ঢাকা ০১:২৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo নবীনগরে ভূট্টায় কৃষকের স্বপ্ন Logo নওগাঁ সদর উপজেলা গণ অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা Logo বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে ২০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনএসআই মাঠ কর্মকর্তা বিরুদ্ধে Logo মধুখালীতে গোল্ডেন পরিবহনের চাপায় এক ভ্যান যাত্রী নিহত Logo সেনবাগে বৃদ্ধের বসতঘর ভংচুর, পিটিয়ে হাত ভাঙ্গল ভাতিজা Logo নরসিংদীর মেঘনায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চলছে জাটকা নিধন Logo সপ্তাহ ব্যাপী অভিযানে ফেনী ব্যাটালিয়ান ৪ বিজিবির কোটি টাকার মালামাল আটক Logo ডাকবাংলায় আব্দুল মালেক ও বাবুল মাস্তানের দাপট: ফের সক্রিয় অপরাধ জগতে Logo পৌনে এক কোটি টাকার কালভার্টের মূল কাজ শুরু হয়নি ৪ বছরেও,দুর্ঘটনা ও ভোগান্তিতে ৫০গ্রামের বাসিন্দা Logo ত্রিশালের আমিরাবাড়ী ইউনিয়নে ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠিত

ক্ষতবিক্ষত সুন্দরবন থেকে উদ্ধার মৃত ২৬ হরিণ

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৭:১৩:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মে ২০২৪ ৩৪৬ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

ঘূর্ণিঝড় রেমালে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের রক্ষা দেওয়া সুন্দরবনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তর তালিকায় রয়েছে, হয়েছে সুন্দরবনের প্রাণ-প্রকৃতি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে কাজ শুরু করেছে বন বিভাগ।

এখনও পর্যন্ত ২৬টি মৃত হরিণ উদ্ধার করেছে বন বিভাগ। হরিণ ছাড়াও বনের বিভিন্ন স্থানে মিলছে বিভিন্ন বন্যপ্রাণীর মরদেহ। ধীরে ধীরে স্পষ্ট হচ্ছে ক্ষয়ক্ষতি।

মঙ্গলবার (২৮ মে) বিকেল ৩টা পর্যন্ত বনের বিভিন্ন স্থানে ২৬টি মৃত হরিণ পাওয়া যাবার খবর মিলেছে। আহত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে ১৭টি হরিণ। ক্ষতিগ্রস্ত তালিকায় রয়েছে বন বিভাগের ২৫টি টহল ফাঁড়ি। লবণপানিতে নষ্ট হয়ে গেছে প্রায় ৮০টি মিঠা পানির পুকুর।

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির সংবাদমাধ্যমকে জানান, সুন্দরবনের বন্যপ্রাণীরা জলোচ্ছ্বাসের সঙ্গে অভ্যস্ত। সাধারণত জলোচ্ছ্বাস হলে বন্যপ্রাণীরা উঁচু স্থান ও গাছে আশ্রয় নেয়। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে বনের ভেতর প্রায় পাঁচ ফুট উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাস হয়েছে।

একারণে বনের উঁচু স্থানও তলিয়ে যাওয়ায় প্রাণীদের আশ্রয়ের জায়গাটুকুও ছিলো না। অধিক জলোচ্ছ্বাসে নিরাপদ আশ্রয়ে অভাবে হরিণগুলোর মৃত্যু হয়েছে।

৮-১০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে লোনা পানিতে তলিয়ে গেছে সুন্দরবনের ৮০টি মিঠা পানির পুকুর। একারণে বনকর্মীদের পাশাপাশি প্রাণীরাও সুপেয় পানির সংকটে পড়েছে।

২৬ মে রাত থেকে ২৭ মে শেষ রাত পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যায় ঘূর্ণিঝড় রেমাল। এর প্রভাবে ঝড়, বৃষ্টি ও জলোচ্ছ্বাসে সুন্দরবনসহ দেশের বিভিন্ন জেলার মতো উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, বিধ্বস্ত হয়েছে অসংখ্য ঘরবাড়ি, নষ্ট হয়েছে ফসল, ভেঙে গেছে গাছপালা, বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে তার ছিঁড়ে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে অসংখ্য এলাকা।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ক্ষতবিক্ষত সুন্দরবন থেকে উদ্ধার মৃত ২৬ হরিণ

আপডেট সময় : ০৭:১৩:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মে ২০২৪

 

ঘূর্ণিঝড় রেমালে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের রক্ষা দেওয়া সুন্দরবনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তর তালিকায় রয়েছে, হয়েছে সুন্দরবনের প্রাণ-প্রকৃতি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে কাজ শুরু করেছে বন বিভাগ।

এখনও পর্যন্ত ২৬টি মৃত হরিণ উদ্ধার করেছে বন বিভাগ। হরিণ ছাড়াও বনের বিভিন্ন স্থানে মিলছে বিভিন্ন বন্যপ্রাণীর মরদেহ। ধীরে ধীরে স্পষ্ট হচ্ছে ক্ষয়ক্ষতি।

মঙ্গলবার (২৮ মে) বিকেল ৩টা পর্যন্ত বনের বিভিন্ন স্থানে ২৬টি মৃত হরিণ পাওয়া যাবার খবর মিলেছে। আহত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে ১৭টি হরিণ। ক্ষতিগ্রস্ত তালিকায় রয়েছে বন বিভাগের ২৫টি টহল ফাঁড়ি। লবণপানিতে নষ্ট হয়ে গেছে প্রায় ৮০টি মিঠা পানির পুকুর।

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির সংবাদমাধ্যমকে জানান, সুন্দরবনের বন্যপ্রাণীরা জলোচ্ছ্বাসের সঙ্গে অভ্যস্ত। সাধারণত জলোচ্ছ্বাস হলে বন্যপ্রাণীরা উঁচু স্থান ও গাছে আশ্রয় নেয়। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে বনের ভেতর প্রায় পাঁচ ফুট উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাস হয়েছে।

একারণে বনের উঁচু স্থানও তলিয়ে যাওয়ায় প্রাণীদের আশ্রয়ের জায়গাটুকুও ছিলো না। অধিক জলোচ্ছ্বাসে নিরাপদ আশ্রয়ে অভাবে হরিণগুলোর মৃত্যু হয়েছে।

৮-১০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে লোনা পানিতে তলিয়ে গেছে সুন্দরবনের ৮০টি মিঠা পানির পুকুর। একারণে বনকর্মীদের পাশাপাশি প্রাণীরাও সুপেয় পানির সংকটে পড়েছে।

২৬ মে রাত থেকে ২৭ মে শেষ রাত পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যায় ঘূর্ণিঝড় রেমাল। এর প্রভাবে ঝড়, বৃষ্টি ও জলোচ্ছ্বাসে সুন্দরবনসহ দেশের বিভিন্ন জেলার মতো উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, বিধ্বস্ত হয়েছে অসংখ্য ঘরবাড়ি, নষ্ট হয়েছে ফসল, ভেঙে গেছে গাছপালা, বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে তার ছিঁড়ে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে অসংখ্য এলাকা।