমিল্লায় আওয়ামী লীগ সমর্থক জুয়েল রানাকে কুপিয়ে জখম

- আপডেট সময় : ০৪:১২:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫ ৩৮ বার পড়া হয়েছে
কুমিল্লা নগরীর খেতাসার এর বাসিন্দা বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন কুমিল্লা মহানগরীর ক্রিয়া সম্পাদক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জুয়েল রানার বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কয়েক দফায় হামলা ভাঙ্চুর ও শারীরিক নির্যাতন করেছে বিএনপি নেতারা।
ব্যবসায়ী ও মানবাধিকার কর্মী জুয়েল রানা আওয়ামী লীগের রাজনীতি সমর্থন করতেন। গেল ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর পরই রাত ৮ টায় জুয়েল রানার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান উম্মে হাবিবা ইলেকট্রনিক,সেনেটারী এন্ড ভ্যারাইটিজ ষ্টোর ভাঙ্চুর করে নগদ অর্থ এবং প্রায় ৪০ লক্ষ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায় বিএনপি নেতা কর্মীরা।
মানবাধিকার কর্মী জুয়েল রানা বিএনপি নেতা কর্মীদের হুমকির মুখেও মানবতার টানে ২৮ সেপ্টেম্বর বন্যার্তদের মাঝে ত্রান বিতরণ করতে যান। সেখান থেকে ফেরার পথে কুমিল্লা নগরীর শাসনগাছায় আওয়ামী লীগ সমর্থক হওয়ার অপরাধে হামলার শিকার হোন। জুয়েল রানাকে কুপিয়ে জখম করে রাস্তা ফেলে যায়। সেখান থেকে সাধারণ জনগন উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যায়। ৩ দিন চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফেরেন জুয়েল রানা।
ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর লুটপাট এবং জুয়েল রানাকে কুপিয়ে জখম করে ক্ষ্যান্ত হয়নি হামলাকারীরা। পুলিশ দিয়েও আটক করে জুয়েল রানাকে। পুলিশের হয়রানির কারনে নিজের বাড়িতে যেতে পারেন না জুয়েল রানা। অন্যদিকে বারবার মুঠোফোনে কল করে চাঁদা দাবি করে বিএনপি নেতারা।
এরপর ১৬ ডিসেম্বর জুয়েল রানার কাছে ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে তারা। চাঁদা না দেওয়ায় ১৬ ডিসেম্বর রাতে জুয়েল রানার বসত বাড়িতে হামলা করে ভাঙচুর ও লুটপাট করে নিয়ে যায়। তাতেও রাজনৈতিক প্রতিহিংসা শেষ হয়নি গত ১৯ ফেব্রুয়ারী রাতে নিজের এলাকায় গেলে আবারো পৈশাচিক হামলা করে কুপিয়ে জখম করে রাস্তা ফেলে যায় বিএনপি নেতারা।
সেখান থেকে স্থানীয় জনতা উদ্ধার করে কুমিল্লা সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। একের পর এক হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, চাঁদা দাবির কারনে নিজের জিবন নিয়ে শন্কিত আওয়ামী লীগ সমর্থক জুয়েল রানা। আইনের আশ্রয় নিতে থানায় গেলে মামলাও নেয় না পুলিশ। বিএনপির অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে গণমাধ্যমের কাছে আসেন জুয়েল রানা। চান জিবনের নিরাপত্তা।