ঢাকা ০৮:৩৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক, বুধবার সাধারণ ছুটি

স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ১০৮ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রতীক এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক এবং একদিনের (বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর) সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা এ ঘোষণা দেন।

অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আজ আমাদের পুরো জাতি গভীর শোক ও বেদনায় নিস্তব্ধ। বেগম খালেদা জিয়ার ইন্তেকালে আমরা গভীরভাবে শোকাহত ও মর্মাহত।

তাঁর মৃত্যুতে জাতি এক মহান অভিভাবককে হারিয়েছে।
তিনি বলেন, এই গভীর শোকের মুহূর্তে তাঁর পরিবারের সদস্যবৃন্দ, রাজনৈতিক সহকর্মী এবং অগণিত কর্মী-সমর্থকের প্রতি সমগ্র জাতির পক্ষ থেকে আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি। মহান আল্লাহর কাছে আমার প্রার্থনা—তিনি যেন আমাদের সবাইকে এই গভীর শোক কাটিয়ে ওঠার শক্তি দান করেন।

শোকাবহ মুহূর্তে সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে মহান আল্লাহর দরবারে বেগম খালেদা জিয়ার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করার আহ্বান জানান প্রধান উপদেষ্টা।

জানাজাসহ সব ধরনের শোক পালনে শৃঙ্খলা বজায় রাখার অনুরোধ করে তিনি বলেন, আপনারা সবাই এই সময়ে অনেক আবেগাপ্লুত। আশা করছি, শোকের এই সময়ে আপনারা ধৈর্যের পরিচয় দেবেন এবং তার জানাজাসহ সব আনুষ্ঠানিকতা পালনে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সহযোগিতা করবেন। মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে ধৈর্য, শক্তি ও ঐক্যবদ্ধ থাকার ক্ষমতা দিন।

বেগম খালেদা জিয়ার আপসহীন মনোভাব এবং ত্যাগের কথা তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক পরম মহিমান্বিত ব্যক্তিত্ব।

গণতন্ত্র, বহুদলীয় রাজনৈতিক সংস্কৃতি এবং জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে তাঁর অসামান্য ভূমিকা ইতিহাসে অম্লান হয়ে থাকবে। স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে তাঁর আপসহীন নেতৃত্ব বারবার জাতিকে গণতন্ত্রহীন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের পথ দেখিয়েছে এবং মুক্তির প্রেরণা যুগিয়েছে। দেশ ও জাতির প্রতি তাঁর সমুজ্জ্বল অবদান জাতি চিরকাল শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক যাত্রা, গণমুখী নেতৃত্ব এবং প্রিয় মাতৃভূমির স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে সমুন্নত রাখতে তাঁর অবিচল ভূমিকা অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে। এমন একজন মহান, দূরদর্শী ও নিখাদ দেশপ্রেমিক নেত্রীর শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয়।

সবাইকে সতর্ক ও ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, জাতির এই কঠিন সময়ে আমরা যেন ঐক্যবদ্ধ থাকি। শোকের এই সময়ে কেউ যেন অস্থিতিশীলতা বা নাশকতার অপচেষ্টা চালাতে না পারে, সে বিষয়ে আমি সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। এই সময়ে আমাদের সবার দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করা অত্যন্ত জরুরি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক, বুধবার সাধারণ ছুটি

আপডেট সময় :

তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রতীক এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক এবং একদিনের (বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর) সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা এ ঘোষণা দেন।

অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আজ আমাদের পুরো জাতি গভীর শোক ও বেদনায় নিস্তব্ধ। বেগম খালেদা জিয়ার ইন্তেকালে আমরা গভীরভাবে শোকাহত ও মর্মাহত।

তাঁর মৃত্যুতে জাতি এক মহান অভিভাবককে হারিয়েছে।
তিনি বলেন, এই গভীর শোকের মুহূর্তে তাঁর পরিবারের সদস্যবৃন্দ, রাজনৈতিক সহকর্মী এবং অগণিত কর্মী-সমর্থকের প্রতি সমগ্র জাতির পক্ষ থেকে আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি। মহান আল্লাহর কাছে আমার প্রার্থনা—তিনি যেন আমাদের সবাইকে এই গভীর শোক কাটিয়ে ওঠার শক্তি দান করেন।

শোকাবহ মুহূর্তে সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে মহান আল্লাহর দরবারে বেগম খালেদা জিয়ার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করার আহ্বান জানান প্রধান উপদেষ্টা।

জানাজাসহ সব ধরনের শোক পালনে শৃঙ্খলা বজায় রাখার অনুরোধ করে তিনি বলেন, আপনারা সবাই এই সময়ে অনেক আবেগাপ্লুত। আশা করছি, শোকের এই সময়ে আপনারা ধৈর্যের পরিচয় দেবেন এবং তার জানাজাসহ সব আনুষ্ঠানিকতা পালনে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সহযোগিতা করবেন। মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে ধৈর্য, শক্তি ও ঐক্যবদ্ধ থাকার ক্ষমতা দিন।

বেগম খালেদা জিয়ার আপসহীন মনোভাব এবং ত্যাগের কথা তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক পরম মহিমান্বিত ব্যক্তিত্ব।

গণতন্ত্র, বহুদলীয় রাজনৈতিক সংস্কৃতি এবং জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে তাঁর অসামান্য ভূমিকা ইতিহাসে অম্লান হয়ে থাকবে। স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে তাঁর আপসহীন নেতৃত্ব বারবার জাতিকে গণতন্ত্রহীন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের পথ দেখিয়েছে এবং মুক্তির প্রেরণা যুগিয়েছে। দেশ ও জাতির প্রতি তাঁর সমুজ্জ্বল অবদান জাতি চিরকাল শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক যাত্রা, গণমুখী নেতৃত্ব এবং প্রিয় মাতৃভূমির স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে সমুন্নত রাখতে তাঁর অবিচল ভূমিকা অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে। এমন একজন মহান, দূরদর্শী ও নিখাদ দেশপ্রেমিক নেত্রীর শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয়।

সবাইকে সতর্ক ও ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, জাতির এই কঠিন সময়ে আমরা যেন ঐক্যবদ্ধ থাকি। শোকের এই সময়ে কেউ যেন অস্থিতিশীলতা বা নাশকতার অপচেষ্টা চালাতে না পারে, সে বিষয়ে আমি সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। এই সময়ে আমাদের সবার দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করা অত্যন্ত জরুরি।