খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কে অবৈধ স্থাপনা, ঘটছে দূর্ঘটনা

- আপডেট সময় : ২০ বার পড়া হয়েছে
খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের দুই পাশে অবৈধ স্থাপনা দিন দিন ব্যাঙয়ের ছাতার মত গড়ে উঠেছে। তাছাড়া ভূমি দস্যুরা সিএন্ডবির সিমানা ল্যান্ড তুলে পাকা একতলা দোতলা ঘর নির্মান করছে। যা মহাসড়কের অতি নিকটে। যে কারনে সড়কে প্রায়ই ঘটছে দূর্ঘটনা। বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় লেখা লেখির পরও এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপদ বিভাগ উচ্ছেদের বিষয়ে কোন মাথা ব্যাথা নেই।
২০২১ সালের দিকে সাতক্ষীরা সড়ক ও জনপদ বিভাগের সিমানা ১৮ মাইল উক্ত স্থান থেকে ঢাক ঢোল পিটিয়ে সড়ক বিভাগের কর্মকর্তা, কর্মচারীরা ম্যাজিষ্ট্রেট ও পুলিশ বাহিনী সাথে নিয়ে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছিল। কিন্তু তাদের কাজে ছিল আকাশ পাতাল ভেদাভেদ। চায়ের দোকানগুলি ভেঙ্গে চুরমার করে দেওয়া হলেও এক বা দোতলা পাকা ভবনগুলোর ধারের কাছেও তারা যায়নি বা তাদের ভবনে স্পর্ষও করা হয়নি। দীর্ঘ ৫ বছর অতিবাহিত হয়েছে যার মধ্যে অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তি মহাসড়কের গা ঘেসে যার যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু দখল করে চলেছে। মাঝে মধ্যে সড়ক ও জনপদ বিভাগের রোড সুপার ভাইজার সিএন্ডবির আওতায় থাকা ছোট ঘরগুলোতে লাল ক্রস চিহ্ন দিয়ে গেলেও বড় বড় ভবনে এই চিহ্ন দিতে দেখা যাচ্ছেনা। এর রহস্য টা কি? ২০২১ সালে ১৮ মাইল থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে পাটকেলঘাটা পেট্রোল পাম্প পর্যন্ত এসে সমাপ্ত হয়। এসময় এলজিইডির কর্মকর্তারা বলেন, বাকী উচ্ছেদ অভিযান কিছুদিন পরেই শুরু হবে। কিন্তু দীর্ঘ ৫ বছর অতিবাহিত হলেও এমন ঘটনা চোখে মেলেনি। যে কারনে মহাসড়কের দুইপাশে দিনের পর দিন বুক ফুলিয়ে বড় বড় ভবন নির্মান করছে ভূমি দস্যুরা। একটি সূত্রে জানাগেছে, খুলনা থেকে সাতক্ষীরা পর্যন্ত ৫৯ কি: রাস্তা ৪ লেনের টেন্ডার হয়েছে। অতিদ্রুত যদি খুলনা সাতক্ষীরা মহাসড়কের দুধারে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা না হয় তাহলে ৪ লেনের রাস্তা হওয়ার পথ অচিরেই বন্ধ হয়ে যেতে পারে।