ঢাকা ০৮:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫

কেশবপুরে সড়কের জায়গা দখল করে প্রাচীর নির্মাণ, ভেঙ্গে দিল জনতা

কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১২১ বার পড়া হয়েছে

Oplus_0

দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসকের নির্দেশ অমান্য করে যশোরের কেশবপুর পৌরসভার বায়সা নুরপুর সড়কের জমি দখল করে পাঁচিলি নির্মাণ করায় আজ বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সকালে তা ভেঙ্গে দিয়েছে জনতা। ফ্যাসিস্ট আ.লীগের দোসর বহু অপকর্মের হোতা রবিউল ইসলাম স্থানীয় নেতার সহযোগিতায় ওই সড়কের জমি দখল করে সেখানে জোর পূর্বক পাঁচিল নির্মাণ করছিল। এখবর পেয়ে ১১ সেপ্টেম্বর পৌর প্রশাসক সড়কের ওপর পাঁচিল নির্মাণ না করতে তাকে নোটিশ দেয়। যার স্মারক নং- ৪৪৫। ওই নোটিশ পেয়েও রবিউল ইসলাম কাজ অব্যাহত রাখে। পরবর্তিতে বৃহস্পতিবার ৯ অক্টোবর সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে সহকারি কমিশনার (ভুমি) ঘটনাস্থলে গিয়ে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন। এসময় মহল্লাবাসী সড়কের ওপর নির্মাণ করা ওই অবৈধ পাঁলিচ ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়। পৌর শহরের রবিউল ইসলাম সম্প্রতি পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ও আলিয়া মাদ্রাসার পাশে জনৈক মাষ্টার আমিনুল ইসলামের নিকট থেকে প্রায় এক কোটি টাকায় ওই বাড়িটি ক্রয় করেন। এরপর ওই বাড়ির সামনে সড়কের জমি দখল করে সেখানে পাঁচিল নির্মাণ করছিল। কেশবপুর বাজারের বে-সরকারি হাসপাতালের হেলথকেয়ার সেন্টারের এ্যাম্বুলেন্স চালক রবিউল ইসলাম গত ১২ বছরে অবৈধ উপায়ে প্রায় শতকোটি টাকার মালিক হয়েছেন। ৩ বছর রবিউল ইসলাম ওই হাসপালের গাড়ি চালায়। এরই মধ্যে তার সাথে পরিচয় হয় কেশবপুরের সন্ত্রাসীদের গর্ডফাদার সাবেক পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম মোড়ল ও সাবেক সাংসদ শাহীন চাকলারের সাথে। এরপর তার আর পিছন ফিরে তাঁকাতে হয়নি। এরপর বিভিন্ন অবৈধ উপায়ে কেশবপুর সরকারি হাসপাতালের সামনে মডার্ণ ক্লিনিক স্থাপন, হাসপালের পাশে মুল্যবান জমিক্রয় করে সেখানে ৫ তলা বাড়ি নির্মাণ, কেন্দ্রীয় ঈহ গাহের পাশে ৩ তলা বাড়ি ক্রয়, ঢাকায় ফ্লাটক্রয়, প্রাইভেট, মাইক্রোবাস ক্রয়সহ বিভিন্ন স্থানে প্রায় ১০০ কোটি টাকার সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন। ফ্যাসিস্টদের দোসর মডার্ণ ক্লিনিকের মালিক রবিউল ইসলাম গত ৫ আগস্টের পর, স্থানীয় এক প্রভাবশালী নেতার ছত্র-ছায়ায় আরও রেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। গত ১২ বছর আগের দিন মজুর রবিউল ইসলামের আয়ের উৎস্যের ব্যাপারে তদন্ত দাবী করেছেন কেশবপুর বাসী।
রবিউল ইসলাম বলেন, পৌর সভা থেকে নোটিশ দেওয়ার পর পৌর কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে কাজ অব্যাহত রাখি। এরপর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) মোঃ শরীফ নেওয়াজ ঘটনাস্থলে যান। এসময় আমাকে না পেয়ে তিনি আমাকে ফোন দিয়ে কাজ বন্ধ রেখে জমি মেপে পাঁচিল নির্মাণ করতে বলেন। এরই মধ্যে স্থানীয় জনতা তার পাঁচিল ভেঙ্গে দিয়েছে। এছাড়া সৎ পথে থেকে তিনি ওইসব সম্পদ করেছেন বলে জানান।
উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) মোঃ শরীফ নেওয়াজ বলেন, জনৈক রবিউল ইসলাম সড়কের জায়গা দখল করে পাঁচিল নির্মাণ করছিলো। এব্যাপারে তাকে নোটিশ দেওয়া হয় এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কাজ বন্ধ করতে বলা হলেও তিনি তা অমান্য করে নির্মাণ কাজ অব্যাহত রাখেন। পরবর্তিতে জনতা তা ভেঙ্গে দিয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

