কে হতে যাচ্ছে আগামী নির্বাচনে ফেনী-১ আসনের জাতীয়তাবাদী দলের প্রার্থী

- আপডেট সময় : ০৪:২৫:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫ ১৯ বার পড়া হয়েছে
আসন্ন ফেব্রুয়ারীর জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত জাতীয় সংসদের ২৬৭ নং আসন ফেনী-১ (ছাগলনাইয়া, ফুলগাজী ও পরশুরাম) আসনে দলটির সম্ভাব্য প্রার্থী কে হচ্ছেন বিএনপি নামীয় দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নাকি অন্য কেউ, তা নিয়ে চলছে ব্যাপক নানা জল্পনা-কল্পনায় ঘুরপাক খাচ্ছেন তৃণমূল হতে দেশের তথা ফেনীর রাজনৈতিক বিএনপি দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে ।
ফ্যাসীবাদী আগ্রাসনের আওয়ামীলীগের গত ১৭ বছরের দুঃশাসনের নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে অনেক আগেই এই আসনে নিজেদের প্রার্থী ঘোষণা করেছে জামায়াতে ইসলামী। পাশাপাশি দলীয় ও বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে এখন পর্যন্ত প্রচারে এগিয়ে রয়েছে দলটি।
দলীয় অবস্থান জানান দেওয়ার চেষ্টা করছে খেলাফত মজলিস ও ইসলামী আন্দোলনও। তবে এখানে কোনো কমিটি নেই তরুণদের নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপির।
এবারের পবিত্র ঈদুল আজহাকে ঘিরে ভোটারদের মন জয় করতে নানা কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত সময় পার করেছেন বিএনপি-জামায়াতসহ সম্ভাব্য সব প্রার্থী। ফলে অনেকটা সরগরম ছিল পুরো নির্বাচনি এলাকা।
দীর্ঘদিনের ভোটারবিহীন নির্বাচনের বাইরে এসে এবারের নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়ে উঠবে বলে স্থানীয় সাধারণ মানুষ ও ভোটারদের ধারণা। নির্বাচনি আবহাওয়ায় উদযাপিত হয়েছে গেল পবিত্র ঈদুল আজহা।
বিএনপি বরাবরই শক্তিশালী, এবার জামায়াতও আশাবাদীবিএনপি বরাবরই শক্তিশালী, এবার জামায়াতও আশাবাদী নির্বাচনে অংশ নিতে ইচ্ছুক বিএনপি, জামায়াতসহ বিভিন্ন দলের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা ঈদ উদযাপনকে নির্বাচনি প্রস্তুতি হিসেবে নিয়ে চালিয়েছেন নানামুখী প্রচার। সম্ভাব্য প্রার্থীরা কর্মী-সমর্থকদের চাঙা করতে ছুটে যান নির্বাচনি এলাকার হাটবাজারে। পাশাপাশি এলাকার সাধারণ মানুষকে দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি।
ঈদের আগে থেকে এবং ছুটিকে কাজে লাগিয়ে তারা এলাকাবাসীর পাশে থাকারও চেষ্টা করেছেন। শুভেচ্ছা বিনিময়ের নামে এলাকায় চালিয়েছেন প্রচার ও গণসংযোগ। ব্যানার-পোস্টারে ছেয়ে গেছে অধিকাংশ এলাকা। এতে ঈদের পাশাপাশি ভোটের আমেজও সৃষ্টি হয়েছে।
এসব রাজনৈতিক দলের নেতারা প্রত্যেকেই আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জনসাধারণের কাছে সহযোগিতা চাওয়া শুরু করেছেন। তারা মতবিনিময় সভা এবং নানা ধরনের সেমিনার, গণসংযোগ, উঠান বৈঠকে অংশ নিয়েছেন।
এরই মধ্যে অনেকে কৌশলে নিজের প্রার্থিতার বিষয়টিও ঘোষণা করেছেন। ঈদের পর নিজ নিজ নির্বাচনি এলাকায় সম্ভাব্য প্রার্থীদের ঈদ পুনর্মিলনী, বৃক্ষরোপণ, ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় পুরস্কার বিতরণসহ নানা সামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে দেখা গেছে।
একই সঙ্গে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের নেতাকর্মীর পরিবারের পাশেও দাঁড়িয়েছেন কেউ কেউ। এসএমএস পাঠিয়ে এবং সোশ্যাল মিডিয়া, ব্যানার-পোস্টারের মাধ্যমে গণসংযোগ করেছেন সম্ভাব্য প্রার্থী ও তাদের সমর্থনকারী নেতারা। সব মিলিয়ে ঈদ আনন্দের সঙ্গে জাতীয় নির্বাচনের আমেজে চাঙা হয়ে ওঠে প্রতিটি এলাকা।
পৈতৃক এলাকার এ আসনটি থেকে বিজয়ী হয়ে এরই মধ্যে তিনবার প্রধানমন্ত্রী এবং দুবার বিরোধীদলীয় নেত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন খালেদা জিয়া।
দেশের জাতীয় রাজনৈতিক নেতৃত্ব, ভৌগোলিক অবস্থান এবং নানা কারণে জেলার সীমান্তবর্তী তিন উপজেলা নিয়ে গঠিত ফেনী-১ আসনটি জাতীয় সংসদে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে।