কোম্পানীগঞ্জে ৭টি বালুবাহী বাল্কহেড ও ৯টি ড্রেজার মেশিন জব্দ, ১৮জনকে সাজা

- আপডেট সময় : ১০ বার পড়া হয়েছে
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরএলাহী, চরফকিরা ও মুছাপুর ইউনিয়নে অবৈধ বালু মহালে অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত ও যৌথ বাহিনী। এসময় ছোট ফেনী নদী ও বামনীয়া নদী থেকে ৭টি বালুবাহি বাল্কহেড (ট্রলার), ৯টি বালু উঠানোর ড্রেজার মেশিন, ৫টি বালু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জমাকৃত কয়েক লাখ ফুট বালু জব্দ’সহ ১৮ জনকে আটক করা হয়েছে। পরে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে আটককৃতদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করা হয়।
গতকাল সোমবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত দিনব্যাপী এ অভিযান পরিচালনা করেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর ফরহাদ শামীম। অভিযানে সহযোগিতা করেন, সেনাবাহিনী, পুলিশসহ যৌথ বাহিনী।
জব্দকৃত কয়েক লাখ ফুট বালুসহ বন্ধ করে দেয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হলো, নিউ মক্কা ট্রেডার্স, সেজান এন্টারপ্রাইজ, মদিনা ট্রেডার্স, নোয়াখালী ট্রেডার্স ও জেএসএস ট্রেডার্স।
অভিযান সূত্রে জানা গেছে, চরএলাহি, চরফকিরা ও মুছাপুর ইউনিয়নের ছোট ফেনী নদী ও বামনীয়া নদী পথে প্রতিদিন বালুবাহী অনেকগুলো বাল্কহেড চলাচল করে। অবৈধ এই বাহন চলাচলে প্রশাসন থেকে একাধিক বার নিষেধাজ্ঞা দিলেও সেটি তারা অমান্য করে বাল্কহেড চলাচল অব্যাহত রাখে। নদী দিয়ে এ বাল্কহেড চলাচলের কারণে প্রচন্ড ঢেউয়ের তোড়ে নদীর তীরের আশপাশের মানুষের বসত ঘর ও বিভিন্ন স্থাপনা ভাঙনের কবলে পড়ে। অতিরিক্ত বাতাসে বালু উড়ে শত শত শিক্ষার্থী ও পথচারী চোখের সমস্যা ও শ্বাস কষ্টে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে একাধিকবার মানববন্ধন করেছিলো স্থানীয় লোকজন ও একাধিক সামাজিক সংগঠন। বালুবাহি বাল্কহেড (ট্রলার) চলার কারণে সম্প্রতি ঝুঁকিতে পড়েছে চরএলাহী ব্রিজ’সহ আরও একাধিক স্থাপনা।
সোমবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সেনাবাহিনী ও পুলিশের সহযোগিতায় অভিযান পরিচালনা করে উপজেলা প্রশাসন। এ সময় বাল্কহেড ও ড্রেজার মেশিন জব্দ’সহ ১৮ জনকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ১জনকে ২০দিন ও অপর ১৭জনকে ১০দিন করে কারাদন্ড প্রদান করেন।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর ফরহাদ শামীম অভিযানের বিষয় নিশ্চিত করে বলেন, অবৈধ ভাবে গড়ে ওঠা বালু মহালগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এসময় আটক ১৮জনকে দন্ডবিধির ১৮৬০এর ১৮৮ধারা অনুযায়ী কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। জব্দকৃত বালুবাহী বাল্কহেড, ড্রেজার মেশিন ও জমাকৃত বালু প্রশাসনের জিম্মায় রয়েছে। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।