কেশবপুরে সড়কের জায়গা দখল করে প্রাচীর নির্মাণ, ভেঙ্গে দিল জনতা

আপডেট সময় :

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসকের নির্দেশ অমান্য করে যশোরের কেশবপুর পৌরসভার বায়সা নুরপুর সড়কের জমি দখল করে পাঁচিলি নির্মাণ করায় আজ বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সকালে তা ভেঙ্গে দিয়েছে জনতা। ফ্যাসিস্ট আ.লীগের দোসর বহু অপকর্মের হোতা রবিউল ইসলাম স্থানীয় নেতার সহযোগিতায় ওই সড়কের জমি দখল করে সেখানে জোর পূর্বক পাঁচিল নির্মাণ করছিল। এখবর পেয়ে ১১ সেপ্টেম্বর পৌর প্রশাসক সড়কের ওপর পাঁচিল নির্মাণ না করতে তাকে নোটিশ দেয়। যার স্মারক নং- ৪৪৫। ওই নোটিশ পেয়েও রবিউল ইসলাম কাজ অব্যাহত রাখে। পরবর্তিতে বৃহস্পতিবার ৯ অক্টোবর সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে সহকারি কমিশনার (ভুমি) ঘটনাস্থলে গিয়ে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন। এসময় মহল্লাবাসী সড়কের ওপর নির্মাণ করা ওই অবৈধ পাঁলিচ ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়। পৌর শহরের রবিউল ইসলাম সম্প্রতি পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ও আলিয়া মাদ্রাসার পাশে জনৈক মাষ্টার আমিনুল ইসলামের নিকট থেকে প্রায় এক কোটি টাকায় ওই বাড়িটি ক্রয় করেন। এরপর ওই বাড়ির সামনে সড়কের জমি দখল করে সেখানে পাঁচিল নির্মাণ করছিল। কেশবপুর বাজারের বে-সরকারি হাসপাতালের হেলথকেয়ার সেন্টারের এ্যাম্বুলেন্স চালক রবিউল ইসলাম গত ১২ বছরে অবৈধ উপায়ে প্রায় শতকোটি টাকার মালিক হয়েছেন। ৩ বছর রবিউল ইসলাম ওই হাসপালের গাড়ি চালায়। এরই মধ্যে তার সাথে পরিচয় হয় কেশবপুরের সন্ত্রাসীদের গর্ডফাদার সাবেক পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম মোড়ল ও সাবেক সাংসদ শাহীন চাকলারের সাথে। এরপর তার আর পিছন ফিরে তাঁকাতে হয়নি। এরপর বিভিন্ন অবৈধ উপায়ে কেশবপুর সরকারি হাসপাতালের সামনে মডার্ণ ক্লিনিক স্থাপন, হাসপালের পাশে মুল্যবান জমিক্রয় করে সেখানে ৫ তলা বাড়ি নির্মাণ, কেন্দ্রীয় ঈহ গাহের পাশে ৩ তলা বাড়ি ক্রয়, ঢাকায় ফ্লাটক্রয়, প্রাইভেট, মাইক্রোবাস ক্রয়সহ বিভিন্ন স্থানে প্রায় ১০০ কোটি টাকার সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন। ফ্যাসিস্টদের দোসর মডার্ণ ক্লিনিকের মালিক রবিউল ইসলাম গত ৫ আগস্টের পর, স্থানীয় এক প্রভাবশালী নেতার ছত্র-ছায়ায় আরও রেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। গত ১২ বছর আগের দিন মজুর রবিউল ইসলামের আয়ের উৎস্যের ব্যাপারে তদন্ত দাবী করেছেন কেশবপুর বাসী।
রবিউল ইসলাম বলেন, পৌর সভা থেকে নোটিশ দেওয়ার পর পৌর কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে কাজ অব্যাহত রাখি। এরপর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) মোঃ শরীফ নেওয়াজ ঘটনাস্থলে যান। এসময় আমাকে না পেয়ে তিনি আমাকে ফোন দিয়ে কাজ বন্ধ রেখে জমি মেপে পাঁচিল নির্মাণ করতে বলেন। এরই মধ্যে স্থানীয় জনতা তার পাঁচিল ভেঙ্গে দিয়েছে। এছাড়া সৎ পথে থেকে তিনি ওইসব সম্পদ করেছেন বলে জানান।
উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) মোঃ শরীফ নেওয়াজ বলেন, জনৈক রবিউল ইসলাম সড়কের জায়গা দখল করে পাঁচিল নির্মাণ করছিলো। এব্যাপারে তাকে নোটিশ দেওয়া হয় এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কাজ বন্ধ করতে বলা হলেও তিনি তা অমান্য করে নির্মাণ কাজ অব্যাহত রাখেন। পরবর্তিতে জনতা তা ভেঙ্গে দিয়েছেন।